ঈদে আকর্ষণের কেন্দ্রে ওয়ালটনের অর্ধশতাধিক নতুন মডেলের ফ্রিজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ালটন

ওয়ালটন

  • Font increase
  • Font Decrease

দুয়ারে কোরবানির ঈদ। বাংলাদেশে এ সময়টা ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম। তাই, ঈদের আগে সারা দেশে চলছে ফ্রিজ বিক্রির ধুম। তবে, এই ঈদে ক্রেতা আকর্ষণের কেন্দ্রে আছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের আপডেট ফিচারের অর্ধশতাধিক নতুন মডেলের ফ্রিজ। আবার ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দিচ্ছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৭টি নতুন মডেলসহ আপডেট ডিজাইন ও ফিচারের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। নিজস্ব কারখানায় তৈরি এসব ফ্রিজের মধ্যে আছে আইওটিবেজড স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী সুপার কুলিং ফিচারের ফ্রিজ। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাজারে আছে ওয়ালটনের প্রায় ২০০ মডেলের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও বেভারেজ কুলার। নতুন মডেলের ওয়ালটনের এসব ফ্রিজের ধারণক্ষমতা ১২৫ লিটার থেকে ৩৬৫ লিটারের মধ্যে।

এদিকে, বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে সারা দেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ১১’ চালাচ্ছে ওয়ালটন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ ক্যাম্পেইনের এই সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজে চলছে ‘মেগা ঈদ ফেস্টিভ্যাল’। এর আওতায় ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের ফ্রিজ কিনলে মিলিয়নিয়ার বা নগদ ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ আছে। এছাড়াও আছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন সাতজন। নিশ্চিত ছাড়ের আওতায় আকর্ষণীয় অঙ্কের ছাড় পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা।

এসব সুবিধার পাশাপাশি ওয়ালটন ফ্রিজে আছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা। এছাড়া, ঈদে ঘরে বসে ফোন করলেই কাছাকাছি ওয়ালটন প্লাজা অথবা ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকের ঘরে ফ্রিজে পৌঁছে দিচ্ছেন ওয়ালটনের দক্ষ কর্মকর্তাগণ। এক্ষেত্রে আছে ক্যাশ অন ডেলিভারি ও ফ্রি হোম ডেলিভারি সার্ভিসের সুবিধা। আবার অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ৫ শতাংশ ডিসকাউন্টসহ জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই সুবিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

সূত্র জানায়, এ ঈদে ফ্রিজ ক্রেতাদের জন্য এক্সচেঞ্জ অফার চালু করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় গ্রাহকের যেকোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল পুরাতন ফ্রিজের বদলে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের ডিপ ফ্রিজ কেনার সুযোগ আছে।

ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার বলেছেন, দেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজের এখন একচেটিয়া আধিপত্য। ক্রেতাদের কাছে এখন ফ্রিজ মানেই ওয়ালটন। বর্তমানে বেশি চলছে ওয়ালটনের সম্পূর্ণ নতুন এবং আপডেট ডিজাইন ও ফিচারের অর্ধশতাধিক নতুন মডেলের ফ্রিজ।

ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ অব বিজনেস আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, বর্তমান পরিস্থিতি ও ক্রেতাদের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে ঈদে ওয়ালটন সর্বাধুনিক ফিচারের নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে এনেছে। ফ্রিজের উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে আছে—হাই এনার্জি এফিসিয়েন্ট, এলিগেন্ট ডোর প্যাটার্ন, স্ট্যাবিলাইজার ফ্রি অপারেশন, বিগার ফ্রিজার ক্যাপাসিটি, ইউজার ফ্রেন্ডলি আরগনোমিক অ্যান্ড এলিগেন্ট ডোর ডিজাইন, দীর্ঘ কুলিং সুবিধা, র‌্যাট প্রিভেন্টিভ কম্প্রেসর ব্যাক কাভার, লো নয়েজ লেভেল, ৫ স্টার এনার্জি রেটিং, আল্ট্রাফ্রেশনেস, সুপার কুলিং, আইসিএস বা ইন্টালিজেন্ট কন্ট্রোল সিস্টেম, স্মার্ট ডায়াগনোসি, আইজিটি আয়োনাইজার ও ইলেকট্রনিক্স কন্ট্রোল ইত্যাদি। এছাড়া, ওয়ালটন ফ্রিজে সংযোজন করা হয়েছে আইওটিবেজড স্মার্ট প্রযুক্তি।

ঈদ বাজারে ওয়ালটনের আছে দুই শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ। ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি বিশ্বমানের ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার সুযোগ আছে।

আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের আছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রফতানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রফতানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ক্রেতাদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে পৌঁছে দিচ্ছে। এর আওতায় সারা দেশে আছে ওয়ালটনের ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার। যেখানে নিয়োজিত আছেন আড়াই হাজারেরও বেশি সার্ভিস এক্সপার্টস।

