ডিসেম্বরের মধ্যে পিপল লিজিংয়ের আমানত ফেরত দেয়ার দাবি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেকোনো উপায়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমানতের টাকা ফেরত চান অবসায়ন হওয়া ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীরা।

শনিবার(০৯নভেম্বর)রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মোট তিন দফা দাবি জানান তারা। ‘পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে আমানতকারীদের কাউন্সিল' ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস-কে অবসায়ন না করে পুনর্গঠন (রি-কনস্ট্রাকশন) অথবা অন্য যেকোনো উপায়ে ব্যক্তি আমানতকারীদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় দ্রুত ফেরত দেয়া।

চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যক্তি আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া। বিশেষ করে তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য তাদের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, তাদের সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-

সংবাদ সম্মেলনে আমানতকারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কাউন্সিলের প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

আমাদের আকুল আবেদন, এখনই পিপলস লিজিং-কে অবসায়ন না করে ব্যক্তি আমানতকারীদের আমানত দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে সরকার যেভাবে ফারমার্স ব্যাংক-কে অবসায়ন না করে পদ্মা ব্যাংক নামে পুনর্গঠন করে গ্রাহকদের আমানত ফিরিয়ে দিয়েছে, ঠিক তেমনি পিপলস লিজিং-কে অবসায়ন না করে পুনর্গঠন করে নতুন নামে চালু এবং গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

কাউন্সিলের আহবায়ক মো. আনোয়ারুল হক-সহ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিতি ছিলেন, প্রশান্ত কুমার দাস, রানা ঘোষ, কামার আহমেদ, সামিয়া বিনতে মাহবুব, আবু নাসের বখতিয়ার, ড. নাশিদ কামাল প্রমুখ।

আতিক বলেন, আমরা পিপলস লিজিংয়ের প্রতারণার শিকার। আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের বাঁচানোর পথ সুগম করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করছি। আমরা আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত আমাদের মতো অসহায় আমানতকারীদের জীবন বাঁচাবে এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রায় ছয় হাজার আমানতকারী সরল বিশ্বাসে আমাদের সঞ্চিত ও কষ্টার্জিত অর্থ আমানত হিসাবে পিপলস লিজিংয়ে জমা রেখেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমরা, পিপলস লিজিংয়ের ক্ষুদ্র আমানতকারীরা কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পাচ্ছি না।

   

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক সহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান কার্যালয়ে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি, এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

একীভূতকরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি জানান, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একভূতীকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করা হবে কি না, সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। তার আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;

একীভূত হচ্ছে না ইসলামী ব্যাংক, তালিকায় রয়েছে অন্য ৯টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ধুঁকতে থাকা পদ্মা ব্যাংক। আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার চূড়ান্ত একটি লিস্ট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এর মধ্যে কোনো ইসলামি ব্যাংকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়নি।

জানা যায়, দুর্বল যেসব ইসলামি ধারার ব্যাংক রয়েছে এসব ব্যাংক মালিকরা নিজেদের উদ্যোগেই ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের মালিকানায় থাকা পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা বৈঠক করেন। বৈঠকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এবং আইসিবি ইসলামি ব্যাংক।

যদিও আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের শেয়ার ওরিয়ন গ্রুপ কিনে নেয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে আইসিবি ইসলামি ব্যাংকটির নাম ছিল দ্য ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। সে সময় ব্যাংকটি ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানায় ছিল। তবে দেউলিয়াপ্রায় অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তা মালয়েশিয়াভিত্তিক আইসিবি ইসলামি গ্রুপ ব্যাংকটির অধিকাংশ শেয়ার কিনে নেয়। তবে নাম, মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনলেও আইসিবি ইসলামি ব্যাংক আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

এদিকে ইসলামি ধারার কয়েকটি ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসব ব্যাংক নিয়ে নিউজও হয়। তবে এসব ব্যাংক এখনই একীভূত হচ্ছে না বলেই জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চুক্তি করেছে পদ্মা ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংক একীভূত করার ধারা শুরু হয়। এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সরকারি মালিকানাধীন সমস্যাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংক।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সূত্র জানায়, সম্প্রতি আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারকদের এক বৈঠকে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত করা যায়, তা নিয়ে সেখানে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তার একটি খবরের পর আলোচনা ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে একীভূত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কেউ একীভূত না হলে আগামী বছর মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে মিলিয়ে দেয়া হবে।

ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার একটি নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘একীভূতকরণের পর যে ব্যাংক বিলীন হয়ে যাবে, সেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন বছরের আগে ছাঁটাই করা যাবে না। তবে ওই ব্যাংকের বড় কর্তারা (এমডি, ডিএমডি) থাকতে পারবেন না।’

এ ছাড়া একত্রীকরণের অনুমোদন হওয়ার পর হস্তান্তরকারী ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের কর্মকর্তা হতে না চাইলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ, পেনশন, গ্র্যাচুইটি, ভবিষ্য তহবিল ও অন্যান্য অবসরজনিত সুবিধা দেওয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে গ্রহীতা ব্যাংক-নীতিমালায় এ বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া আছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ব্যাংক একীভূতকরণের ‍উদাহরণ খুব একটা নেই। বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থাকে একীভূতকরণ করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গঠন করা হয়েছিল ২০০৯ সালে।

;