অনিয়ম-দুর্নীতি, ব্যর্থতার পরও শীর্ষ পদে আতাউর রহমান প্রধান!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অনিয়ম-দুর্নীতি, ব্যর্থতার পরও শীর্ষ পদে আতাউর রহমান প্রধান!

অনিয়ম-দুর্নীতি, ব্যর্থতার পরও শীর্ষ পদে আতাউর রহমান প্রধান!

  • Font increase
  • Font Decrease

আতাউর রহমান প্রধান। ৩৭ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে বর্তমানে তিনি সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে ঋণ পাইয়ে দেওয়া, অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এরপরও প্রভাবশালীদের ধরে ব্যাংকিং খাতের শীর্ষ পদে রয়েছেন আতাউর রহমান।

আতাউর রহমান প্রধান তিন বছর সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডের শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন। তার সময়ে সংঘটিত অনিয়ম-দুর্নীতি আর পরিচালন ব্যর্থতায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটি। আগামী ১৬ আগস্ট বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মালিকানার একমাত্র ব্যাংকটি বন্ধ হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকার পরও একজন ব্যক্তিকে কিভাবে পদন্নোতি দিয়ে শীর্ষ পদে রাখা হয় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তারা বলছেন, দেশের আর্থিক খাতের প্রভাবশালী একটি অংশের আশীর্বাদে আতাউর রহমান প্রধান তিরস্কৃত হওয়ার পরিবর্তে পুরস্কৃত হয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রের ক্ষতি করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।

আতাউর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ইউকে নিয়ে সোমবার  একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক বণিক বার্তা। প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকটির ২০১২ সালের মার্চ থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন আতাউর রহমান প্রধান। ওই সময় একের পর এক দুর্ঘটনা ও আর্থিক অপরাধ সংঘটিত হয় ব্যাংকটিতে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২ জুন ব্যাংকটির ওল্ডহ্যাম শাখা থেকে সুইফট কোড জালিয়াতির মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার হাতিয়ে নেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর শাখাটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। ২০১৭ সাল থেকে চালু আছে শুধু লন্ডন ও বার্মিংহাম শাখা। ২০১০ সালের ২০ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ২১ জুলাই সময়ে অর্থ পাচার প্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডকে ৩২ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করে যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি (এফসিএ)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৫ কোটি টাকারও বেশি। বন্ধ করে দেয় নতুন হিসাব খোলা। শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বে অবহেলা, সুপারভাইজরি ঘাটতি ও অন্যান্য কারণে ৭৬ হাজার ৪০০ পাউন্ড জরিমানার মুখে পড়েন আতাউর রহমান প্রধানও।

এছাড়া সোনালী ব্যাংক ইউকের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান স্টিভেন স্মিথকে এ ধরনের চাকরিতে নিষিদ্ধ ও ১৮ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়। জরিমানার ৩২ লাখ পাউন্ড অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগার থেকেই পরিশোধ করতে হয়।

যুক্তরাজ্যের এফসিএ কর্তৃক জরিমানার মুখে পড়ার বিষয়টি প্রায় ২ বছর পর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। তবে এত ঘটলেও ২০১৯ সালে আতাউর রহমান প্রধান পদোন্নতি পেয়ে রূপালী ব্যাংক থেকে সোনালী ব্যাংকের এমডি হয়েছেন। বিনিময়ে তিনি প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রায়ত্ত এ দুটি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রজ্ঞাপন অনুসারে, কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক ব্যাংক কর্মকর্তা শাস্তিপ্রাপ্ত হলে তিনি শীর্ষ নির্বাহী হতে পারবেন না। এই বিধি সত্ত্বেও আতাউর রহমান প্রধান কীভাবে রূপালী ও সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী হলেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আতাউর রহমান প্রধান আপিল করেছেন। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় তাকে এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই আতাউর রহমান প্রধান দুটি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর পদে মেয়াদ শেষ করতে চলেছেন।

