বিদ্যুৎ ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের ৬ নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে গ্রাহকদের ৬ নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, গত একযুগে বিদ্যুৎখাতে অভাবনীয় উন্নতির ফলে একদিকে যেমন দেশের জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, তেমনি চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু চলতি বছরে রমজান, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুমে একই সময় হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই রমজান মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকের সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নির্দেশনাগুলো হলো-

১. বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জামের ব্যবহার।

২. ইফতার ও তারাবির সময় মসজিদ, শপিংমল ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা।

৩. পিক আওয়ারে বৈদ্যুতিক বিল বোর্ড, রি রোলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন ও ইস্ত্রির ব্যবহার বন্ধ রাখা।

৪. অফপিক সময়ে রাত ১১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সেচ পাম্প চালানো।

৫. সিএনজি পাম্পসমূহ বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা।

৬. ইজিবাইক, অটোরিকশার অবৈধ চার্জিং থেকে বিরত থাকা।

স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা, থাকছে ৪০ মেগা প্রকল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই স্লোগান নিয়ে তৈরি করা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে থাকছে নতুন ৪০টি মেগা প্রকল্প। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবার বাজেট বক্তব্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’ এর স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের পথ ও নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে ৪০টি নতুন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২৫, ২০৩১ এবং ২০৪১-এই তিনটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা সর্বত্র হবে প্রযুক্তিনির্ভর। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গড়ে তোলার কথা বলা হবে। আর পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসতে আত্মকর্মসংস্থানভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অনলাইন কার্যক্রম নিশ্চিতে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।

কৃষিতে প্রচলিত যুগের অবসান হয়েছে। আগামী দিনের কৃষি হবে প্রযুক্তিনির্ভর। প্রচলিত কৃষককেও এখন স্মার্ট ফোনের কার্যকর ব্যবহার জানতে হবে। আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস বা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত ও ইন্টারনেট-সংযুক্ত বস্তুর একটি সিস্টেম) ডিভাইস ব্যবহার করে কীভাবে অল্প খরচে মাছ চাষে এবং কৃষিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়, তা জানতে হবে।

সূত্র জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট। এতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’ এর রূপরেখা তুলে ধরা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এটি। সেখানে প্রধান চারটি কৌশল হবে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। এছাড়া স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বাণিজ্য ও স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থার কথাও থাকবে বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, স্মার্ট বাংলাদেশ মহাপরিকল্পনার শুরুতে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলা ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি, আইসিটি নীতিমালা, জাতীয় প্রকিউরমেন্ট ই-বাজার, ডিজিটাল চাকরির প্ল্যাটফর্ম, স্মার্ট পাবলিক সার্ভিস (জনপরিষেবা) ও পেপারলেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (কাগজবিহীন প্রশাসন), ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল (অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সংস্থান), গভর্নমেন্ট ক্লাউড অ্যান্ড ডেটা সেন্টার ইত্যাদি কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের মধ্যে ইউনিভার্সাল ডিজিটাল আইডি, ডিজিটাল কারিকুলাম, স্মার্ট ডিভাইস অ্যাকসেস, স্মার্ট বাংলা ক্যাম্পেইন, স্মার্ট হেলথ কেয়ার, স্মার্ট ট্যাক্স, ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট পোস্টাল সার্ভিস, স্মার্ট জুডিশিয়ারি, স্মার্ট বর্ডারস, স্মার্ট সোশ্যাল সেফটি নেট, পুলিশ মডার্নাইজেশন, ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম, ফিনটেক অ্যাকসেলারেটর, উদীয়মান প্রযুক্তিবিষয়ক সেন্টার অব এক্সিলেন্স (সিওই) বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা প্রণয়ন করা হচ্ছে।

আজ জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। জাতীয় সংসদে বিকাল ৩টায় নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রীর পঞ্চম বাজেট, বাংলাদেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকারের সব কিছু প্রস্তুত। প্রস্তুত অর্থমন্ত্রীও। এবারের বাজেটে সরকারের আগামী ভিশনের একটি দিক নির্দেশনা থাকবে। এটি নির্বাচনি বছর। সে কারণে সরকার ও দলের জন্য এবারের বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বাজেট অবশ্যই হবে জনদরদী বাজেট। মানুষের কল্যাণের বাজেট। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই।’

;

বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে-কমতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন তাতে যেমন বাড়তে পারে অনেক পণ্যের দাম, তেমনি কমতেও পারে অনেক পণ্যের মূল্য।

