রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানের মাধ্যমে বাংলাদেশে পা রাখল রেনেসাঁ হোটেলস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আন্তর্জাতিক লাইফস্টাইল হোটেল ব্র্যান্ড রেনেসাঁ হোটেল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা গুলশানে উদ্বোধন হলো

আন্তর্জাতিক লাইফস্টাইল হোটেল ব্র্যান্ড রেনেসাঁ হোটেল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা গুলশানে উদ্বোধন হলো

  • Font increase
  • Font Decrease

#বিজনেস সেন্টারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, অত্যাধুনিক ডিজাইনের এই হোটেল স্বদেশি দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে অতিথিদের এক অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।


অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা আবিষ্কারে অতিথিদের সাহায্য করার জন্য সুপরিচিত আন্তর্জাতিক লাইফস্টাইল হোটেল ব্র্যান্ড রেনেসাঁ হোটেল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা গুলশানে উদ্বোধন হলো। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পা রাখল রেনেসাঁ হোটেলস, যার মাধ্যমে দেশে চারটি আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ড হিসেবে ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল পোর্টফোলিওকে আরও বর্ধিত করল।

প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এইচ. বি. এম. ইকবাল এই মনোমুগ্ধকর নতুন হোটেলের সূচনা লগ্নে গর্বিত হয়ে বলেন, “ঢাকায় ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের এই নবতম সংযোজন আনতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত, আমি বিশ্বাস করি সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেবা প্রদানের মাধ্যমে এই শহরে আগত সকল পর্যটকদের জন্যে এটি তীর্থস্থান হতে যাচ্ছে্।

এই আনন্দঘন পরিবেশে প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড প্রিমিয়ার গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মইন ইকবাল বলেন, “রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান সম্পূর্ণ নিজের মতো করে একটি প্রশান্তিমূলক এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদানে প্রস্তুত। ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের প্রশিক্ষিত এবং চমৎকার আতিথেয়তায় সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে গুলশানে আমাদের অতিথিদের জীবনের ভারসাম্যতা উপলব্ধিতে দারুণ সুযোগ প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর।

ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীরজ গোভিল বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের পোর্টফোলিওতে নবতম সংযোজন, রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানে ব্যবসার কাজে এবং অবসর সময় কাটাতে আসা উভয় ধরণের আগতদের স্বাগত জানাতে আমরা অপেক্ষা করছি। তিনি আরও বলেন, যারা সর্বদা নতুন কিছু আবিষ্কারের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন, প্রত্যেকবার তারা যখন শহরে আসবেন, তখন তাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে রেনেসাঁ গুলশান হোটেলটির বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশে দ্রুত উদীয়মান সাংস্কৃতিক  অথবা ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ করা ঢাকায় এই নয়া উদবোধনের মাধ্যমে স্থানীয় বা স্বদেশী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে প্রাণচঞ্চলশহর এবং এটির প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে অতিথিদের দারুণ সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে”।

ব্র্যান্ডের সুপরিচিত জাঁকজমকপূর্ণ ডিজাইন রণকৌশলের সাহায্যে, ২১১টি রুম বিশিষ্ট রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সংস্কৃতি নতুনরূপে তুলে ধরা হয়েছে, যেটি সমসাময়িক স্টাইল এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।

অপূর্ব সুন্দর শাপলা আকার ফুটিয়ে তোলা কার্পেট এবং স্থানীয় হস্তশিল্পের মাধ্যমে প্রস্তুত করাবুননচিত্র রুমগুলিকে বাড়তি আকর্ষণ প্রদান করে। সুতো এবং গোল্ড থ্রেডের মিশ্রণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্যাটার্নে নিখুঁতভাবে বোনা জামদানির কাজ দিয়ে সাজানো প্রতিটি রুমের জন্য হেড বোর্ড হোটেলের রং এবং রূপকে আরও আকর্ষণীয় এবং সমৃদ্ধতর করে তুলেছে। দৃষ্টিনন্দন লবি, রেস্তোরাঁ এবং স্থানগুলির ডিজাইন এই হোটেলের স্থানীয় সংযোগকে আরও জোরালো করেছে।

