বিশ্ববাজার ধরতে ইলেকট্রনিক পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিশ্ববাজার ধরতে ইলেকট্রনিক পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান

বিশ্ববাজার ধরতে ইলেকট্রনিক পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দেশীয় পণ্যের মান যথাযথভাবে নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।

শনিবার (১৪ মে) বিকেলে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস মার্চেন্ডাইজ শীর্ষক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি বলেন, একসময় ইলেকট্রিক্যাল পণ্য আমদানি করতে হত আমাদের। এখন প্রায় ৮০ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের প্রসারের জন্য কমপ্লায়ান্স একটি বড় ইস্যু। মানসম্মত পণ্য তৈরি করতে পারলে বিশ্ববাজারে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ছোট বড় সব কোম্পানিই দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ছোট ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে সরকারও যথেষ্ট নিরাপত্তা দিচ্ছে। তাদের জন্য নীতিমালা তৈরিতে সহযোগীতা করতে হবে আমাদেরকে। শুধুমাত্র নিজস্ব ব্যবসার উন্নতি হিসেব না করে পুরো খাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে আমাদের। এসময় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান মোঃ জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ইলেকট্রিক্যাল সহ যেসব খাতের পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করে রাজস্ব আয় করা সম্ভব, সেসকল খাতকে পূর্ণ সহযোগীতা করতে হবে আমাদের।

এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ জনাব এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, গার্মেন্টস, চামড়াসহ প্রায় সব খাতে নীতিমালা থাকলেও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের উন্নয়নে কোন সুনির্দিষ্ট নীতমালা নেই। যার ফলে দেশের অল্প কিছু কোম্পানি ছাড়া বেশিরভাগই মন্দা অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, ছোট ও মাঝারি উদ্যেক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে তারা ব্যাংক থেকে দেয়া ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবে। ফলে ব্যাংক ও উদ্যোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি ও কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল খান সরকারের কাছে এ খাতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ এর সুবিধাসহ টেলিভিশন প্রস্তুতে আলাদা শিল্পাঞ্চলের দাবি জানান।

এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ও কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী ইকবাল জানান, গবেষণা ও যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকার কারনে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের লক্ষনীয় প্রসার হচ্ছে না। এ খাতের উন্নয়নে সামগ্রিক ম্যাপিং করে কাজ করা দরকার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক ও কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাব্বাত উল্লাহ। ইলেকট্রনিকস খাতে তথ্য উপাত্তের ঘাটতি উল্লেখ করে তিনি নিজ উদ্যোগে এ খাতের ডাটাব্যাংক তৈরি করে এফবিসিসিআইর মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান।

সভায় নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি তৈরিতে সরকারের প্রণোদনা পাওয়া, সরকারি প্রকল্পে দেশীয় ক্যাবলের ব্যবহার বাড়ানো, দুবাই বা আফ্রিকাতে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের হাব তৈরি করা, এ খাতে সরকারের ১৫% নগদ প্রণোদনা সহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন কমিটির অন্য সদস্যরা।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই,র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মোঃ আমিন হেলালী, পরিচালক হাফেজ হারুন, সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমীন, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, সালাউদ্দিন ইউসুফ, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মাদ মাহফুজুল হক সহ অন্য সদস্যরা।

বিজিএপিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন মোহাম্মদ বেলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) প্রায় দুই হাজার গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী দেশের পশ্চাৎসংযোগ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক সংগঠন। এ সংগঠন তার প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৯১ সাল হতে এসোসিয়েশনের সদস্যদের ও সেক্টরের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

দীর্ঘ ৩২ বছরের পথ পরিক্রমায় এসোসিয়েশনের পরিচালনা পরিষদ দেশের রপ্তানিতে যেমন অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে,সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণেও তেমনি সাফল্য দেখিয়েছে। এসোসিয়েশনের পরিচালনা পরিষদের তৎপরতার কারনে সরকার প্রস্তাবিত ২০২৩-২০২৪ সালের বাজেটে পশ্চাৎসংযোগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইনসেনটিভ প্রদানের প্রস্তাব করেছে। ২০২৭ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে দেশের রপ্তানি খাতসমূহ আন্তর্জাতিক বাজারে যে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে তা মোকাবিলার জন্য এসোসিয়েশনের প্রত্যেক সদস্যকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিচালনা পরিষদকে রাখতে হবে আরো জোরালো ভূমিকা।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসোসিয়েশন সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাঁর অনুপস্থিতিতে ৩ জুন অনুষ্ঠিত পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভায় সংঘবিধি অনুযায়ী ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বেলালকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এখন থেকে মোহাম্মদ বেলাল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

;

মহাখালীতে স্বপ্ন'র ৩৪১তম আউটলেট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মহাখালীতে স্বপ্ন'র ৩৪১তম আউটলেট

মহাখালীতে স্বপ্ন'র ৩৪১তম আউটলেট

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’ এখন রাজধানীর মহাখালীতে।

শনিবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় স্বপ্নের নতুন এই আউটলেট উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নের হেড অব রিটেইল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সাইফুল আলম রাসেল, স্বপ্ন’র রিজিওনাল হেড অব অপারেশন্স আশরাফুল ইসলাম, রিজিওনাল ম্যানেজার অপারেশন্স নাসিরুল কবির, হোটেল জাকারিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া, পরিচালক মো. আলী হোসেন মিয়াসহ অনেকে।