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে-

কৃষি যন্ত্রপাতি

বাজেটে শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।

এলইডি বাল্ব

এছাড়া কমতে পারে দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম। দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ওই শুল্ক ১০-৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব আসছে বাজেটে। সে হিসাবে দেশীয় এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট মিলতে পারে তুলনামূলক কম দামে।

মাংস ও মাংসজাত পণ্য

এবারের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। এর উদ্দেশ্য নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমিয়ে আনা। এ পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে। অগ্রিম আয়কর কমালে মাংসের দাম কমতে পারে।

মিষ্টি

দাম কমার তালিকায় আরও রয়েছে মিষ্টি। কারণ মিষ্টির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় আরও কিছু প্যাকেটজাত পণ্যেও ভ্যাট কমানো হচ্ছে।

বিদেশি পোশাক

আসন্ন বাজেটে অভিজাত বিদেশি কাপড় আমদানির ওপর শুল্ক কমানো বা অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এসব পণ্যে শুল্ক কর ২০-২৫ কমিয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এর ফলে বিলাসবহুল কাপড়ের শুল্ক যদি কমানো হয়, তাহলে কম দামে পাওয়া এসব পোশাক।

ই-কমার্সের খরচ

বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক), ডেলিভারি চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, বাড়ি ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি মেনে নিয়ে বিক্রির ওপরে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। এর ফলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো ভ্যাট অব্যাহতি পেলে কমবে ডেলিভারি চার্জ।

ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম

বাজেটে আরও ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াত দিতে পারে সরকার। অ্যান্টি-ক্যানসার এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধের কাঁচামাল আমদানিকে শুল্ক মওকুফের আওতায় আনা হবে।

স্যানিটারি ন্যাপকিন

একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার ও টয়লেট্রিজের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদও একবছর বাড়তে পারে। এসব কিছুই জনস্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অপরিহার্য।

সাবান ও শ্যাম্পু

সাবান ও শ্যাম্পুর কাঁচামাল লাবসা ও এসএলইস- এর উৎপাদন পর্যায়ে বর্তমানের হ্রাসকৃত ৫ শতাংশ ভ্যাট সুবিধা আরও একবছর বাড়ানো হতে পারে।

যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে-

ফ্রিজ

রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে অব্যাহতি প্রত্যাহার করে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে ফ্রিজের দাম বাড়তে পারে।

অবশ্য ফ্রিজ তৈরির উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানি এবং স্থানীয় ক্রয়ের ক্ষেত্রে কর ছাড় সুবিধা রয়েছে। তা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

রেলের টিকিট

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত/তাপানুকুল সার্ভিসের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির রেলওয়ে সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে টিকিটের দাম বাড়বে।

মোবাইল ফোন

মোবাইল ফোন সেটের ব্যবসায়ী পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।

পনির

বাটার ও চিজ বা পনির পণ্য দুটি সমজাতীয় উল্লেখ করে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাটার আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান থাকলেও চিজ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক আরোপিত নেই। তাই বাটারের মতো চিজ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

কফি

প্রক্রিয়াজাত ও রেডি টু কনজিউম কফি আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

মোবাইল ফোনের বিদেশি চার্জার

দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে বিদেশি চার্জারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

দেশলাই

বর্তমানে দেশে গ্যাস লাইটার বা দেশলাই উৎপাদিত হচ্ছে। তাই দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই বিবেচনায় লাইটারের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র

বাসাবাড়িতে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য ব্যবহৃত ওয়াটার পিউরিফায়ারের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

ক্যাশ রেজিস্ট্রার

ব্যবসার ক্যাশ রেজিস্ট্রার আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ। অপরদিকে টিকিট ক্যালকুলেটিং যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ। মেশিন দুটি প্রায় একই ধরনের হওয়ায় শুল্কহার সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন। তাই ক্যাশ রেজিস্ট্রারের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বিদেশি পাখি

বর্তমানে দেশে পাখি আমদানি হচ্ছে। উক্ত পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। পাখিগুলো বিলাসবহুল বিধায় আলোচ্য ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ল্যাপটপ

ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে মূসক অব্যাহতি রয়েছে। ফলে দেশীয় কম্পিউটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার হবে ৩১ শতাংশ।

গাড়ি

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে এবার গাড়ির দাম বাড়তে পারে।

