চতুর্থবারের মত আয়োজিত হল ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্সের ব্র্যান্ডটক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত হলো দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্র্যান্ড মার্কেটিং সেমিনার “ডানো ব্র্যান্ডটক ৪.০ পাওয়ার্ড বাই স্বপ্ন এন্ড দারাজ”। “স্টোরিজ অব পারমুটেশন এন্ড কম্বিনেশন” থিম নিয়ে ১৭ মার্চ রোজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ১৫ জন অভিজ্ঞ দক্ষ মার্কেটিং পেশাজীবী এবং উদ্যোক্তা, তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান বৈশ্বিক প্রতিকূলতায় ব্যবসায়িক সাফল্য ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিচালনা এবং মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কিভাবে কর্পোরেট স্ট্র্যাটেজিকে ড্রাইভ করবে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে মার্কেটিং মায়েস্ত্রো প্রফেসর ডঃ মিজানুর রহমান, রবির প্রাক্তণ সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, এড-ফিনিক্স এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও লুতফি চৌধুরী, বিজ্ঞাপন নির্মাতা গাউসুল আলম শাওন, এইচটিটিপুল-এর পার্টনার ডিরেক্টর মুনাফ মুজিব চৌধুরী, এসিআই ফুডস লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর ফারিয়া ইয়াসমিন,নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের বিক্রয় প্রধান সৈয়দ ইকবাল মাহমুদ হোসেন,এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি আশরাফ বিন তাজ, স্বপ্ন সুপার শপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির নাসির, এরিস্টো কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ রেজাউল হাকিম শান্ত, রেকিট বেনকাইজার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর নুসরাত জাহান, এজাইল মাইন্ডস গ্রুপের ডিরেক্টর এবং চিফ অপারেটিং অফিসার জিশান কিংশুক হক এবং বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধূরীসহ ১৫ জন ব্র্যান্ড-মার্কেটিং পেশাজীবী তাদের মতামত উপস্থাপন এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্রায় ২৫০ জন মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন, মিডিয়া, বাজার গবেষণা পেশাজীবী এবং মার্কেটিং এর শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীরা যোগ দেন এই ব্র্যান্ডটকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সবসময় তিন প্রকার ম্যানেজমেন্ট এর দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে- ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট, ডিফারেন্স ম্যানেজমেন্ট, ও রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট। আমরা যারা মার্কেটিং এর সাথে জড়িত, তাদের কাজ হলো কাস্টমারদের খুশি করা।কাস্টমার এর প্রতি মনোযোগী হলেই বার বার কাস্টমার ফিরে আসবে, এই কাস্টমার এটেনশনের কাজটাই আমাদের করতে হবে। সম্পর্ক তৈরি করা এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাই হলো মার্কেটিং এর রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট।

“যুদ্ধ এবং তার প্রেক্ষিতে মূল্য বৃদ্ধির সংকটকালীন এই সময়ে ব্র্যান্ডগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ব্যবসায়ের এক্সিস্টিং রিসোর্স ব্যবহার করে কিভাবে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারে তার বিস্তারিতই আলোচ্য রয়েছে এবারের এই ব্র্যান্ডটকে” জানিয়েছেন ব্র্যান্ড প্রাকটিশনার্স বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মির্জা মুহাম্মদ ইলিয়াস।

আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং প্রধান গালিব বিন মোহাম্মাদ এবং দারাজ এর প্রধান মার্কেটিং অফিসার তালাত মামুন, ব্র্যান্ডটক এর সাথে নিজেদের সংযুক্তির কথা তুলে ধরে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যবসার অবস্থা ও উন্নতির জন্য এমন একটি সেমিনারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে হোটেল আমারিতে প্রথম আয়োজিত হয় ব্র্যান্ডটক। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মার্কেটিং ইন্ড্রাস্ট্রি এবং মিডিয়া মহলে ব্যাপক সামাদৃত হয় এই আয়োজন। এবারের ডানো ব্র্যান্ডটক ৪.০ পাওয়ার্ড বাই স্বপ্ন এন্ড দারাজ এর প্লাটিনাম পার্টনার নগদ, ইস্পাহানি, গুডলাক এবং ফগ। এই আয়োজনের ফ্যাশন পার্টনার ইয়োলো, হেলথকেয়ার পার্টনার প্রাভা হেলথ, গ্রোসারি পার্টনার এসিআই পিওর, বিস্কুট পার্টনার বেকম্যান’স, ইলেক্ট্রনিক্স পার্টনার ওয়ালটন, ডিংক্স পার্টনার এসএমসি প্লাস, টিস্যু পার্টনার পারটেক্স ক্লিন টিস্যু, স্ন্যাক্স পার্টনার ডানকেক, পেমেন্ট পার্টনার নগদ, ইন্স্যুরেন্স পার্টনার গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আইস্ক্রিম পার্টনার ইগ্লু, অর্গানিক পার্টনার অর্গানিক কেয়ার, ক্যারিয়ার পার্টনার ক্রিয়েটিভ বিজনেস গ্রুপ, বেভারেজ পার্টনার পেপসি এবং নলেজ পার্টনার রকমারি।

দেশে ৪৩ দিন পর করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে প্রায় দেড় মাস পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এই একজনের মৃত্যুর সঙ্গে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ জন।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর এরপর গত ৪৩ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এক দিনে মোট ১ হাজার ৬২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রোগী শনাক্ত হয় ৭ জন। শনাক্ত রোগীদের সবাই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। দেশের বাকি ৬৩ জেলায় কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত করোনারোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৪ জন হয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২০ রোগীর সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৮২১ জন।

