যেভাবে দেখবেন ইনক্রিমেন্ট লেগেছে কি না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১ জুলাই বেতন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অনলাইনে পে ফিক্সেশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অটোমেটিক বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হয়ে থাকে। পূর্ব নির্ধারিত ধাপের ভিত্তিতে ৫ শতাংশ হারে বা মূল বেতন বা স্কেল অনুসারে সাজানো স্টেজ অনুসারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হয়ে থাকে। ঘরে বসেই অনলাইনে দেখে নেওয়া যায় ইনক্রিমেন্ট লেগেছে কি না। এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন-উত্তর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

কিভাবে দেখবেন আপনার ইনক্রিমেন্ট লেগেছে কি না?

আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইন হতে ইনক্রিমেন্ট দেখে নিতে পারেন। এজন্য আপনার এনআইডি নম্বর এবং ভেরিফিকেশন নম্বর প্রয়োজন পড়বে। আবশ্যিকভাবে আপনার পে ফিক্সেশনে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি একটিভ থাকতে হবে।

সহজ স্টেপ: Go to Pay Fixation > পরবর্তী ধাপ>আমি প্রিন্ট নিয়েছি, পড়েছি এবং বুঝেছি তে টিক দিতে হবে >পরবর্তী>ইনক্রিমেন্ট>হ্যাঁ>বেসামরিক> NID Number, Verification No. , Capcha Entry>Login>OK>Verification Code>5352>Validate> ইনক্রিমেন্ট তারিখ সিলেক্ট >Click GO>Increment Sheet>Go bellow to See Basic.

ইনক্রিমেন্ট শিট দিয়ে কি হবে?

ইনক্রিমেন্ট শিট আপনার সার্ভিস বুকে এন্ট্রি করে অফিস প্রধান কর্তৃক প্রতিপাদন করে সংযুক্ত করতে হবে। আপনাকে ছাড়া আপনার অফিস কর্তৃপক্ষ ইনক্রিমেন্ট শিট বের করতে পারবে না। আপনার মোবাইলে যেহেতু ভেরিফিকেশন কোড যায় তাই আপনি নিজেও এটি বের করে আপনার দপ্তরের প্রশাসন বা হিসাব শাখায় জমা দিন। অনলাইনে ইনক্রিমেন্ট লাগছে কি না এটি এখন পরীক্ষা করা অতি জরুরি কারণ পে ফিক্সেশনে ইনক্রিমেন্ট না লেগে থাকলে আপনার মাসিক বেতন সাবমিট করতে গিয়ে ঝামেলা পোহাতে হবে। আইবাস++ এর সাথে পে ফিক্সেশন ওয়েবসাইট সংযুক্তি থাকায় ইনক্রিমেন্ট না লাগলে আপনার মাসিক বেতন পুরাতন বেসিকেই সাবমিট হবে।

আইবাস++ এ Master Data কি আপডেট করতে হবে?

জি, পে ফিক্সেশনের আপনার বেতন পরিবর্তন হলে আইবাস++ এ অটোপরিবর্তন হওয়ার কথা কিন্তু আপনাকে প্রতিটি ইনক্রিমেন্ট Master Data>Employee Salary Information এ এনআইডি ব্যবহার করে ঢুকে আপডেট করতে হবে। তাই ইনক্রিমেন্ট লাগছে কিনা তা পরীক্ষা করে আইবাস++ এ বেতন ভাতাদি আপডেট করতে হবে। শুধু বেসিক নয়, বাড়ি ভাড়াও আপডেট করতে হবে। Ibas++>Master Data>Salary Information>NID>Basic and House rent> Edit>Update>next and Save ব্যাস হয়ে গেলো Salary info update.

১ জুলাই তাহলে ইনক্রিমেন্ট লেগে গেছে?

হ্যাঁ ১ জুলাই প্রথম প্রহরেই ইনক্রিমেন্ট লেগে গেছে। যদি কারও ইনক্রিমেন্ট অটোমেটিক না লেগে থাকে তবে অবশ্যই হিসাবরক্ষণ অফিসের মাধ্যমে আপডেট করে নিতে হবে। যদি কারও ইনক্রিমেন্ট স্থগিতের প্রয়োজন পড়ে তবে আইবাস++ এ Service Stage management এ Leave or Suspension Entry করতে হবে। যদি কোন কর্মচারীর ইনক্রিমেন্ট স্থগিতাদেশ থাকে এবং পে ফিক্সেশনে ইনক্রিমেন্ট লেগেও যায় তবে হিসাবরক্ষণ অফিসকে অবহিত করণের মাধ্যমে তা বাতিল করতে হবে।

সবারই তো অটো ইনক্রিমেন্ট লাগে তাহলে এটি চেক করার প্রয়োজন আছে কি?

অটোমেটিক লাগলেও অটোমেটিক বিষয়টি যেমন সহজতর ঠিক তেমনি কিছুটা জটিলও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ১০০ কর্মচারীর মধ্যে ২ বা ৩ জনের ক্ষেত্রে অটোমেটিক বিষয়টি কাজ করেনি এটি সার্ভার স্লো বা মাস্টার ডাটায় সমস্যা থাকলেও হতে পারে। তাই প্রতিবারই আপনি ইনক্রিমেন্ট এন্ট্রি চেক করুন এবং সার্ভিস বুকে এন্ট্রি নিশ্চিত করুন।

ইনক্রিমেন্ট কপি কি হিসাবরক্ষণ অফিসে নিয়ে প্রতিপাদন করাতে হবে?

অবশ্যই না। এটি হিসাবরক্ষণ অফিসই এন্ট্রি দিয়েছে তাই প্রতি বছর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এন্ট্রি বা সার্ভিস বুকে এন্ট্রির জন্য হিসাবরক্ষণ অফিসে খতিয়ান বহি প্রেরণের প্রয়োজন নেই। ইনক্রিমেন্ট প্রতিপাদন অফিস প্রধান কর্তৃক করা হয় এবং ইনক্রিমেন্ট কপি সার্ভিস বুকে এটাচ করে রাখলেই চলবে।

পদবী ঠিক দেখাচ্ছে না বা ইনক্রিমেন্ট শিট ফাঁকা দেখাচ্ছে?

জি এমনটি হয়। আপনার ইনক্রিমেন্ট শিটে পদবী ঠিক মত না দেখালে আপনি হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে পদবী ঠিক করে নিন। ইনক্রিমেন্ট শিট ফাঁকা দেখালে বুঝতে হবে ইনক্রিমেন্ট এন্ট্রি মিস হয়েছে আপনি নিকটস্থ হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে ইনক্রিমেন্ট যুক্ত করে নিন।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;