বিড়ি-সিগারেট

কম বা বেশি দামি—সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিড়ির দামও। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট ও বিড়ির শুল্ক কর বাড়ানো হয়েছে। আর তাতেই বিড়ি-সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সিগারেট ও বিড়ির পাশাপাশি ধোয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যান্য

আরও কিছু পণ্যে কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। এর মধ্য রয়েছে প্রিন্টিং প্লেট, লিফট, সোলার প্যানেল, মিটার, কাগজের কাপ–প্লেট, জিআই ফিটিংস, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, কম্পিউটার প্রিন্টার, ল্যাপটপ, টোনার, চেয়ারের পণ্য।

অন্যদিকে ধনীদের ছাড় দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষকে করজালের মধ্যে আনার ছক থাকছে বাজেটে। কারণ শূন্য আয় (করযোগ্য সীমার নিচে বার্ষিক আয়) দেখিয়ে আগে রিটার্ন জমা দেওয়া গেলেও আগামী দিনে স্লিপ (প্রাপ্তিস্বীকারপত্র) পেতে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। আর রিটার্ন জমার স্লিপ না নিলে সঞ্চয়পত্র কেনা এবং ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাবে না। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস নবায়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়ির নকশা অনুমোদনসহ সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৪৪ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে না।

;

সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বিকেলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এটি হবে অর্থমন্ত্রীর টানা পঞ্চম এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট।

বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারের সঙ্গে মিল রেখে একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক-প্রবৃদ্ধির পথে দেশকে চালিত করা এবং ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের ওপর এই বাজেটে জোর দেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা এবং বাজেট কর্মকর্তারা বলছেন, যদিও সরকার রাজস্ব সংগ্রহ এবং সরকারি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে এবং কৃচ্ছ্রতা সাধনের কৌশল গ্রহণ করেছে। তবে রাজস্ব ঘাটতির প্রেক্ষাপটে সরকারের বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, বাজেটে ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ৬১ লাখ কোটি টাকা ঘাটতিসহ রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে। যার মধ্যে ১ দশমিক ০২ লাখ কোটি টাকা ঋণ করা হবে বাহ্যিক উৎস থেকে এবং ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে।

অর্থমন্ত্রী ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ১ দশমিক ৩২ লাখ কোটি টাকা, সঞ্চয় প্রশংসাপত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা, নন-ব্যাংক উৎস থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছেন।

এছাড়া সরকারের পরিচালন ব্যয় ৪ দশমকি ৭৫ লাখ কোটি টাকা এবং মোট উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যতিক্রমী হতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব যা অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকেও সমস্যায় ফেলেছে।

অর্থমন্ত্রী উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ২ দশমকি ৭৭ লাখ কোটি টাকা প্রাক্কলন করেছেন। আগামী অর্থবছরে দেশীয় সুদ পরিশোধে সরকার ব্যয় করবে ৮২ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।

প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা মূলধন ব্যয় হিসাবে ব্যয় করা হবে, ৫০২ কোটি টাকা খাদ্য খাতে ব্যয় করা হবে এবং ৮ হাজার ৪০২ কোটি টাকা ঋণ ও অগ্রিম হিসাবে রাখা হবে।

২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নের জন্য ২ দশমিক ৬৩ লাখ কোটি টাকা, নন-এডিপি বিশেষ প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, নন-এডিপি কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং স্থানান্তর হিসাবে ২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা এবং স্কিম হিসাবে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা যা কিছু উন্নয়ন কর্মসূচী অন্তর্ভুক্ত করে যা নিজস্ব উৎস থেকে অর্থায়ন করা হয় কিন্তু এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

আসন্ন অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪ দশমিক ৫ লাখ কোটি টাকা আসবে কর-রাজস্ব হিসেবে এবং ৫০ হাজার কোটি টাকা অ-কর রাজস্ব হিসেবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ দশমিক ৩ লাখ কোটি টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে যেখানে এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা।

বৈদেশিক অনুদান হিসেবে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আসবে বলে অনুমান করেছে সরকার।

;

আবারও প্রবাসী ও রফতানি আয়ে ডলারের দাম বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা, আর রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে রফতানিকারকরা রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৭ টাকা। আর প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম হবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। নতুন এ দাম বৃহস্পতিবার (১ জুন ) থেকে কার্যকর হবে।

বুধবার ( ৩১ মে ) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা পাওয়া যেত । আর রফতানি আয়ে প্রতি ডলারে ১০৬ টাকা পাওয়া যেত।

গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ অবস্থা তৈরি হয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতো বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। দায়িত্ব দেয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রফতানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।

;