   

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি।

তিনি জানান, সভায় ১১ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

;

শেয়ার কারসাজির দায়ে হিরুদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে সমবায় অধিদফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও বিশিষ্ট শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগিদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই জরিমানা করেছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবরে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারের দাম ছিল ৬৮ টাকা। যা এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম ১১৬ টাকায় তোলা হয়।

এর আগে, ২০২২ সালের জুনে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে বিএসইসি আবুল খায়ের হিরুকে ২ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা করেছিল।

২০২২ সালের মে মাসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আবুল খায়ের হিরু এবং তার সহযোগিদের সাফকো স্পিনিং মিলের শেয়ার ব্যবসায় সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড বাংলাদেশের বৃহত্তম কল সেন্টার পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২০১৯ সালে শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক পাবলিক অফারের মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৪ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২২ সালে দিয়েছিল ১১ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ বোনাস।

;

অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো ব্যবসায়ী অসাধু উপায়ে বাড়তি মুনাফা করার চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটি।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজারে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটির মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই'র সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিন হেলালী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে চিহ্নত করে সাজা নিশ্চত করতে হবে। এফবিসিসিআই'কে অসাধু ব্যবসায়ীদের তথ্য দিন। আমরা সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো।

রমজানে বাজার সহনশীল রাখতে বেসরকারি খাতের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এফবিসিসিআই বাজার মনিটরিং করছে বলে জানান সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে ভোক্তাদেরও ক্রয় অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এক মাসের বাজার একদিনে না করে আরও সংযোমী হতে হবে।

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতিটি বাজারে বণিক সমিতি বা বাজার কমিটির নিজস্ব নজরদারি ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এবং এফবিসিসিআই এর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে জানান মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বাবুল।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই'র পরিচালকবৃন্দ, সাবেক পরিচালকবৃন্দ, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

;

ক্ষুদ্রঋণে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার বাড়াতে বিকাশ ও ডাটাসফটের উদ্যোগ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষুদ্রঋণে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মঘণ্টা সাশ্রয়, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, সহজে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন, ২৪/৭ লেনদেনের রিপোর্টিং, ক্যাশ বহন করার ঝুঁকি কমানো, ক্যাশ ম্যানেজমেন্টসহ সার্বিক ক্ষুদ্রঋণ খাতে দক্ষতা ও গতিশীলতা আনা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে অভ্যস্ততা ও সচেতনতা বাড়াতে বিকাশ ও ডাটাসফট-এর আয়োজনে এক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফট-এর মাইক্রোফিন-৩৬০ সল্যুশন ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর এবং ডাটাসফট-এর প্রেসিডেন্ট এম. মনজুর মাহ্‌মুদ, বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সেমিনারে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের সুবিধা যেমন – সহজে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন, ২৪/৭ লেনদেনের রিপোর্টিং, ক্যাশ বহন করার ঝুঁকি কমানো, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বৃদ্ধি, অটোমেটিক ব্যাংক সেটেলমেন্ট, ডিজিটাল রিসিট ও পাসবুক, যেকোনো সময়/স্থান থেকে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা প্রদান, *২৪৭# ডায়াল করে মাইক্রোফাইন্যান্স পেমেন্ট, এজেন্ট পয়েন্ট থেকে পেমেন্ট প্রদান সহ সার্বিক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম আরও কার্যকর, সহজ, দ্রুত, সময় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ করার বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

এসময় ক্ষুদ্রঋণ কর্মকাণ্ডে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুসলিম এইড বাংলাদেশ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান চৌধুরী ও পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)-এর মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগের ডিরেক্টর মশিউর রহমান। এছাড়াও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ব্যুরো বাংলাদেশের অপারেশন ডিরেক্টর ফারমিনা হোসেন, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাকটিসেস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিফতা নাঈম হুদা এবং বাসা ফাউন্ডেশন-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আ. ক. ম. সিরাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ডাটাসফট দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের মাইক্রোফিন৩৬০ সল্যুশনের মাধ্যমে ডাটা ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম সেবা দিয়ে আসছে। ডাটাসফটের এই সেবা ব্যবহার করা দুইশতাধিক ক্ষুদ্রঋণদানকারী এনজিওর প্রায় এক কোটি গ্রাহক এখন বিকাশ-এর মাধ্যমে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ঋণের কিস্তি পরিশোধের সুবিধা পাচ্ছেন যা তাদের মূল্যবান সময় ও খরচ বাঁচাচ্ছে। বিকাশ ও ডাটাসফটের যৌথ সেবা সারাদেশের পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সম্বন্বয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

;