বিবিয়ানায় ফুরিয়ে যাচ্ছে গ্যাসের মজুদ, কমছে উৎপাদন



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিবিয়ানায় ফুরিয়ে যাচ্ছে গ্যাসের মজুদ, কমছে উৎপাদন

বিবিয়ানায় ফুরিয়ে যাচ্ছে গ্যাসের মজুদ, কমছে উৎপাদন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফুরিয়ে যাচ্ছে বিবিয়ানার গ্যাস ফিল্ডের মজুদ, কমে আসছে উৎপাদন। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করা হচ্ছে বিবিয়ানা থেকে। হঠাৎ করেই বড় ধরণের ছন্দপতন হতে পারে, তেমন পরিস্থিতি হলে সামাল দেওয়ার মতো বিকল্প নেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের হাতে।

সবচেয়ে বড় ওই গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানার উৎপাদন প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। ২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর গ্যাস উত্তোলন করা হয় ১৩৩৪.৯ মিলিয়ন ঘনফুট। পরের বছর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর উৎপাদন নেমে আসে ১২৪৬.৮ মিলিয়নে। আর গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) উৎপাদন হয়েছে ১১২৮.৮ মিলিয়ন ঘনফুট। পেট্রোবাংলার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী গত জুনের ১ তারিখে ১২৫৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পরের মাসে (জুলাই) ২০ মিলিয়ন কমে ১২৩৭ মিলিয়ন উত্তোলিত হয়। আগস্টে আরও ৬ মিলিয়ন কমে ১২৩১ মিলিয়নে দাঁড়ায়। সেপ্টেম্বরে আরও ৬ মিলিয়ন কমে ১২২৫ মিলিয়নে এ নেমে আসে।

মজুদ বিবেচনায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় গ্যাস ফিল্ড বলা হয় বিবিয়ানাকে। পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, ১৯৯৮ সালে আবিষ্কৃক গ্যাস ফিল্ডটিতে প্রমাণিত, সম্ভাব্য ও সম্ভাবনাময় মিলে ৭০৮৪ বিসিএফ (৭.০৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস মজুদ ধারণা করা হয়। বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের মালিকানাধীন ওই ফিল্ডের প্রমাণিত মজুদ ৪৪৪৫ বিসিএফ (বিলিয়ন ঘনফুট) আর সম্ভাব্য মজুদ বিবেচনা করা হয় ৫৭৫৫ বিসিএফ। ফিল্ডটি থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর পর‌্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে ৪৯৯১.৬০ বিসিএফ। অবশিষ্ট গ্যাস মজুদ রয়েছে ৭৬৩.৮৩ বিসিএফ।

পেট্রোবাংলার ওই হিসেবের পর ইতোমধ্যে ৩১৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এতে দৈনিক কমবেশি ১.২৫ হারে সর্বোমোট প্রায় ৩৩৯ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে অবশিষ্ট গ্যাসের মজুদ রয়েছে মাত্র ৪২৪ বিসিএফ। দৈনিক ১.১২ (১৫ নভেম্বর ২২) গ্যাসে উত্তোলন অব্যাহত থাকলে প্রকৃত অর্থে ৩৭৮ দিনের মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খোন্দকার আব্দুস সালেক সুফী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, গ্যাস ফিল্ডটিতে উৎপাদন কমে আসবে এটা সবার জানা। শঙ্কার হচ্ছে যে কোন সময় বড় ধরনের ধ্বস নামতে পারে। শেষ দিকে গ্যাসের চাপ কমে যায়, তখন হঠাৎ করেই বড় ধরণের পতন হয়ে থাকে। অনেক দিন ধরেই কমপ্রেসর লাগিয়ে বাড়তি উৎপাদন করা হচ্ছে।

বিবিয়ানার পাশাপাশি সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদনও নিম্নমুখী। গত জুনের ১ তারিখে ৯৬.৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। জুলাইয়ে ৯২.৪ মিলিয়ন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ৯১, অক্টোবরে ৯০ এবং নভেম্বরে ৮৯ মিলিয়নে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির উৎপাদনও নিম্নগামী। গত এপ্রিলে ৬৩৯ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা হলেও নভেম্বরের ১৫ তারিখে ৬১৪ মিলিয়নে নেমে এসেছে।

যদিও বিবিয়ানায় মজুদের তুলনায় অনেক বেশি মজুদ রয়েছে ওই দু’টি কোম্পানির গ্যাস ক্ষেত্রে। ১.২২ টিসিএফ মজুদ থেকে আমেরিকান কোম্পানি শেভরন দৈনিক উৎপাদন করছে ১১২৮ এমএমসিএফ। প্রায় দ্বিগুণ মজুদ (২.০২৬ টিসিএফ) থাকার পরও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে মাত্র ৩৩.৭ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

