আমাদানি শুল্ক ছাড় দিলে ওষুধ আরও সহজলভ্য হবে
দেশেই এখন ভ্যাকসিন, ক্যানসারের ওষুধ, ইনসুলিনসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করছে কোম্পানিগুলো। অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্কে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিলে দেশে কাঁচামাল উৎপাদন ও ওষুধ আরও সহজলভ্য হবে।
শনিবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলের ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)আয়োজিত ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, দেশে ওষুধের বাজারের আকার বেড়েছে। মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ এখন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। শিল্প পার্কে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিলে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যয় কম হবে।শিল্পটি আরও ভালো অবস্থানে যাবে। বিশ্বের উন্নত দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সহজে কম্পিটিশনে যেতে পারবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওসামা তাসিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) রুহুল আমিন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল(অব) ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাফিজুর রহমান, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের চেয়ারম্যান মো. জিয়া উদ্দিন, ডিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিদেশে বাজার ধরতে উদ্যোক্তারা রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা ও এপিআই শিল্প পার্কে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দাবি করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প ২০৩৩ সাল পর্যন্ত মেধাস্বত্বে ছাড় পাচ্ছে। এখন এপিআই শিল্প পার্কে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় প্রয়োজন। আমাদের ধীরে ধীরে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। কাঁচামাল দেশেই্ উৎপাদন করতে হবে। দেশের মধ্যে কাঁচামাল উৎপাদন করতে পারলে ওষুধের দাম আরও কমে আসবে।
বিডার চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। এপিআই ডেভেলপ করতে বাইরের দেশ থেকে প্রয়োজনে এক্সপার্ট আনতে হবে। এখনই সময় সরকারের কাছ থেকে সব ধরনের সুযোগ নেওয়ার। কারণ ওষুধ শিল্পের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ডিজি রুহুল আমিন বলেন, আমাদের সাধ্যের মধ্য থেকেই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জমি নেই, দক্ষ জনবল নেই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকার সময় নেই। আমাদের ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বিশ্ব বাজারে প্রবেশ করতে হবে সহজভাবে। এজন্য কোম্পানিগুলোর যা যা সুযোগ-সুবিধা দরকার আমাদের জানালে ব্যবস্থা করব। এপিআই কারখানাগুলোকে প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি জয়েন্ট ভেঞ্জারে কাজ করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেছে নেয়। আমাদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্জগুলোকে এখানে কাজে লাগাতে হবে।