ঢাকার উত্তরাতে যাত্রা শুরু করলো এক্সক্লুসিভ ব্র‍্যান্ড 'ক্লথ বাংলাদেশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা ১৩ নাম্বার সেক্টরে চালু হওয়া এই শোরুমটিতে পাওয়া যাচ্ছে সকল ধরনের ব্র্যান্ডের পোশাক, আকর্ষনীয় জুতার কালেকশন সহ ছোট -বড় সবার জন্য ঈদের পাঞ্জাবি কালেকশন । তাছাড়া বাচ্চাদের  জন্য রয়েছে সুবিশাল প্লে- জোন।

উদ্বোধন ও ঈদ উপলক্ষ্যে এই শোরুমের সব ধরনের পণ্যের উপরে আকর্ষণীয় ছাড়। শুক্রবার (১০ মার্চ , ২০২৩) ফিতা কেটে ‘ক্লথ বাংলাদেশ' শোরুমের উদ্বোধন করা হয়।

‘ক্লথ বাংলাদেশ' শোরুমের  উদ্বোধন করেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো: আরিফুল আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সপ্নদ্রষ্টা জনাব আবু ইউসুফ সাহেব।

এলাকার মানুষের চাহিদা পূরণ ও উদ্বোধনী উপলক্ষে সকল  পোশাকের উপর চলছে ফ্ল্যাট ১০% শতাংশ ছাড়।

ভবিষ্যতেও এই শোরুম থেকে ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় বিভিন্ন সুবিধা দেয়া অব্যাহত থাকবে।

দুই দফা কমে আবার বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সোনার বাজারে অস্থিরতা চলছে। রেকর্ড দাম বৃদ্ধির পর চার দিনের ব্যবধানে সোনার দাম দুই দফা কমে আবার বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সোনার এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। এতে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়। 

তারও আগে, ১৮ মার্চ এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো বাড়েনি।

নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;

ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি রেমিট্যান্স উৎসবের মোটরসাইকেল হস্তান্তর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি রেমিট্যান্স উৎসবের মোটরসাইকেল হস্তান্তর

ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি রেমিট্যান্স উৎসবের মোটরসাইকেল হস্তান্তর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি ট্রান্সফার ক্যাশ রেমিট্যান্স উৎসবে বগুড়া জোনের অধীনে বিজয়ীদের নিকট মোটরসাইকেল হস্তান্তর অনুষ্ঠান ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) তে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী মালয়েশিয়া প্রবাসী আফসার আলী, শেখ মোঃ হান্নান ও মিজানুর রহমানের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া, মহাস্থানগড় ও দুপচাঁচিয়া শাখার গ্রাহক তানজিলা খাতুন, মোছাঃ মর্জিনা বিবি এবং মুর্শিদা-এর নিকট এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন। এ সময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জি.এম. মোহাঃ গিয়াস উদ্দিন কাদের, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. কে. এম মাহবুব মোর্শেদ এবং বগুড়া জোনপ্রধান মোঃ রেজাউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৪ মে ২০২৩ পর্যন্ত চলমান এই ক্যাম্পেইনে রিয়া মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রেরিত ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকদের মধ্যে প্রতি ব্যাংকিং দিবসে ১জন গ্রাহক মোটরসাইকেল জিতে নিতে পারবেন।

;

কাজ হয়েছে বলেই গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে: পেট্রোবাংলা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালে দেশীয় ফিল্ডগুলোর গ্যাসের উৎপাদন ১৯০০ এমএমসিএফডিতে (মিলিয়ন ঘনফুট দৈনিক) নেমে আসার কথা ছিল। পেট্রোবাংলা তথা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কাজ করেছে বলেই প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পেট্রোবাংলার বোর্ড রুমে জ্বালানি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন দাবি করেন। গত ২ জানুয়ারি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার। সাংবাদিকদের সঙ্গে এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়।

এলএনজি আমদানির বিষয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, দেশীয় উৎস থেকে আগামী কয়েক বছরে গ্যাস সরবরাহ খুব বেশি বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাগরে বড় কোন রিজার্ভ পেলেও তা সিস্টেমে আনতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ বছর সময়ের প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে নতুন নতুন শিল্পকারখানা হচ্ছে বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। তাই চাহিদা পূরণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। তিনটি নতুন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন ও এলএনজি আমদানির উৎস বাড়াতে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, এলএনজি আমদানির জন্য দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আছে মহেশখালীতে। দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির সক্ষমতা রয়েছে। আবহাওয়া ও অন্যান্য কারণে নিদিষ্ট কোন দিনে হয়তো ৯৯৯ পর্যন্ত সরবরাহ দেওয়া সম্ভব। তবে গড়ে ৮৫ শতাংশের অর্থাৎ ৮৫০ মিলিয়নের বেশি সম্ভব না। এলএনজি আমদানির সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে। পায়রায় একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল করার বিষয়ে এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে এক মাসের মধ্যেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। টার্মিনালটির সক্ষমতা হবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ও পরে বাড়ানো হবে।

