বড় ব্যবসায়িরা বেশি ঋণখেলাপি হন: এফবিসিসিআই

ছবি: বার্তা২৪.কম
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে চায় না ব্যাংক। তারা দাবি করে এরা ঋণখেলাপি হবে। কিন্তু বড় ব্যবসায়িরাই বেশ ঋণখেলাপি হন। ছোটরা ঠিকই ঋণের টাকা পরিশোধ করে দেন।
শনিবার (২২ জানুয়ারি ) মতিঝিলের এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে 'দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় চেম্বারের ভূমিকা, সমস্যা ও সম্ভাবনা' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার মধ্যে ব্যবসায়িরা যেন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেন সেজন্য দুটি প্রণোদনা প্যাকেজ দেন প্রধানমন্ত্রী। বড় ব্যবসায়িদের জন্য এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ও এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ। বড় ব্যবসায়িরা প্রণোদনার টাকা পেলেও এসএমই উদ্যোক্তারা পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের মাত্র ২০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক বড় বড় কোম্পানি পথে বসে গেছে। আমাদের এখানেও অনেক ক্ষতি হয়েছে। গতবছর লকডাউনের কারণে অনেক কোম্পানি বসে ছিল। তারা এখনো ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরমধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। ঋণ পরিশোধের সময় যদি না বাড়ায় তাহলে অনেক কোম্পানি ঋণখেলাপি হয়ে যাবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে শুল্ক বেশি দিতে হচ্ছে। এতে রাজস্ব বেশি আয় হচ্ছে। রাজস্ব আয় বাড়া খুশির সংবাদ কিন্তু ব্যবসায়িদের ক্ষতি করে বাড়াটা ভাল খবর নয়। কাঁচামালের দাম বাড়ায় পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। যারা কর দিচ্ছে তাদের উপর সরকার আরও কর বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), মহামারীর কারণে গতবছর ৯ মাস মন্দা গেছে। ব্যবসায়িরা ব্যবসায় করতে পারনি। ব্যাংকে ঋণের কিস্তির মেয়াদ না বাড়ালে তারা কিস্তি কিভাবে দিবে তাদেরতো হাতে টাকা নাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বিবেচনা করবে বলে আমি আশা করি।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, শিল্পনীতি, ভ্যাট হয়রানি এটা নতুন নয়। অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও ভ্যাট অটোমেশনের দিকে যেতে পারিনি। ভ্যাট অটোমেশন না হলে ব্যবসায়িদের হয়রানি বন্ধ হবে না।
কাউন্সিল অব চেম্বার প্রেসিডেন্টস এর সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর সভাপতিত্বে দেশের বিভাগীয় চেম্বার অব কমার্স ও জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।