চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলায় সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পেল ওয়ালটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের হাতে বাণিজ্য মেলার শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দিচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের হাতে বাণিজ্য মেলার শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দিচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

  • Font increase
  • Font Decrease

৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ওয়ালটন। এবারের বাণিজ্য মেলায় তৃতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করে দেশের সর্ববৃহৎ এবং শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সুবিশাল এবং দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন, গ্রাহক আকর্ষণ, পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের অভিনবত্বে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন।

উল্লেখ্য, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মাসব্যাপী চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (সিআইটিএফ)- ২০২৩ এ বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, আইটি পণ্য, ই-বাইক, বিভিন্ন মডেলের ও দামের ভিআরএফ এসিসহ নানা পণ্য প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন মডেলের এক্সক্লুসিভ ও আপকামিং পণ্য ক্রেতা-দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। বিশেষ করে ওয়ালটনের নতুন মডেলের ভিআরএফ এসি বাণিজ্য মেলায় রীতিমতো সাড়া ফেলে।

রোববার (১৯ মার্চ, ২০২৩) নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটন কর্মকর্তাদের হাতে শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। ওয়ালটনের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ও চীফ ডিভিশনাল অফিসার মো. শফিকুল আজাদ এবং বাণিজ্য মেলার প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ রাহাত খান সুমন।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট এমএ লতিফ, বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক এ কে এম আক্তার হোসেন, কো-চেয়ারম্যান ও চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, ওয়ালটনের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার কেএসএম সাব্বির হাসান, সিনিয়র ডিপুটি ডিরেক্টর (মার্কেটিং এন্ড সেলস) তানজিমুল হক তন্ময়, চেম্বারের পরিচালকবৃন্দ ও মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটনের দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন।

জানা গেছে, মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ক্রেতা আকর্ষণ করা অন্যান্য পণ্যের মধ্যে ছিলো আপকামিং মডেলের ওয়াটার ডিসপেন্সার, থ্রিডি ও এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি সমৃদ্ধ ডাবল ডোর ফ্রিজ, ৭৫ ইঞ্চি ইন্টারেক্টিভ ডিসপ্লে, ৬৫ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি, ডিজিটাল টেবিল, ডাবল ডোর স্মার্ট ফ্রিজ, এলিভেটর বা লিফট, অত্যাধুনিক ডাবল চেম্বার স্মার্ট ওয়াশিং মেশিন, স্মার্ট সুইস সকেট, বিভিন্ন ধরনের টেবিল ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান, রিচার্জেবল ফ্যান, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ওয়াটার মোটর, ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবল ও বাল্ব ইত্যাদি।

এছাড়া মেলায় আকর্ষণ সৃষ্টি করা ওয়ালটনের আইটি পণ্যের মধ্যে ছিলো বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাব, রাউটার, সাউন্ড বার ও প্রিন্টার ইত্যাদি।

 

দেশে ৪৩ দিন পর করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে প্রায় দেড় মাস পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এই একজনের মৃত্যুর সঙ্গে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ জন।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর এরপর গত ৪৩ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এক দিনে মোট ১ হাজার ৬২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রোগী শনাক্ত হয় ৭ জন। শনাক্ত রোগীদের সবাই ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। দেশের বাকি ৬৩ জেলায় কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত করোনারোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৪ জন হয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২০ রোগীর সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৮২১ জন।

;

গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের কাজের সমন্বয় থাকা জরুরি: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের কাজের সমন্বয় থাকা জরুরি।

সোমবার (২৭ মার্চ) বুয়েটে হাইড্রোকার্বন ইউনিট এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের “জ্বালানি গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি” সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাশ্রয়ী মূল্য আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদেরকেই সমাধান বের করতে হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কারিগরি সংস্থা হিসেবে হাইড্রোকার্বন ইউনিট তৈল ও গ্যাসের মজুদ ও সম্ভাব্য উৎস নিরূপন ও হালনাগাদকরণ; জ্বালানি সংক্রান্ত ডাটাবেস এর হালনাগাদকরণ ও সম্প্রসারণ; উৎপাদন বন্টন চুক্তি এবং যৌথ উদ্যোগ চুক্তি বিষয়ে মতামত প্রদান; জ্বালানির অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ; তৈল ও গ্যাসের অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন এর পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা; জ্বালানি খাতের সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ করে । এসব খাতে সত্যিকারের গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ।

