মূল্যস্ফীতির চাপে নাকাল মানুষ, ব্যবসায়ীদের উপেক্ষা বড় অন্তরায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। দিনকে দিন এই সংকট আরও ঘনীভূত হতে থাকলেও কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অংশীজন হলেও সংকট উত্তরণে তাদের সঙ্গে কোন মতবিনিময় না হওয়ায় সামনে এ অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের আয় কমে গেছে। ফলে ২ কোটি লোক দারিদ্র্যঝুঁকিতে পড়ে গেছে। এদের মাসিক আয় গরিবি সীমার (পভার্টিলাইন) এত কাছাকাছি যে, মাসে দুই দিন কাজ না করলেই তারা দরিদ্র হয়ে যাবে। তখন গরিব মানুষের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে বেড়ে দ্বিগুণ হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, নভেম্বরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তার আগের মাস অক্টোবরে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নভেম্বরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

সংস্থাটির তথ‍্য বলছে, নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, অক্টোবরে যা ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪১ ও ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। চলতি বছরের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭৫ ও ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং গত বছরের নভেম্বরে ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৬ ও ৮ শতাংশ।

নভেম্বরে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ; অক্টোবরে ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৬৩ ও ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫৩ ও ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৫৮ ও ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

মূল্যস্ফীতি আগামী জুন মাসের মধ্যে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক সেমিনারে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যে তা ৫ শতাংশে নামবে। আমাদের মূল লক্ষ্য ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। আশা করি তা সম্ভব।’

তবে বন‍্যার প্রভাবে মূল‍্যস্ফীতির পারদ চড়েছে কি না জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এবার বন্যার প্রভাবে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে সত্য। কিন্তু প্রয়োজনীয় আমদানি না করতে পারায় পণ্যের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। ডলার সংকট এবং এলসি জটিলতায় আমদানি করা যায়নি। আবার টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করা পণ্যের দামও বেড়েছে। আর অন্তর্বর্তী সরকারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। অনেক কথা বললেও তারা সফল হয়নি।’

বিবিএসের মজুরি হার সূচক অনুযায়ী, সর্বশেষ নভেম্বরে শ্রমিকের মজুরি হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ; যা এর আগের মাসে (অক্টোবর ২০২৪) ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত নভেম্বরে কৃষি, শিল্প ও সেবা- তিন খাতেই মজুরি হার সামান্য পরিমাণে বেড়েছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে মজুরির হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এ খাতে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং অক্টোবরে ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং অক্টোবরে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

গণ-অভ্যুত্থানের পর সবার প্রত্যাশা ছিল দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে। কমবে জিনিসপত্রের দামও। যদিও জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণের কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান হয়নি। স্বীকৃত চাঁদাবাজরা পালিয়ে গেলেও পণ্যের দাম কমেনি। উল্টো অস্থিতিশীল বাজারে পণ্যের দাম আরো বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতির হারও আরো উসকে উঠেছে।

যদিও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে গত দুই অর্থবছর সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজারে অর্থের প্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদহারও সর্বোচ্চ ৯ থেকে বেড়ে এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার যে লক্ষ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারণ করেছিল, সেটি কাজে আসেনি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মূলে রয়েছে সরবরাহ ঘাটতি ও বাজার অব্যবস্থাপনা। চাহিদা নিয়ন্ত্রণ বা শুধু সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে এ মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব নয়। জিনিসপত্রের দাম কমাতে উৎপাদন ও আমদানি বাড়ানো দরকার। অন্যথায় আগামী দুই-তিন মাসে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলছেন, ‘বিরাজমান মূল্যস্ফীতি সরবরাহের ঘাটতি থেকে উদ্ভূত। এ কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হয়, সে উদ্যোগ নিতে হবে। চাহিদা নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়িয়েছে। এখন আর নতুন করে সুদহার বাড়ানো যাবে না। জনগণকে স্বস্তি দিতে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার কিংবা কমিয়েছে। কিন্তু এর সুফলও বাজারে দেখা মিলছে না।’

সরবরাহে ঘাটতির কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে করণীয় সম্ভাব্য সবকিছুই এরই মধ্যে করা হয়েছে। এখন আর সুদহার বৃদ্ধির সুযোগ নেই। আমি মনে করি, বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে পণ্যের দাম কমছে না। এটি থেকে উত্তরণের জন্য সরবরাহ বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ দরকার।’