বিবিয়ানার তুলনায় গ্যাসের রিজার্ভ অনেক বেশি তিতাস ও রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডেও। সেখানেও আশানূরূপ উৎপাদন করা হচ্ছে না। ১৯৬০ সালে আবিষ্কার হওয়া রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের অবশিষ্ট মজুদ (প্রমানিত ও সম্ভাব্য মিলে) রয়েছে (৩১ ডিসেম্বর ২০২০ হিসেব অনুযায়ী) ১.৭৭৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। রশিদপুরে গত ১৫ নভেম্বর গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে মাত্র ৪৩.৭ মিলিয়ন ঘনফুট। অন্যদিকে ভোলা আইল্যান্ডে অনেক উদ্বৃত্ব গ্যাস থাকলেও পাইপ লাইনের অভাবে মূল ভূ-খণ্ডে আনা যাচ্ছে না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎপাদনে বড় ধরণের ধস নামলে সামাল দেওয়ার মতো বিকল্প নেই। ঘাটতি মেটাতে আমদানি বাড়ানো হবে সেই সুযোগও নেই। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির জন্য দু’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে। নতুন করে আরও দু’টি ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা এখনও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে রয়েছে। কার‌্যাদেশ দেওয়ার পর কমপক্ষে ১৮ মাস সময় লাগবে । এছাড়া একটি ল্যান্ড বেজড এলএনজি টার্মিনালের উদ্যোগ রয়েছে, সেই প্রক্রিয়ায় কাগজে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাড়তি গ্যাস আমদানি সুযোগ একেবারেই ক্ষীণ। ততদিন বিবিয়ানা থেকে পাওয়া ১২০০ মিলিয়ন গ্যাস নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিবিয়ানার রিজার্ভ কমে আসছে, সেটি সামাল দেওয়ার জন্য সেখানে নতুন এলাকায় কূপ খননের কাজ শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে ভালো পরিমাণে গ্যাস পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার চলমান রয়েছে। এতে ৬১৮ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিবিয়ানার রিজার্ভের বিষয়টি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শঙ্কার কিছু নেই, আমরা অনেক কাজ হাতে নিয়েছি, এতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আমদানির সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজও এগিয়ে নিচ্ছি। কাতার আরও বেশি পরিমাণে গ্যাস দিতে সম্মত হয়েছে, ওমানের সঙ্গে আলোচনাও ইতিবাচক ধাপে রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম কমে আসবে। দেশীয় গ্যাস ফিল্ডে যেটুকু কমে যাবে আমদানি করে সামাল দেওয়া হবে। গ্যাস সরবরাহে শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ২০২৫ সালে শিল্পে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশে মোট ২৮টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত হয়েছে। ২০টি গ্যাস ফিল্ডের ১০৪টি কূপ দিয়ে দৈনিক (১৫ নভেম্বর) ২২০৯ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এক সময় ২৮০০ মিলিয়ন পর‌্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫টি গ্যাস ফিল্ড (রূপগঞ্জ, কামতা, ফেনী, ছাতক ও সাঙ্গু) পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ৩টি গ্যাস ফিল্ড (কুতুবদিয়া, ভোলা ও জকিগঞ্জ) বন্ধ রয়েছে গ্যাস সঞ্চালন ব্যবস্থা না থাকায়।

বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এখনও তিমিরেই রয়ে গেছে মনে করে সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, স্বাধীনতার পর মাত্র ৪০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে, একই সময়ে ত্রিপুরা তার এলাকায় কূপ খনন করেছে ১৬০ টি।১০টি কূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারকে আন্তর্জাতিক মানদন্ড বিবেচনা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে তিনটি কূপ খনন করে ১টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ সীমানায় প্রথম কূপ খনন করা হয় ১৯১০ সালে ।বর্তমান সময় পর‌্যন্ত (১১০ বছরে) ৯৫টি  কূপ খননের মাধ্যমে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৪২টি কূপের মধ্যে বর্তমান সরকারের ১৩ বছরে ২১টি কূপ খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু সরকার তার সাড়ে তিন বছরে খনন করেছিলেন ৯টি কূপ। বঙ্গবন্ধু সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা হলে আজকে এই অবস্থার মুখোমুখি পড়তে হতো না।

ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার এতে সভাপতিত্ব করেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ ও সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

;

আজ থেকে সোনার ভরি ৯৮, ৪৪৪ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। নতুন দর আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে গত ২৯ মে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়েছিল জুয়েলার্স সমিতি।

দাম বাড়ায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকায়।

বুধবার (৭ জুন) পর্যন্ত হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;

নিয়োগ দিতে আর সনদ চায় না নগদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়ে উঠেছেন আলিফ আহমেদ

চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়ে উঠেছেন আলিফ আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়ে উঠেছেন আলিফ আহমেদ। একটা সময় বুঝতে পারলেন, চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি চাকরি করে স্বপ্নটাকে এগিয়ে নিতে হবে। যতক্ষণে এই উপলব্ধি হলো ততদিনে প্রথাগত পড়াশোনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন তিনি। এদিকে অন্তত স্নাতক শেষ না করে ভালো চাকরির প্রত্যাশাও করতে পারছিলেন না।