অসীম দিগন্তের রূপ, অন্যান্য নৈশভোজের বিপুল সম্ভার প্রদানকারী পাঁচটি রেস্তোরাঁ অতিথিদের অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় করে রাখবে। বাহার, সারাদিন ধরে উপলব্ধ রেস্তোরাঁ রয়েছে লাইভ কুকিং স্টেশন, যেখানে বুফে নৈশভোজের অভিজ্ঞতা অথবা আপনার পছন্দের বিপুল খাবার চেখে দেখতে পারেন। স্থানীয় থেকে আন্তর্জাতিক, সমস্ত রকম খাবার এখানে পাওয়া যাবে। সুপরিচিত রেস্তোরাঁ সিয়ারে পাবেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খাবারের সংমিশ্রণের অভিজ্ঞতা। সিয়ার বার হল শহরের প্রথম জ্যাজ বার এবং স্থানীয় স্বাদের ককটেল ও মকটেল সহ লাইভ মিউজিক উপভোগ করার একমাত্র ১৯ তলায় অবস্থিত সুপরিচিত আর বার হল নতুনভাবে সাজানো পুলসাইড রেস্টুরেন্ট যেখানে শহরের অসাধারণ রূপ প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি পাবেন অভিনব টাটকা জুস, চা এবং বিয়ার। দ্য গুলশান বেকিং কোম্পানি হল একটি ফরাসী স্টাইলের বিপণি যেখানে পাবেন কফি, বিভিন্ন রকমের চা এবং স্যালাড। এর সঙ্গে পাওয়া যাবে স্থানীয় উপাদান থেকে প্রস্তুত করা জিলাটোর বিপুল সম্ভার।

৬,৫০০ বর্গফুটেরও বেশি এলাকাজুড়ে অবস্থিত বৈঠক এবং আহারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা, সঙ্গে যথাযোগ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত পরিকাঠামো এই হোটেলকে ঘনিষ্ঠ, ব্যক্তিগত এবং সামাজিক অনুষ্ঠান সহযোগে বড় মাপের বৈঠক, সম্মেলন এবং বিয়ের আয়োজনের জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে। অবসর যাপনের অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে এখানে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ ফিটনেস সেন্টার, একটি বড় পুল এবং বিলাসবহুল স্পা।

দ্য রেনেসাঁ হোটেল তাদের সুপরিচিত নেভিগেটর কেয়ারটেকার প্রোগ্রামও চালু করবে, যেখানে অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় হবে স্থানীয় বাছাই করা রত্নদের।

এছাড়া, এই ব্র্যান্ডের পরিচিত ইভনিং অ্যাট রেনেসাঁ সেরা সঙ্গীত, শিল্প, খাবার এবং হোটেলে আরও নানা অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। স্থানীয়দের সঙ্গে পরিচিত হতেও অতিথিদের উৎসাহ প্রদান করা হবে।

দ্যা রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানের জেনারেল ম্যানেজার জেরোমি লিয়েনার্ট বলেন, “ঢাকায় আতিথেয়তার ক্ষেত্রে একটি আধুনিক এবং নতুন মুখ হয়ে উঠতে চলেছে রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান। এটি শহরে একটি নতুন নজির সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আকর্ষণীয়, নতুন নৈশভোজের সুবিধা, অবসর সময় কাটানোর নানা সুবিধা এবং অনসাইট নেভিগেটর শহরে অতিথিদের নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই হোটেল পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দা, উভয়ের কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে”’। ছবির মতো সুন্দর নদী, বাঘ এবং চা সহ পর্যটকদের একাধিক আকর্ষণীয় স্থানের সৌজন্য দক্ষিণ এশিয়ায় রত্ন ভান্ডারে সবুজ  হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত। মেট্রোপলিটন সিটিতে বুড়িগঙ্গা নদীর অপূর্ব রূপ দর্শন অথবা লালবাগ ফোর্ট এবং আহসান মনজিলে দেশের সমৃদ্ধশালী ইতিহাসের একঝলক পর্যটকরা ঢাকায় উপভোগ করতে পারেন।

