জীবন সহজকরণে ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা

ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ব্যাংকিং খাতের ডিজিটাল প্রোডাক্ট ও সেবা। দেশের বেসরকারি খাতের সর্ববৃহৎ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এখানেও নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ঘরে বসেই ইসলামী ব্যাংকের হিসাব খোলা যায়। হিসাবে লেনদেন করা যায় বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে। এ ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করা যায় বিশ্বের যেকোন দেশে। নগদ টাকা জমা দিতেও এখন আর যেতে হয় না ব্যাংকে।

ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন (CellFin) একটি স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ। যেকোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট, কার্ড ও এমক্যাশ নম্বরে সরাসরি টাকা পাঠানো যায় সেলফিন থেকে। টাকা নেওয়া যায় বিকাশ, নগদ ও রকেট-এও। আর যেকোন ব্যাংকের ভিসা বা মাস্টারকার্ড, ইসলামী ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও এমক্যাশ থেকে টাকা আনা যায় সেলফিনে। এতে রয়েছে ভিসা (VISA) সুবিধা সংযুক্ত একটি ভার্চুয়াল ডেবিট কার্ড। এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি যেকোন সাইটে ই-কমার্সের পেমেন্ট দেওয়া যায়। সেলফিনের মাধ্যমে নিজে নিজে ইসলামী ব্যাংকের সেভিংস, স্টুডেন্ট, ডিপিএস জাতীয় হিসাব ও মাসিক মুনাফাভিত্তিক জমা হিসাব খোলা যায়। বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্স গ্রহণ করা যায় সেলফিনে। ফ্রিল্যান্সার কর্মীরাও যেকোন দেশ থেকে সরাসরি পেমেন্ট নিতে পারেন। সেলফিনের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ করা যায়, যেকোন ব্যাংকের ভিসা/মাস্টারকার্ডের বিল দেওয়া যায়, চুক্তিবদ্ধ স্কুল-কলেজের ফি প্রদান করা যায়। পরিচিত সেলফিন ব্যবহারকারীর কাছে টাকা চেয়ে রিকোয়েস্ট মানি করা যায়। তাৎক্ষণিক আর্থিক প্রয়োজন পূরণে এ যেন এক ম্যাজিক। ইসলামী ব্যাংকের এটিএম ও এজেন্ট আউটলেট থেকে ক্যাশ আউট করা যায় কার্ড ছাড়াই। যেকেউ বাংলাদেশ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে স্মার্টফোনে খুলতে পারেন সেলফিন অ্যাকাউন্ট।

ইসলামী ব্যাংকের আরেকটি জনপ্রিয় ডিজিটাল সেবা হচ্ছে আই-ব্যাংকিং বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং। এর মাধ্যমে গ্রাহক বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে নিজের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন। হিসাবের ব্যালেন্স জানা, স্টেটমেন্ট গ্রহণ, বিনিয়োগ স্টেটমেন্ট ও আউটস্ট্যান্ডিং পজিশন নেওয়া এবং এক্সপোর্ট/ইমপোর্ট বিলের কস্ট শিট নেওয়া যায়। যেকোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে দিনে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিক ফান্ড ট্রান্সফার করা যায়। আই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই-কমার্সের পেমেন্ট প্রদান, মোবাইল রিচার্জ, অনলাইনে ইউটিলিটি বিল প্রদান করা যায়। সহজে আইব্যাংকিং পরিচালনার জন্য রয়েছে আইস্মার্ট নামে মোবাইল অ্যাপ।

ইসলামী ব্যাংকের রয়েছে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড। এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যেকোন এটিএম থেকে টাকা বা বিদেশি মুদ্রা উত্তোলন করা যায়। দেশ/বিদেশে পিওএস মেশিনের মাধ্যমে কেনাকাটা ও ই-কমার্স ট্রানজেকশন করা যায়। এ ব্যাংকের আরেকটি অনন্য সার্ভিস হচ্ছে ক্যাশ-বাই-কোড যার মাধ্যমে প্রাপকের ব্যাংক হিসাব ছাড়াই উত্তোলনযোগ্য নগদ টাকা পাঠানো যায়। আইব্যাংকিং, সেলফিন বা এটিএম মেশিন থেকে ক্যাশ-বাই-কোড ইস্যু করা যায়।

ইসলামী ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হচ্ছে এমক্যাশ। মোবাইল রিচার্জ, ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লেনদেন, পার্সন টু পার্সন এবং পার্সন টু গভর্নমেন্ট ফান্ড ট্রান্সফার, কর্পোরেট স্যালারি প্রদান, মার্চেন্ট পেমেন্ট, চুক্তিবদ্ধ স্কুল-কলেজের ফি প্রদান করা যায় এমক্যাশে। এমক্যাশ এজেন্ট, ইসলামী ব্যাংকের এটিএম/সিআরএম, এজেন্ট আউটলেট ও শাখা থেকে ক্যাশ-ইন ও ক্যাশ-আউট করা যায়।