মহেশখালীতে একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে সামিট গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছু বিষয়ে মতানৈক্য দূর হলেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ টার্মিনাল থেকে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এলএনজি সরবরাহ করা যাবে। তবে পায়রায় পাইপলাইন না থাকায় গ্যাস সরবরাহ পেতে তিন বছর লাগতে পারে। এর বাইরে মহেশখালীতে স্থলভাগের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। জমির বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির অনাপত্তি পেলেই প্রস্তুতি শুরু হবে। এটি প্রথমে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার করা হবে, পরে দ্বিগুণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে কাতার এবং ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বছরে ৫৬টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করে দেশ দু’টি। চুক্তি অনুসারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে আনুপাতিক হারে এ দাম নির্ধারিত হয়। এতে করে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম চড়া হলেও তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় এ চুক্তি অনুসারে। দেশ দু’টির সঙ্গে সরবরাহ আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তারা সরবরাহ বাড়াতে সম্মত হয়েছে, এখন দাম পরিমাণ চূড়ান্ত করা হবে। আমাদের কাছে আরও বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করছে আরপিজিসিএল।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, একটি স্বস্তির খবর হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে (খোলা মার্কেটে) এলএনজির দাম কমে এসেছে। সর্বশেষ যে দরটি চূড়ান্ত হচ্ছে তাতে ১৩ ডলারের কাছাকাছি পড়বে। জুন পর্যন্ত ১২টি কার্গো আমদানি করা হবে।

তিনি বলেন, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার মিলিয়নের মতো। সরবরাহ করা হচ্ছে ৩ হাজারের মতো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চাহিদা সংযোগ পাওয়া গ্রাহক বিবেচনায়। সংযোগের জন্য অপেক্ষমান গ্রাহকদের চাহিদা হিসাব করা হয়নি। অপেক্ষমাণ গ্রাহকের চাহিদা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ গ্যাসের চাহিদা ৫৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাক্কলন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের স্থলভাগে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেয় পেট্রোবাংলা। এটি এখন ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬টি কূপের উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২৮টি করতে পারবে দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স। বাকি কূপগুলোর কাজ বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে করানো হবে। তবে দরের ভিত্তি হবে পেট্রোবাংলা স্থলভাগে যে দরে কাজ করছে সেই দর। ৪৬টি কূপের মাধ্যমে ৬০০ মিলিয়নের মতো উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভোলার উদ্বৃত্ত গ্যাস সিএনজি আকারে আনার বিষয়টি চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে জুন মাস নাগাদ এই কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমধাপে দৈনিক ৫ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ করা হবে। পরে আরও ২০ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে দামের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাপেক্সসহ পেট্রোবাংলার অধীনস্থ কোম্পানিগুলোকে গতিশীল করার বিষয়ে তিনি বলেন, বাপেক্সে দু’টি মামলার কারণে পদোন্নতি ঝুলে ছিল। আমি যোগদানের পর তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সুরাহা করার উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের এসিআর নিয়ে একটি জটিলতা ছিল, সেটিও সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব না। কোম্পানিগুলো কাজের গতি ফিরে আসবে আশা করি। এইতো কয়েকমাস হলো যোগদান করেছি, আমাকে একটু সময় দেন দেখতে পাবেন কাজের গতি। না হলে তখন প্রশ্ন করবেন।

সিস্টেম লস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, এখন প্রত্যেকটি কোম্পানির প্রান্তে মিটার বসানো হয়েছে। যে কোম্পানি যতটুকু নেবে তাকে সেই পরিমাণ বিল দিতে হবে। এই কাজটি শুরু হয়েছে, ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

;

ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনার বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইউরোপীয়ান এসিসি ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

ইউরোপীয়ান এসিসি ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বাজারে উন্মুক্ত হলো ওয়ালটনের ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনার। ঐতিহ্যবাহী এসিসি ব্র্যান্ডে প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এই এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ইউরোপীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনারে গ্রাহক পাবেন প্রকৃত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ব্যবহারের সুবিধা, স্বাদ ও অভিজ্ঞতা। অভিজাত গ্রাহকদের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী রুচিশীল ডিজাইন ও অত্যাধুনিক ফিচারে বাজারে এসেছে এসিসি’র এসি। ১.৫ টন ক্যাটাগরিতে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি।