বিস্তারিত তথ্য অথবা বুক করার জন্য অনুগ্রহ করে দেখুন: www.renaissancedhakagulshan.com 

রেনেসাঁ হোটেল

রেনেসাঁ হোটেল আর পাঁচটা হোটেলের থেকে একটু পৃথক। বিশ্বে ৩০টিরও অধিক দেশে অবস্থিত ব্র্যান্ডের ১৬০টি হোটেলের প্রতিটিতে বিজনেস ট্রাভেলারদের চিরাচরিত প্রথার বাইরে গিয়ে তাদের স্থানীয় সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে সহায়তা প্রদান করা হয়। গুলশানের প্রাণকেন্দ্রে আপনি আমাদের হোটেল খুঁজে পাবেন।দৃষ্টিনন্দন এফঅ্যান্ডবি আউটলেট, তৎসহ অত্যাধুনিক মিটিং রুম, রুফটপ পুল থেকে আপনি শহরের অসীম দিগন্ত প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। রেনেসাঁ নেভিগেটররা হলেন স্থানীয় এলাকার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল,যারা প্রকৃত স্থানীয় স্বাদ এবং কার্যক্রম আবিষ্কারে আপনাকে সহায়তা প্রদান করবে।আদান প্রদান মূলক টেবল সেটিং এবং বিশেষভাবে প্রস্তুত করা স্থানীয় মেনু সহ চিরাচরিত মিটিংয়ের বাইরে অভিজ্ঞতা প্রদানে আর.ই.এন. মিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনো কারণেই আপনি এই এলাকায় আসুন না কেন, আমরা জানি রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানে আপনি আপনার অবস্থানকাল উপভোগ করবেন। অধিকতর তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করেদেখুন renaissancedhakagulshan.com অথবা সোশ্যাল মিডিয়া –  ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ট্যুইটারে আমাদের অনুসরণ করুন।

ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল ইঙ্ক সম্পর্কে বিস্তারিত

ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল, ইঙ্ক. (নাসডাক: এমএআর) এর মূল শিকড় ইউএসএর মেরিল্যান্ডের বেথেসডায় প্রেথিত। ১৩৪টি দেশ এবং টেরিটোরি জুড়ে ৩০টি অগ্রণী ব্র্যান্ডের অধীনে এটির ৭,২০০-এরও অধিক সম্পত্তি রয়েছে। সমগ্র বিশ্বে মালিকানা ভিত্তিতে রিসর্টের লাইসেন্স বিক্রয় এবং হোটেল পরিচালনা ও ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রদান করে ম্যারিয়ট। ম্যারিয়ট রিওয়ার্ডস®, দ্য রিটজ-কার্ল্টনরিওয়ার্ডস® এবং স্টারউড প্রেফার্ড গেস্টের® (এসপিজি)পরিবর্তে কোম্পানির তরফ থেকে বর্তমানে নতুন ভ্রমণসূচী, ম্যারিয়ট বনভয়™প্রদান করা হচ্ছে। অধিকতর তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইট www.marriott.com দেখুন এবং কোম্পানি সম্বন্ধে সর্বশেষ সংবাদের নিমিত্ত দেখুন  www.marriottnewscenter.com ।এছাড়াফেসবুক এবং @MarriottIntl টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হোন।

বিজনেস সেন্টারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, অত্যাধুনিক ডিজাইনের এই হোটেল স্বদেশি দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে অতিথিদের এক অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত

   

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি।

তিনি জানান, সভায় ১১ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

;

শেয়ার কারসাজির দায়ে হিরুদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে সমবায় অধিদফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও বিশিষ্ট শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগিদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই জরিমানা করেছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবরে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারের দাম ছিল ৬৮ টাকা। যা এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম ১১৬ টাকায় তোলা হয়।

এর আগে, ২০২২ সালের জুনে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে বিএসইসি আবুল খায়ের হিরুকে ২ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা করেছিল।