;

গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের কাজের সমন্বয় থাকা জরুরি: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের কাজের সমন্বয় থাকা জরুরি।

সোমবার (২৭ মার্চ) বুয়েটে হাইড্রোকার্বন ইউনিট এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের “জ্বালানি গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি” সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাশ্রয়ী মূল্য আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদেরকেই সমাধান বের করতে হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কারিগরি সংস্থা হিসেবে হাইড্রোকার্বন ইউনিট তৈল ও গ্যাসের মজুদ ও সম্ভাব্য উৎস নিরূপন ও হালনাগাদকরণ; জ্বালানি সংক্রান্ত ডাটাবেস এর হালনাগাদকরণ ও সম্প্রসারণ; উৎপাদন বন্টন চুক্তি এবং যৌথ উদ্যোগ চুক্তি বিষয়ে মতামত প্রদান; জ্বালানির অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ; তৈল ও গ্যাসের অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন এর পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা; জ্বালানি খাতের সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ করে । এসব খাতে সত্যিকারের গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ।

তিনি আরও বলেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সাথে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমঝোতা গবেষণার ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবস্থা, ভূর্তকি, সেচ, হাইড্রোজেন ফুয়েল, ফসিল ফুয়েল, নাবায়নযোগ্য জ্বালানি, এনার্জি ইকোনমিক্স ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ডঃ মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খান, জ্বালানি ও টেকসই গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মেদি ও হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক মিজ তাহমিনা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ মার্চ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড- এর ৪৯৪তম বোর্ড সভায় বেলাল আহমেদ ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৭ সাল হতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক- এর পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বেলাল আহমেদ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৮ সালে কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

তিনি একজন তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইউনিটেক্স গ্রুপের ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড, ইউনিটেক্স কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস লিমিটেড, ইউনিটেক্স পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, ইউনিটেক্স সিমেন্ট লিমিটেড এবং ইউনিটেক্স স্টিল মিলস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

জনাব বেলাল আহমেদ ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (বিএবি)-এ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

দেশের টেক্সটাইল, স্পিনিং, এলপি গ্যাস, পাট ও খাদ্যদ্রব্য সহ বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা।

;

এক বছরে রিজার্ভ কমেছে সাড়ে ২৯ শতাংশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমছেই। গত এক বছরে এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গত বছরের ২২ মার্চ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল যেখানে ৪৪.২৮ বিলিয়ন ডলার, গত ২২ মার্চ তা কমে নেমেছে ৩১.৩০ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরে রিজার্ভ কমার হার ২৯.৩১ শতাংশ। অর্থনীতির সর্বশেষ সূচক দিয়ে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান হচ্ছে না। যেটুকু আসছে তা দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের এলসি খুলতে পারছে না। তবে, সরকারি ব্যাংকগুলো সরকারের বিশেষ কেনাকাটায় এলসি খুলছে। সমস্যায় পড়ছে দায় পরিশোধের সময় এসে। সরকারি ব্যাংকগুলোর এমনও এলসি আছে যা পাঁচ থেকে ছয়বার ডেফার্ড (দায় মেটানোর জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে) করতে হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাংকগুলোর সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। একই সাথে বারবার সময় বাড়াতে গিয়ে বাড়তি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সরকারি ব্যাংকের এক জন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান তারা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক আর আগের মতো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সাথে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এখন ডলার বিক্রি শুধু সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যেই সীমিত রাখা হয়েছে। এর পরেও চলতি অর্থবছরের ২২ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে। ৯ মাসের কম সময়ে এর আগে এত বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি আর কখনো করতে হয়নি। এর অন্যতম কারণ হলো ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী ডলার সংস্থান করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪.৪৭ শতাংশ। একই সাথে রফতানি আয়ও কাক্সিক্ষত হারে বড়েনি। গত ফেব্রুয়ারিতে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮২ শতাংশ, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪.৫৪ শতাংশ। আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শতভাগ এলসি মার্জিন-ব্যবস্থা চালু করা, বড় অঙ্কের পণ্য আমদানিতে তদারকি জোরদার করা এবং বিলাসজাত পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আগে পাঁচ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমদানিতে তদারকি করা হতো। এখন তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে গেলেই বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। পণ্য আমদানির যৌক্তিক কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। সবমিলেই আমদানির জন্য আমদানি ঋণপত্র খোলার হার আগের চেয়ে কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই-জানুয়ারিতে পণ্য আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল যেখানে ৪৬.২৩ শতাংশ, সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কমে হয়েছে ঋণাত্মক ৫.৬৬ শতাংশ। কিন্তু বকেয়া এলসির দায় পরিশোধ করতে গিয়েই সামগ্রিক ব্যয় বেড়ে গেছে। এর ফলেই রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়ে গেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি ডলার সঙ্কটের কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ৮৬ টাকায় ডলার পাওয়া যেত, এখন সেখানে ১১০ টাকার বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে প্রতি ডলারে। এর ফলে ব্যবসা ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে বেড়ে গেছে সামগ্রিক ব্যয়। আর এ ব্যয় সংস্থান করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে অবস্থা চলছে তা থেকে উত্তরণের একটাই পথ; ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রথমেই হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ডলার পাচার বন্ধে সবধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশী শ্রমিকের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়াতে হবে। একই সাথে রফতানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

;