সারাদেশে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের দেড় হাজার এটিএম ও ৪০০ এর বেশি সিআরএম-এর শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। সিআরএম মেশিনে উত্তোলনের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক নগদ টাকা জমা করা যায়। ইসলামী ব্যাংকের এটিএম/সিআরএম মেশিন থেকে এ ছাড়াও যেকোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তাৎক্ষণিক ফান্ড ট্রান্সফার, কার্ড ছাড়াই নগদ গ্রহণ ও খিদমাহ কার্ডের বিল প্রদান করা যায়।

ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ সংযোজন হোয়াটস অ্যাপ সেবা পাওয়া যায় +৮৮০১৩১৩০১৬২৫৯ নম্বরে বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে। গ্রাহকের হিসাবে প্রদত্ত যোগাযোগ নম্বর থেকে উক্ত নম্বরে টেক্সট করে অ্যাকাউন্ট ও কার্ডের ব্যালেন্স, মিনি স্টেটমেন্ট, ইসলামী ব্যাংকের প্রতিনিধির সাথে বার্তালাপ (চ্যাটিং), ব্যাংকিং সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্নোত্তরসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক মেসেঞ্জার সাইটেও চ্যাটবটের মাধ্যমে এই সেবাগুলো পাওয়া যাবে।

আধুনিক জীবনযাত্রার ধারণা নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের আছে ‘খিদমাহ’ নামে শরী‘আহসম্মত ক্রেডিট কার্ড। দেশ-বিদেশে পিওএস মেশিনে বিল পরিশোধযোগ্য কেনাকাটা, হোটেল ও হসপিটালের বিল পরিশোধ, বাস/ট্রেন/প্লেনের টিকেট কাটায় খিদমাহ কার্ড ব্যবহারযোগ্য। খিদমাহ কার্ডে কেনাকাটায় রয়েছে ইএমআই সুবিধা।

প্রত্যেক শাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং প্রায় ৩,৩০০ মার্চেন্ট পয়েন্টে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের পিওএস (POS) টার্মিনাল। ভিসা/মাস্টারকার্ড সংযুক্ত যেকোন ব্যাংকের কার্ড এতে লেনদেনযোগ্য। এ ছাড়া ব্রাঞ্চ পিওএস থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করা যায়।

ভ্রমণে বিদেশি মুদ্রার ঝক্কি এড়াতে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ট্রাভেল কার্ড। এতে রয়েছে ১২,০০০ ডলার পর্যন্ত লেনদেন সুবিধা। বিশ্বের যেকোন স্থানে নগদ উত্তোলন ও কেনাকাটায় এটা ব্যবহারযোগ্য। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ট্রাভেল কার্ড সেবা নেয়া যায়। ব্যাংকের যেকোন শাখা বা অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে কার্ডে ব্যালান্স লোড করা যায়।

স্বাচ্ছন্দে হজ পালনের সুবিধা নিয়ে এসেছে ইসলামী ব্যাংকের হজ প্রিপেইড কার্ড। এতে রয়েছে সৌদি আরবে এটিএম থেকে রিয়াল উত্তোলন ও লেনদেনে বিল পরিশোধের সুবিধা। হজ ও উমরাহ পালনের ক্ষেত্রে এই কার্ড ব্যবহার করা যায়। হজ এজেন্সিও এই কার্ডের সেবা গ্রহণ করতে পারে।

গ্রাহকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা তথ্য ও সরাসরি সহায়তা নিয়ে আছে ইসলামী ব্যাংকের কন্ট্যাক্ট সেন্টার। ১৬২৫৯ এবং +৮৮০২৮৩৩১০৯০ এই দুটি নম্বরে রয়েছে কন্ট্যাক্ট সেন্টারের সেবা। ব্যালান্স অনুসন্ধান, বিভিন্ন ব্যাংকিং তথ্য, কার্ড বন্ধ ও পুনরায় সচল করা, সেলফিন অ্যাকাউন্ট সচল করা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও কার্ডের গ্রিন পিন সেটকরণে সহায়তা, স্টপ পেমেন্ট, চেক বইয়ের চাহিদা প্রদান, স্ট্যান্ডিং ইন্সট্রাকশন, ই-কমার্র্স লেনদেনসহ যাবতীয় সহায়তা পাওয়া যায় কন্ট্যাক্ট সেন্টারে।

ইসলামী ব্যাংকের রেজিস্টার্ড হিসাবগ্রাহকদের জন্য রয়েছে এসএমএস সার্ভিস। গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ২৬৯৬৯ এবং অন্য অপারেটরের গ্রাহকরা ৬৯৬৯ নম্বরে নির্ধারিত ফরম্যাটে এসএমএস পাঠিয়ে ব্যালান্স, মিনি স্টেটমেন্ট, ট্রানজেকশন নোটিফিকেশন ও ব্যাংকিং তথ্যসহ বিভিন্ন পুশ-পুল এসএমএস পেতে পারেন।

ইসলামী ব্যাংকের এ রকম অনেক সেবার ফলে জীবন এখন আরো সহজ ও স্বচ্ছন্দ হয়েছে। গতি পেয়েছে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি। এগিয়ে চলেছে দেশের অর্থনীতি।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;