২০২২ সালের মে মাসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আবুল খায়ের হিরু এবং তার সহযোগিদের সাফকো স্পিনিং মিলের শেয়ার ব্যবসায় সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড বাংলাদেশের বৃহত্তম কল সেন্টার পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২০১৯ সালে শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক পাবলিক অফারের মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৪ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২২ সালে দিয়েছিল ১১ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ বোনাস।

;

অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো ব্যবসায়ী অসাধু উপায়ে বাড়তি মুনাফা করার চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটি।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজারে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটির মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই'র সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিন হেলালী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে চিহ্নত করে সাজা নিশ্চত করতে হবে। এফবিসিসিআই'কে অসাধু ব্যবসায়ীদের তথ্য দিন। আমরা সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো।

রমজানে বাজার সহনশীল রাখতে বেসরকারি খাতের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এফবিসিসিআই বাজার মনিটরিং করছে বলে জানান সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে ভোক্তাদেরও ক্রয় অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এক মাসের বাজার একদিনে না করে আরও সংযোমী হতে হবে।

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতিটি বাজারে বণিক সমিতি বা বাজার কমিটির নিজস্ব নজরদারি ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এবং এফবিসিসিআই এর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে জানান মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বাবুল।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই'র পরিচালকবৃন্দ, সাবেক পরিচালকবৃন্দ, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

;

ক্ষুদ্রঋণে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার বাড়াতে বিকাশ ও ডাটাসফটের উদ্যোগ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষুদ্রঋণে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মঘণ্টা সাশ্রয়, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, সহজে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন, ২৪/৭ লেনদেনের রিপোর্টিং, ক্যাশ বহন করার ঝুঁকি কমানো, ক্যাশ ম্যানেজমেন্টসহ সার্বিক ক্ষুদ্রঋণ খাতে দক্ষতা ও গতিশীলতা আনা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে অভ্যস্ততা ও সচেতনতা বাড়াতে বিকাশ ও ডাটাসফট-এর আয়োজনে এক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফট-এর মাইক্রোফিন-৩৬০ সল্যুশন ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর এবং ডাটাসফট-এর প্রেসিডেন্ট এম. মনজুর মাহ্‌মুদ, বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সেমিনারে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের সুবিধা যেমন – সহজে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন, ২৪/৭ লেনদেনের রিপোর্টিং, ক্যাশ বহন করার ঝুঁকি কমানো, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বৃদ্ধি, অটোমেটিক ব্যাংক সেটেলমেন্ট, ডিজিটাল রিসিট ও পাসবুক, যেকোনো সময়/স্থান থেকে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা প্রদান, *২৪৭# ডায়াল করে মাইক্রোফাইন্যান্স পেমেন্ট, এজেন্ট পয়েন্ট থেকে পেমেন্ট প্রদান সহ সার্বিক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম আরও কার্যকর, সহজ, দ্রুত, সময় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ করার বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

এসময় ক্ষুদ্রঋণ কর্মকাণ্ডে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুসলিম এইড বাংলাদেশ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান চৌধুরী ও পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)-এর মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগের ডিরেক্টর মশিউর রহমান। এছাড়াও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ব্যুরো বাংলাদেশের অপারেশন ডিরেক্টর ফারমিনা হোসেন, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাকটিসেস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিফতা নাঈম হুদা এবং বাসা ফাউন্ডেশন-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আ. ক. ম. সিরাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ডাটাসফট দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের মাইক্রোফিন৩৬০ সল্যুশনের মাধ্যমে ডাটা ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম সেবা দিয়ে আসছে। ডাটাসফটের এই সেবা ব্যবহার করা দুইশতাধিক ক্ষুদ্রঋণদানকারী এনজিওর প্রায় এক কোটি গ্রাহক এখন বিকাশ-এর মাধ্যমে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ঋণের কিস্তি পরিশোধের সুবিধা পাচ্ছেন যা তাদের মূল্যবান সময় ও খরচ বাঁচাচ্ছে। বিকাশ ও ডাটাসফটের যৌথ সেবা সারাদেশের পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সম্বন্বয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

;