আতাউর রহমান প্রধানকে শাস্তি না দিয়ে পদোন্নতি দেওয়াকে দুর্নীতিবাজ পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি)।  সংস্থাটি মনে করে, দুর্নীতিবাজকে শাস্তি না দিয়ে পদোন্নতি দেওয়া দুর্নীতি উৎসাহ দেওয়ার সমান। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্তৃক সোনালী ব্যাংক ইউকে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের বিষয়ে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।

বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের জোগান দেয়া মূলধনে প্রতিষ্ঠিত হয় সোনালী ব্যাংক ইউকে। এর মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মালিকানা রয়েছে ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। ২০০১ সালে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে যুক্তরাজ্যে কার্যক্রম শুরু করে ব্যাংকটি। প্রতিষ্ঠার পর কয়েক দফায় দেশ থেকে মূলধন জোগান দেয়ায় এখন সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডের মূলধনের পরিমাণ ৬ কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ড। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৬ কোটি ডলার ঋণও দেয়া হয়।

যদিও শেষ পর্যন্ত বন্ধ করা হচ্ছে বিদেশের মাটিতে একমাত্র বাংলাদেশি মালিকানার ব্যাংকটি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রুডেন্সিয়াল রেগুলেশন অথরিটি (পিআরএ) এবং ফাইন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটির (এফসিএ) সিদ্ধান্তে বন্ধ হচ্ছে সোনালী ব্যাংক ইউকে। গত ২৭ জানুয়ারি বিষয়টি সোনালী ব্যাংক ইউকে-কে জানিয়েও দেয়া হয়েছে।  

তবে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ব্যাংকটিকে বাঁচাতে তত্পর হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এজন্য সোনালী ব্যাংক ইউকের পরিবর্তে যুক্তরাজ্যে দুটি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। মোট চারটি প্রস্তাব দিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

এ সব বিষয়ে আতাউর রহমান প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নিষেধাজ্ঞা আছে বলে জানিয়েছেন। কারণ তিনি তার বিরুদ্ধে এফসিএর জরিমানা করার বিষয়টি নিয়ে আপিল করেছেন।

   

বোয়িং

৬ ড্রিমলাইনার নিয়ে শঙ্কা, কী আপডেট বিমানের



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিশ্বের সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ‘ড্রিমলাইনার’-এর নির্মাণে ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে বলে দাবি করে এই মডেলের সব উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলী স্যাম সাহেলপৌর সম্প্রতি এ কথা বলায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ওই প্রকৌশলী অভিযোগ করেছেন, বোয়িং ৮৭৮ ড্রিমলাইনার ছাড়া বোয়িং ৭৭৭ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে সব উড়োজাহাজের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এদের ঝুঁকি বিপর্যকর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।

স্যাম এটাও বলেন, আমি কখনোই উড়োজাহাজের এমন গুরুতর অবস্থা দেখিনি। তাই, কখনোই আমার পরিবারের সদস্যদের বোয়িং ড্রিমলাইনারে উঠতে দেবো না।

এই ঘটনার পর বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

এরপর বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে বোয়িংয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো আপডেট পেলে মন্ত্রীকে জানাবো।

পরবর্তীতে মন্ত্রী বলেছেন, বিমানের বহরে থাকা ‘ড্রিমলাইনার’ উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশ সরকার ও বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়।

ড্রিমলাইনার কতটা নতুন
বিমানমন্ত্রী ফারুক খান বোয়িংয়ের ত্রুটির বিষয়ে ত্বরিত নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি যেমন প্রশংসিত, তেমনি তিনি বলেছেন, ‘ড্রিমলাইনার’-এর উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় এর কারিগরি ত্রুটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজ, ছবি- সংগৃহীত