নানাভাবে ব্যবসায়ীদের চাপে রেখে নিত্যপণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের ভ্রান্তনীতি অনুসরণ করছে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, এ কারণেই শুল্কছাড়ের সুবিধা ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। একদিকে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যাংকগুলোয় নগদ টাকার সংকট রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ফলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, বিভিন্ন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামে চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ। সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে নানামুখী চাপে তারা। সরকারের একমাত্র বাণিজ্যপ্রতিষ্ঠান টিসিবির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল, খেজুর, তেল, চিনি, পিঁয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে লোকদেখানো শুল্কছাড় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু ডিমের দাম কমলেও বাকি ছয় পণ্যের দাম কমেনি আশানুরূপ। কমার বদলে উল্টো বেড়েছে কোনো কোনোটির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং শুল্কছাড়ের পণ্য এখনো দেশে আসেনি তাই দাম কমছে না। যদিও এটি পুরোপুরি সত্য নয়। এদিকে অনেক ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলতে পারছে না গ্রাহক। নিজের জমানো টাকা তুলতে গেলেও গ্রাহককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। শুধু নগদ টাকাই নয়, আরটিজিএস ও বিএফটিএনের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দিচ্ছে টাকার অভাবে। এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রকাশ্যে ছিনতাই, ডাকাতি, হামলা, খুন, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে সারা দেশে হত্যাকা ঘটেছে ৫২২টি। ধর্ষণ, ডাকাতি, চুরি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ২৫ হাজার ৪৫৬টি।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে এটা সত্য, তবে দারিদ্র্যসীমার ওপরে আরও ২ কোটি লোক রয়েছে। তারা অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। কোনো কারণে এ লোকগুলো মাসে দুই দিন কাজ না পেলে আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। অর্থাৎ নতুন করে এ ২ কোটি লোক গরিব হয়ে যাবে। তখন দারিদ্র্যের হার বর্তমানের ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৬ শতাংশে চলে যাবে। বর্তমানে যে ৩ কোটি লোক গরিব রয়েছে, এটি বেড়ে ৫ কোটি হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ দারিদ্র্যঝুঁকির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মূলত আয়বৈষম্য। প্রবৃদ্ধি যা হয়েছে তার বেশির ভাগই চলে গেছে সমাজের উচ্চশ্রেণির একটি ক্ষুদ্র অংশের হাতে। সমাজের বাকি যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তারা পেয়েছে মূলত তলানিটা।’

সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১০ শতাংশ মানুষের হাতে চলে গেছে দেশের ৮৫ শতাংশ সম্পদ। আর বাকি ৯০ শতাংশের হাতে রয়েছে ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশে আয়বৈষম্য বাড়িয়েছে সেই ১০ শতাংশ মানুষ। আর এ অসমতা সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে পরের বছরগুলোয়।

সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাজারে উত্তাপ কমেনি। বাজার স্থিতিশীল করতে আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর কমানো, মার্জিন তুলে দেওয়া, বাজারে অভিযান চালানোর মতো বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পেলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বাজার। বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে কয়েক মাসের মধ্যে একাধিকবার নীতি সুদহার বাড়ানো হলেও আবার টাকা ছাপিয়ে উসকে দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি। অন্যদিকে উচ্চ সুদহারের চাপে নাকাল ব্যবসায়ীরা।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যারা বাজারের প্রধান অংশীজন সেই ব্যবসায়ীদের সরকার গুরুত্ব না দেওয়ায় উল্টো ফল হচ্ছে। সংকট উত্তরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার সংলাপ করলেও এখনো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেনি। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করলে সমাধানের পথ সহজ হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। বাজার ব্যবস্থাপনার গলদের পাশাপাশি শিল্পে নিরাপত্তাহীনতা, সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা, ডলার সংকট, আমদানি-রপ্তানির বেহাল দশায় সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত তিন মাসের ব্যবধানে বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে। এত পদক্ষেপের ভিড়ে যেই ব্যবসায়ীদের হাতে পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার লাগাম; তাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মতবিনিময় করা হয়নি। উল্টো ব্যবসায়ীদের আরো কোণঠাসা করা হয়েছে। ডলার সংকট আরো বেড়ে এলসি খোলার পরিমাণ ও যন্ত্রপাতি আমদানির পরিমাণ কমে গেছে।