অনেকটা হতাশ হয়ে পড়া আলিফের সামনে চাকরির দুয়ারটা খুলে দিল মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ। প্রতিষ্ঠানটিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দিয়েছেন আলিফ। আর এখানে নিজের পছন্দের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজই করছেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির নানান ধরনের ভিডিও কন্টেন্টের পরিকল্পনা করা, ভিডিও ধারণ, এডিটিংসহ সংশ্লিষ্ট কাজগুলোই করছেন আলিফ। ফলে চাকরিটাকে আর চাকরি মনে হচ্ছে না তার কাছে। বরং আলিফ যেন নিজের স্বপ্নের দুনিয়াতেই হাঁটছেন। আলিফের মতোই যারা ভালোবাসার কাজটাকে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাদের জন্য কাজ করার সেরা জায়গা নগদ।

ফেসবুক, লিংকডইন, অ্যাপল, ডেল, আইবিএম বা টেসলার মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে এখন আর প্রথাগত সনদপত্রের প্রয়োজন নেই। কেবল সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষতা থাকলেই স্কিল টেস্ট দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরি মিলছে। প্রতিবেশি ভারতেও এমন ঢের উদাহরণ আছে। তবে বাংলাদেশে এই রেওয়াজ সবে শুরু হল নগদের হাত ধরে।

আইবিএম-এ কর্মী খোঁজার এই প্রক্রিয়া ‘নিউ কলার’ নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে তারা এই প্রক্রিয়ায় প্রথম কর্মী খোঁজা শুরু করে। ২০২১ সালে আমেরিকায় তাদের নিয়োগ করা কর্মীদের অর্ধেক নিয়োগে স্নাতক বাদ দিয়েছে।

সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত চাকরি পেতে শিক্ষা সনদকে আর প্রাধান্য দেওয়া হবে না- এ বছর মার্চে এমন সিদ্ধান্ত নেয় নগদ। একজন চাকরিপ্রার্থীর দক্ষতা-যোগ্যতাই বরং নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পাবে।

এটি আসলে বড় একটা সিদ্ধান্ত ছিল- বলছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক শাহরিয়ার সাঈদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও মনে করা হতো, স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগ দিতে ন্যূনতম স্নাতক পাস করা প্রার্থীদেরই বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে স্নাতকের আগেই অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলছেন। অনেকে আবার নানান কারণে ডিগ্রি নিতে পারছে না।

‘আমরা যারা কর্মী নিয়োগ করি তাদের জন্যে দক্ষ কর্মী বাছাই করাটাই আসল। সার্টিফিকেট তো আর কাজ করে দেবে না। ফলে আমরা অনেক পুরনো চিন্তাকে ছেড়ে ফেলে নতুনের শুরু করেছি,’ বলেন শাহরিয়ার।

যুগান্তকারী এমন সিদ্ধান্ত আলিফের মতো অনেকের ভাগ্য বদলে দিতে যাচ্ছে। আলিফ বলছিলেন, আমি যে পদে যোগ দিয়েছি, সেখানে সাধারণত স্নাতক সম্পন্ন করার পরও কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। আমি নিজের যেমন, গত দশ বছর ধরে এই কাজটা করছি ভালোবাসা দিয়ে। শুধু এই যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাওয়াটা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল।

চাকরির ক্ষেত্রে মূলত নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রার্থীর অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কাজের ধরণ-এগুলোকেই বিচার করে নগদ। দক্ষতা যাচাইয়ের জন্যে বিশেষায়িত সব বিভাগে আলাদা স্কিল টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। এই স্কিল টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই মিলছে নিয়োগপত্র।

দেশের ডিজিটাল আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে অনেকগুলো নতুনত্বের জন্ম দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি মনে করে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক, কাজ জানলে নগদ তার জন্য সঠিক জায়গা।

বর্তমানে নগদে ৭৫০ জনের বেশি কর্মী কাজ করছেন। দক্ষতাকেই বলা হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য শেষ কথা। শুধু দক্ষ কর্মী বাছাই-ই নয়, কর্মীদের জন্যে রঙিন সব আয়োজনও করছে প্রতিষ্ঠানটি। মাসের এক দিন ওই মাসে জন্মদিন থাকা কর্মীদের জন্য উপহার ও উৎসবের আয়োজন করার ঘটনা ইতিমধ্যে করপোরেট জগতে বেশ সাড়া ফেলেছে।

;

সোনার দাম ভরিতে ১,৭৫০ টাকা বাড়ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ছে। এবার ভরিতে বাড়ছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। নতুন দর বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার (৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পিওর গ্লোড) দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুসারে, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪) সোনার দাম ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম পড়বে ৯৩ হাজার ৯৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৮০ হাজার ৫৩৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম পড়বে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা।

এর আগে গত ২৮ মে সোনার দাম কমনোর ঘোষণা দেয় বাজুস। সে সময়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের ভরি ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরি ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা। এ দাম ২৯ মে থেকে কার্যকর হয়।

সোনার দাম বাড়লে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;