প্রাথমিকভাবে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর সব ওয়ালটন প্লাজা থেকে গ্রাহকরা এসিসি ব্র্যান্ডের এসি কিনতে পারছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজায় এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনার উন্মুক্ত হবে। রয়েছে ঘরে বসে অনলাইনে ই-প্লাজা (https://eplaza.waltonbd.com) থেকেও কেনার সুযোগ। এিিসসি ব্র্যান্ডের এই এসিটির দাম ৮৪,৯০০ টাকা। নগদ মূল্যের পাশাপাশি গ্রাহকরা ইএমআই এবং কিস্তি সুবিধায় কিনতে পারবেন। এতে রয়েছে ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা।

উল্লেখ্য, এসিসি (অঈঈ) বিপুল জনপ্রিয় গ্লোবাল ব্র্যান্ড। ১৯৬৮ সাল থেকে ইউরোপে ব্যাপক সুনাম ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এসিসি’র পণ্য বাজারজাত হয়ে আসছে। গত বছর আন্তর্জাতিক বিডিংয়ে বেশকিছু নামকরা বৈশি^ক কোম্পানিকে হটিয়ে এসিসিসহ অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের স্বত্ব লাভ করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.। অন্য ব্র্যান্ড দুটি হলো জানুসি ইলেকট্রোমেকানিকা (জেম) (তধহঁংংর ঊষবঃঃৎড়সবপপধহরপধ) (তঊগ) এবং ভার্ডিকটার (ভিওই) (ঠবৎফরপযঃবৎ) (ঠঙঊ)। ইউরোপের জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইনভার্টার এবং ফিক্সড স্পিড কম্প্রেসর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) মেধাসম্পদ (প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সফটওয়্যার লাইসেন্স), ৫৭টি দেশে ট্রেডমার্কসহ সর্বস্বত্ব¡ লাভ করে ওয়ালটন।

সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসিসি ব্র্যান্ডের এসি উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তানভীর রহমান, ডেপুটি সিবিও সন্দীপ বিশ্বাস, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, চিফ কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অফিসার গাও ওয়েমিং, হেড অব কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট আসিব-উল-হক ভুঁইয়া, ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান এবং ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ শেখ সাইদ শাহরিয়ার হোসেন।

ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তানভীর রহমান বলেন, অভিজাত ও রুচিশীল গ্রাহকদের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিতেই আমরা দেশের বাজারে এসিসি’র এসি উন্মুক্ত করেছি। এই এসিতে এসিসির অর্ধ শতাব্দির ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে। ডিজাইন ও কনফিগারেশনে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। এসিসি ব্র্যান্ডে বাজারে আসা এসিটির মডেল এএসআই১৮বিএইচবি১-টিআরডিডি (অঝও১৮ইঐই১-ঞজউউ)। ১৮,০০০ বিটিইউ বা ১.৫ টনের এই এসিটির সিওপি (ঈঙচ ড/ড) ৪.২৫। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ইনভার্টার কম্প্রেসর, প্রো ক্লিন ও প্লাজমা কেয়ার প্রযুক্তি, ৫ ইঞ্চির ইন্টিগ্রেটেড টিএফটি ডিসপ্লে, আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট, লুভরড ফিনসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার।

ওয়ালটন এসি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, এসিসি ব্র্যান্ডের এই এসিতে ৫ ইঞ্চির টিএফটি ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে। যেখানে রুমের তাপমাত্রা, বিদ্যুৎ খরচ, ভোল্টেজ ইত্যাদি তথ্য দেখার সুবিধা রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে আছে ‘এরর কোড’ নামে একটি বিশেষ ফিচার। যার মাধ্যমে এসিতে কোনো প্রকার সমস্যা হলে ডিসপ্লেতে সেই তথ্য প্রদর্শিত হবে। থাকবে সমস্যাটি সমাধানের উপায়ও।

তিনি আরো জানান, এসিটিতে ব্যবহৃত প্লাজমা কেয়ার প্রযুক্তি বাতাসে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে ঘরে স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে। ইনভার্টার টেকনোলজি ও পরিবেশবান্ধব আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বিশ্বকে নির্মল রাখে। রিমোটের মাধ্যমে প্রো ক্লিন টেকনোলজি ব্যবহার করে ইনডোর ইউনিট-এ বিদ্যমান ধূলিকণা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিস্কৃত হয়।

এসিসি ব্র্যান্ডের এই এসিতে গ্রাহক তার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ১৬ ডিগ্রি থেকে ৩১ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা সেট করতে পারবেন। এতে আরো রয়েছে ইকো মোড, টার্বো মোড, কমফোর্ট কুলিং, বেবি কেয়ার, ফোরডি এয়ার ফ্লো ইত্যাদি ফিচার।

এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি এসিসি’র এসিতে রয়েছে ১০ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি।

 

;