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের আগস্টে দেশে প্রথম ড্রিমলাইনার অবতরণ করে। এরপর একে একে বিমানের বহরে যুক্ত হতে থাকে ‘ড্রিমলাইনার’-এর উড়োজাহাজগুলো। সর্বশেষ, ‘ড্রিমলাইনার’টি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। সে হিসাবে এসব উড়োজাহাজ পুরোপুরি নতুন নয়।

দুর্ঘটনা পিছু ছাড়ছে না বোয়িংকে
মাঝ আকাশে আলাস্কা এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের দরজা খুলে যাওয়ার ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় এলো একই কোম্পানির ‘ড্রিমলাইনার’ মডেলের উড়োজাহাজগুলো।

‘ম্যাক্স’-এর ঘটনার পর বোয়িং ৭৮৭-৮০০ উড়োজাহাজের জানালায় ফাটলের ঘটনায় জাপানের তোয়ামা বিমানবন্দর থেকে নিপ্পন এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজটি ছেড়ে গিয়ে দ্রুতই আবার বিমানবন্দরে ফিরে আসে। দুটি ঘটনাতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় উড়োজাহাজ দুটি। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে বোয়িং ৭৪৭-এর একটি উড়োজাহাজে মাঝ আকাশে আগুন লাগে।

কেন বিমানের ড্রিমলাইনারের উইন্ডশিল্ডে ফাটল
বোয়িংয়ের উড়োজাহাজের দুর্ঘটনার ঝাপটা এসে লেগেছে বিমানেরও। গত জানুয়ারিতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজের উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা দেয়।

দাম্মামগামী উড়োজাহাজটি দুই ঘণ্টা ফ্লাই করার পর ফের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বোয়িংটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন তানিয়া রেজা। উড়োজাহাজটি ২৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ফের ঢাকায় অবতরণ করতে সক্ষম হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করে। ওই উড়োজাহাজের উইন্ডশিল্ডেও ফাটল দেখা দিয়েছিল। যদিও সেটি বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ নয়। এটি লিজে আনা হয়েছিল।

উইন্ডশিল্ডে ফাটলের বিষয়ে এক বৈমানিক বলেন, উইন্ডশিল্ডে ফাটল সচরাচর ঘটে না। মাঝ আকাশে উইন্ডশিল্ডে ফাটল অবশ্যই ভীতিকর। উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেলে উড়োজাহাজের ভেতরে চাপ কমে তা ভারসাম্যহীন হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বিমানের প্রকৌশল পরিদপ্তরের পরিচালক এয়ার কমোডর মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, চার বছরের মাথায় সাধারণত উড়োজাহাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটার কথা না।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘বোয়িং ম্যাক্স’ দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার আবার নতুন করে ‘ড্রিমলাইনার’-এর নিরাপত্তার ইস্যুটি সামনে এলো। তাই, এটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপিত বিষয়টির সুরাহা করা উচিত।

 

;

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে দুই মাসব্যাপী ১৫৮তম ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকায় এ প্রোগ্রাম শুরু হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

আইবিটিআরএ’র প্রিন্সিপ্যাল মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মিয়া, মুহাম্মদ হাসনাইন আবিদ ও মো. মিজানুর রহমান এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন শিক্ষার্থী ৬০ দিনব্যাপী এ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন।

সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম।

;

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।

চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাব বছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮ তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ১৪.৭৯ শতাংশ।

এছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা।

এছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 

;

চ্যাম্পিয়ন বরিশালকে নগদের ২০ লাখ টাকা উপহারের চেক হস্তান্তর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রতিশ্রুতিমতো ফরচুন বরিশালের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের হাতে ২০ লাখ টাকা উপহার তুলে দিয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেড। সম্প্রতি রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।

