ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং: লাইসেন্স ইস্যু না করায় এনবিআরের বিরুদ্ধে রুল
বাংলাদেশে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিধিমালা অনুসারে লাইসেন্স ইস্যু না করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি ফ্রেইড ফরওয়ার্ডিং কোম্পানি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ২০০৮ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাংলাদেশে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং ব্যবসা পরিচালনার জন্য এস.আর.ও. নং ১৮- আইন/২০০৮/২১৭৪/শুল্ক এর মাধ্যমে একটি বিধিমালা জারি করে। বিধিমালা অনুসারে কোন বিদেশি ব্যক্তি বা কোম্পানি ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং ব্যবসায় নিয়োজিত বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির শতভাগ শেয়ার হোল্ডার/মালিক হতে পারতেন।
পরবর্তীতে বিধিমালার বিভিন্ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, উক্ত ব্যবসায় প্রয়োজনীয় মূলধনের পরিমাণ খুবই সামান্য, এটাকে বিবেচনায় এনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৫ সালে উক্ত এস.আর.ও. টির কতিপয় ধারা সংশোধন করে এবং বিদেশি ব্যক্তি/কোম্পানি কর্তৃক ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির শতভাগ মালিকানা পাওয়ার বিধান রহিত করে। সেই মর্মে একজন বিদেশি ব্যক্তি/কোম্পানি বাংলাদেশে নিবন্ধিত উক্ত কোম্পানির সর্বোচ্চ ৪০% শেয়ারের মালিকানা লাভ করতে পারে।
তবে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের সংশোধনী অনুসারে পূর্ববর্তী সময়ে ইস্যু করা লাইসেন্সসমূহ নবায়ন করছে না বলে প্রতীয়মান হলে কিছু সংখ্যক ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং কোম্পানির পক্ষ থেকে উক্ত বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে নিয়ে আসা হয় এবং লাইসেন্স ইস্যু কিংবা নবায়নের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের সংশোধনী পুরোপুরি প্রতিপালন করার জন্য অনুরোধ জানায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং কোম্পানি সমূহের অনুরোধের বিষয়টি প্রতিপালন করতে অপারগতা জানালে আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে মনোজ সেন গুপ্ত, চেয়ারম্যান, এওসাম নেটওয়ার্ক লিঃ এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন এ একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন, যার নম্বর-১২৪৮৯/২০১৯।
বাদী পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক রিট পিটিশনটি পরিচালনা করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করেন এবং চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করেন।