বিমা খাতে শৃঙ্খলা আনতে ৬৩২ কোটি টাকার প্রকল্প



টুটুল রহমান, বিজনেস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমা খাতে শৃঙ্খলা আনা, গ্রাহকের আস্থা অর্জন ও উন্নয়নে অটোমেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইডিআর)। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা। আগামী ২০২২ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আইডিআরের সদস্য গোকুল চাঁদ দাস।


এছাড়াও বিমা খাতে দক্ষ লোকবল তৈরি, সময়মতো বিমা দাবি পরিশোধ, কোম্পানিগুলোর অনৈতিক কমিশন বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ২৭ কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

গোকুল চাঁদ দাস বলেন, বিমা খাতে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। মানুষের আস্থার অভাব রয়েছে। এটা একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এগুলো দূর করার জন্য আইডিআর গঠন করা হয়। এখাতে শৃঙ্খলা  আনা এবং মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এই খাতটাকে যদি অটোমেটেড করা যায় তাহলে অনেক অনিয়মই দূর হয়ে যাবে। এ কারণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা। এছাড়াও দক্ষ জনবল তৈরি করতে বিভিন্ন  কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখাতে ব্যাংকিং খাতের মতো আকর্ষণীয় কোনো বেতন কাঠামো নেই সে কারণে অনেক মেধাবী বিমায় চাকরি করতে আসেন না। এই আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো তৈরির জন্য কাজ করা হচ্ছে।

বিমা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে অভিজ্ঞ এই কর্মকর্তা বলেন, অটোমেশন একটা বড় ধরনের পদক্ষেপ। আমরা অটোমেশনের মাধ্যমেই সুশাসনটা করতে চাই। সুশাসনের জন্য আমাদের প্রথম পদক্ষেপ যেটা সেটা হলো সময়মতো গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করা। আমরা এটার ওপরে বেশি জোর দিচ্ছি। আমরা চাই গ্রাহকের দাবি পূরণের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে সভা করে জনসম্মুখে দাবিটা পরিশোধ করা হোক। জনসম্মুখে দাবি পরিশোধ করলে মানুষ আকর্ষিত হবে ইন্স্যুরেন্সের প্রতি। আরেকটা দিক হলো পুরো বিমা দাবি না পেলে জনসম্মুখে অভিযোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। সুশাসনের এটা একটা দিক। আরেকটা হলো প্রচার। ইন্স্যুরেন্সের প্রচারের দিকেও আমরা আগ্রহী। মিডিয়ায় যারা কাজ করে তাদের বলবো আপনার মানুষ যেন জেনে বুঝে পলিসি করে সে ব্যাপারে প্রচার করুন।

তিনি বলেন, শুধু অটোমেশন নয় পলিসির শর্তগুলো বাংলায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেখা যায় পলিসির শর্তগুলো ইংরেজি হওয়ায় সাধারণ মানুষ না বুঝে পলিসি করে শেষ পর্যন্ত কিছুই পায় না। এসব অনিয়ম দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে বিমা খাতের ইমেজ সংকট কাটাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। ইমেজ সংকট বলতে ‘ক্লেইম’ না  দেয়াকে বুঝায়। অনেক কোম্পানিই আছে বিমা ম্যাচিউর হলে ‘ ক্লেইম’ দেয় না বা গ্রাহককে হয়রানি করে। এসব কারণেই কিন্তু ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে। ১৫ শতাংশ কমিশন বাস্তবায়ন হলে রি-ইন্সুরেন্সসহ অন্যান্য সবই করবে কোম্পানিগুলো। ‘ক্লেইম’ হলে কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের ডেকে এনে বিমার টাকা পরিশোধ করবে। তখন কিন্তু আমরা ইমেজ সংকটে থাকব না। বর্তমানে আইডিআরে শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর নেতৃত্বে যে কমিশনটা আছে তারা খুবই যত্নবান এবং সচেষ্ট। তারা চেষ্টা করছেন ইমেজ সংকট কাটানোর। তাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন কোম্পানিতে গিয়ে ‘ক্লেইম’  দেয়া হচ্ছে। এগুলো গণমাধ্যমে আসছে। এতে ইমেজ সংকট ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। আমার তো মনে হয় ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব।

২৭ কোম্পানির পুঁজিবাজারে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো শেয়ার বাজারে আসার ব্যাপারে এরই মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আমার মনে হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা আবেদন করবে। তবে আবেদন করলেই কিন্তু বিএসইসি দেবে না। কতগুলো আইনকানুন আছে, সেগুলো মানতে হবে। এই শর্তগুলো যারা পূরণ করতে পারবে না, অথবা যাদের সামর্থ্য নেই তারা হয়তো আবার আবেদন করবে। তবে আমরা চাই প্রত্যেকটা কোম্পানি শেয়ার বাজারে যাক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাবিশ্বে বিমা খাতকে অনন্য মর্যাদায় দেখা হয়ে থাকে। বিমা খাত একটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করে। অথচ বাংলাদেশে বিমা খাতকে দেখা হয় নেতিবাচক দৃষ্টিতে। নানা নিয়ম, সময়মতো বিমা দাবি পূরণ না করা, কমিশন প্রদান নিয়ে অনৈতিক ব্যবসা, দক্ষ লোকবলের অভাবে দাঁড়াতে পারছে না বিমা খাত।

আইডিআরের অটোমেশন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তখন বিমা খাত নতুন যুগে প্রবেশ করবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;