নগদের পক্ষে এই চেক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক। আর ফরচুন বরিশালের পক্ষে চেক গ্রহণ করেন দলটির স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান এবং অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমানের পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি, সাইফউদ্দিন, শামীমসহ বরিশাল দলের খেলোয়াড়েরা এবং দলটির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বরিশাল ফরচুনের সঙ্গে নগদের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও এই দলেরই অধিনায়ক তামিম ইকবাল বেশ কয়েক বছর ধরে নগদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। তাছাড়া মুশফিকুর রহিম যুক্ত আছেন নগদ ইসলামিকের সঙ্গে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজও নানাভাবে নগদের প্রচারের জন্য কাজ করছেন। মূলত নগদের উদ্ভাবনী শক্তি এবং চমকপ্রদ সেবা দেশসেরা তারকাদের নগদের ডেরায় ভিড়িয়েছে। তাছাড়া এবারের আসরের ‘পাওয়ার্ড বাই’ ক্যাটাগরিতে বিপিএলের সঙ্গে যুক্ত ছিল নগদ।

অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বরিশাল ফরচুন দলের আমন্ত্রণে এবারের বিপিএল ফাইনালে খেলাও দেখতে গিয়েছিলেন নগদের প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুক। ফাইনালের আগে ব্যাট করা কুমিল্লা ছয় উইকেটে ১৫৪ রান করে। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। তামিম টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।

বরিশাল বেশ কয়েকবার ফাইনালে গিয়েও এর আগে শিরোপা জিততে পারেনি। এবারও তাদের নিয়ে কোনো হইচই ছিল না। বরং তাদের ‘বুড়োদের দল’ হিসেবেও বলেছে অনেকে। তবে টুর্নামেন্ট শুরু হতেই সব আলোচনা বদলে দিয়েছেন তাঁরা। প্রবল দাপট দেখিয়ে উঠে এসেছেন তারা ফাইনালে।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই আত্মহারা আনন্দে মেতে ওঠে বরিশাল। সেখান থেকে ভিডিও কলে তানভীর এ মিশুককে যুক্ত করেন দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তানভীরও তামিম এবং তাঁর দলকে শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেন। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বয়ে যায়।

এই প্রতিশ্রুত অর্থ ঈদের আগেই বরিশালের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এক অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে। অর্থ হস্তান্তরের সময় বরিশালের অধিনায়ক এবং দেশ সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল বলেন, তানভীর ভাই অত্যন্ত ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। তিনি শুরু থেকে আমাদের বরিশাল দলের সাথে ছিলেন এবং সবসময় খোজখবর রেখেছেন। কেবল আমরা এখানে খেলেছি বলে নয়, উনি ক্রিকেট প্রেমের কারণেই বরিশালের সাথে থেকেছেন। আমরা খুবই খুশি যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ওনার কাছ থেকে এই শুভেচ্ছা উপহার পেলাম। এটা দলের সবাইকে উৎসাহ জোগাবে।

ফরচুন বরিশালের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান এই অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা অনেকবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা এর আগে জিততে পারিনি। ফলে এবারের আনন্দটা আসলেই বিশেষ রকমের। আমাদের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করায় আমি নগদ এবং তানভীর এ মিশুক ভাইকে ধন্যবাদ জানাই।

সবশেষে চেক হস্তান্তর করে তানভীর এ মিশুক বলেন, বিপিএলের একটি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আমরা পুরো টুর্নামেন্টের সাথেই একাত্ম ছিলাম। এরমধ্যে বরিশাল দলকে সবসময় আমার নিজের দল বলে মনে হয়েছে। আমার কয়েকজন প্রিয় খেলোয়াড় ও নগদের প্রতিনিধি এই দলে খেলেছেন। ফলে আমরা এটাকে আমাদের দল বলেই মনে করেছি।

উল্লেখ করা যেতে পারে তামিম ইকবাল ও তানভীর এ মিশুকের উদ্যোগেই একটি পাঁচতারকা হোটেলে এবার ইফতারি ও নৈশভোজ করানো হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। সেই সাথে এই কর্মীদের ৫০ হাজার টাকা করে ঈদ উপহার দিয়েছেন নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুক।

;