স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, স্বপ্ন এখন দেশের ৫৬টি জেলায়। মহাখালীর নতুন এই আউটলেটে আমাদের সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে। আশা করছি, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পরিবেশে গ্রাহকরা নতুন এই আউটলেটে নিয়মিত বাজার করবেন।

স্বপ্নর অপারেশনস ডিরেক্টর আবু নাছের জানান, উদ্বোধন উপলক্ষে স্বপ্নর পক্ষ থেকে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে মাসব্যাপী আকর্ষণীয় সব অফার। বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি ছাড়াও থাকছে নগদ মূল্যছাড়।

নতুন আউটলেটের ঠিকানা: হ্লোডিং নং : ৩৫, বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়ক ( হোটেল জাকারিয়ার নীচে), মহাখালী, ঢাকা। মহাখালীর আউটলেটের হোম ডেলিভারির জন্য যোগাযােগের নাম্বার : ০১৪০১-১৮৮১২১ ।

;

‘এবারের বাজেট বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কর ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের অভাবে প্রত্যাশিত লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয় না। বিগত ১১ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড টার্গেটকৃত কর আহরণ করতে পারিনি। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবারের বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারের টাকার ভয়ানক অভাব। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে অর্থসংকট মোকাবিলার চেষ্টা করলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। গত ১৫ বছরে ১ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়েনি অথচ আগামী অর্থবছরে ৪ শতাংশ বিনিয়োগ বৃদ্ধির টার্গেট নেওয়া হয়েছে যা বাস্তব সম্মত নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হলেও জনসেবার মান বাড়েনি বরং দুর্নীতি রেড়েছে।

তিনি বলেন, প্রশাসন নিজেরা নিজেদেরই সেবা দেয়। দেশে জনসেবার বদলে জনশাসন চলছে। ব্যাপক দুর্নীতির কারণে টাকা পাচার বাড়ছে। টাকা পাচার রোধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এবারের বাজেটে বেকারত্ব দূরীকরণ, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, নব্য দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার, অনানুষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের জীবিকা নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স আহরণে প্রণোদনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়েও সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি এবারের বাজেটে বক্তৃতায়।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রফতানিমুখী বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। একদিকে স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে বাজেটে অন্যতম অপরিহার্য শিক্ষা উপকরণ কলমের উপর করারোপ করা হয়েছে। যা আমাদের হতাশ করেছে। আমরা একদিকে পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহারের গুরুত্ব দিচ্ছি। অন্যদিকে বাইসাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানির উপর করারোপ করে স্মার্ট ক্লাইমেটকে নিরুৎসাহিত করছি।

‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা গৌণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার বিতার্কিকদের পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, শারমীন রিনভী ও মুনিমা সুলতানা প্রমুখ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

;

সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা ও গ্রহীতা বৃদ্ধিতে নগদের শুভেচ্ছা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নগদ’র লগো

নগদ’র লগো

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা ও গ্রহীতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল নগদ। মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।

একইভাবে এবারের বাজেটে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাতার পরিমাণ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আরো ৮ লাখ ৫০ হাজার ভাতাভোগীর পরিমাণ বাড়িয়েছেন, যা গরিব মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করবে।

পাশাপাশি ভাতাভোগীদের মাসিক ভাতার পরিমাণ বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিভিন্ন পর্যায়ের ভাতাভোগীর ভাতা ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে বলে বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নগদ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘এমন কঠিন সময়ে খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। একই সময়ে ডিজিটাল ডিসবার্সমেন্টের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে টাকা সুবিধাভোগীর কাছে স্বচ্ছতার সাথে পৌঁছানো যাবে। যাত্রার শুরু থকে সরকারের শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ভাতা স্বচ্ছভাবে বিতরণ করে এই খাতের অনিয়ম দূর করেছে নগদ।’

২০২১ ও ২০২২ সালে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ৭৫ শতাংশ ভাতা নগদ উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এরমধ্যে বয়ষ্ক, বিধবা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, বেদে সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ভাতা এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেদের উন্নয়ন ভাতাও পৌঁছে দিয়েছে নগদ।

এ ছাড়াও নগদ প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি শতভাগ বিতরণসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় উপবৃত্তি, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে দেওয়া ভাতা, পিছিয়ে পড়া ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের ভাতাও সফলতার সাথে বিতরণ করেছে ডাক বিভাগের সেবা নগদ।

করোনা মহামারীর সময় দুইবার ২৫০০ পরিবারের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের টাকা পৌঁছে দিয়েছে নগদ লিমিটেড। এসব কারণে সরকারি সকল ভাতা বিতরণে নগদ সরকারের প্রথম পছন্দ।

গত ১ জুন বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সরকারের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা আগামী বছরের জন্য আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খুব নিয়ন্ত্রিতভাবে সাজিয়েছি।’

 

;