তিনি আরও বলেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সাথে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমঝোতা গবেষণার ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবস্থা, ভূর্তকি, সেচ, হাইড্রোজেন ফুয়েল, ফসিল ফুয়েল, নাবায়নযোগ্য জ্বালানি, এনার্জি ইকোনমিক্স ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ডঃ মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খান, জ্বালানি ও টেকসই গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মেদি ও হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক মিজ তাহমিনা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ মার্চ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড- এর ৪৯৪তম বোর্ড সভায় বেলাল আহমেদ ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৭ সাল হতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক- এর পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বেলাল আহমেদ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৮ সালে কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

তিনি একজন তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইউনিটেক্স গ্রুপের ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড, ইউনিটেক্স কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস লিমিটেড, ইউনিটেক্স পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, ইউনিটেক্স সিমেন্ট লিমিটেড এবং ইউনিটেক্স স্টিল মিলস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

জনাব বেলাল আহমেদ ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (বিএবি)-এ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

দেশের টেক্সটাইল, স্পিনিং, এলপি গ্যাস, পাট ও খাদ্যদ্রব্য সহ বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা।

;

এক বছরে রিজার্ভ কমেছে সাড়ে ২৯ শতাংশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমছেই। গত এক বছরে এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গত বছরের ২২ মার্চ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল যেখানে ৪৪.২৮ বিলিয়ন ডলার, গত ২২ মার্চ তা কমে নেমেছে ৩১.৩০ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরে রিজার্ভ কমার হার ২৯.৩১ শতাংশ। অর্থনীতির সর্বশেষ সূচক দিয়ে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান হচ্ছে না। যেটুকু আসছে তা দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের এলসি খুলতে পারছে না। তবে, সরকারি ব্যাংকগুলো সরকারের বিশেষ কেনাকাটায় এলসি খুলছে। সমস্যায় পড়ছে দায় পরিশোধের সময় এসে। সরকারি ব্যাংকগুলোর এমনও এলসি আছে যা পাঁচ থেকে ছয়বার ডেফার্ড (দায় মেটানোর জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে) করতে হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাংকগুলোর সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। একই সাথে বারবার সময় বাড়াতে গিয়ে বাড়তি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সরকারি ব্যাংকের এক জন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান তারা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক আর আগের মতো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সাথে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এখন ডলার বিক্রি শুধু সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যেই সীমিত রাখা হয়েছে। এর পরেও চলতি অর্থবছরের ২২ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে। ৯ মাসের কম সময়ে এর আগে এত বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি আর কখনো করতে হয়নি। এর অন্যতম কারণ হলো ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী ডলার সংস্থান করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪.৪৭ শতাংশ। একই সাথে রফতানি আয়ও কাক্সিক্ষত হারে বড়েনি। গত ফেব্রুয়ারিতে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮২ শতাংশ, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪.৫৪ শতাংশ। আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শতভাগ এলসি মার্জিন-ব্যবস্থা চালু করা, বড় অঙ্কের পণ্য আমদানিতে তদারকি জোরদার করা এবং বিলাসজাত পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আগে পাঁচ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমদানিতে তদারকি করা হতো। এখন তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে গেলেই বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। পণ্য আমদানির যৌক্তিক কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। সবমিলেই আমদানির জন্য আমদানি ঋণপত্র খোলার হার আগের চেয়ে কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই-জানুয়ারিতে পণ্য আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল যেখানে ৪৬.২৩ শতাংশ, সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কমে হয়েছে ঋণাত্মক ৫.৬৬ শতাংশ। কিন্তু বকেয়া এলসির দায় পরিশোধ করতে গিয়েই সামগ্রিক ব্যয় বেড়ে গেছে। এর ফলেই রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়ে গেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি ডলার সঙ্কটের কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ৮৬ টাকায় ডলার পাওয়া যেত, এখন সেখানে ১১০ টাকার বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে প্রতি ডলারে। এর ফলে ব্যবসা ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে বেড়ে গেছে সামগ্রিক ব্যয়। আর এ ব্যয় সংস্থান করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে অবস্থা চলছে তা থেকে উত্তরণের একটাই পথ; ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রথমেই হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ডলার পাচার বন্ধে সবধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশী শ্রমিকের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়াতে হবে। একই সাথে রফতানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

;