কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বেসিক ব্যাংকের এমডি-চেয়ারম্যান
সার্কুলার জারি করে বেসিক ব্যাংকের বেতন ভাতা কমানোর প্রতিবাদে সেনা কল্যাণ ভবনে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আলমসহ ৬ পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভা শুরু হয়। বোর্ডের এ সভাকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকেই প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মীরা। এ সময় তারা সভার রুমের বাইরে অবস্থান করেন। কিন্ত সন্ধ্যার পর থেকে পর্ষদ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে তারা।
এসময় জয় বাংলা, অবৈধ সার্কুলার বাতিল কর করতে হবে, এক দফা এক দাবি মানতে হবে, মানতে হবে স্লোগান দেয় কর্মীরা।
এর আগে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে বেতন কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশনা জারি করেছিল বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কমে যাবে ব্যাংকটির সর্বস্তরের কর্মীদের বেতন। এ কারণে বেসিক ব্যাংক কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর থেকেই নিয়মিত বিক্ষোভ করছে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
তাদের দাবি, ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী বেতন কাঠামো দেখে আমরা নিজ যোগ্যতায় চাকরি নিয়েছি। এখন বেতন কমানো অযৌক্তিক। বোর্ডের অদক্ষতা, অযোগ্যতা, অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে ব্যাংক লোকসানে পড়েছে। পর্ষদের দায় ভার আমরা নেব কেন? এটা আমরা মানবো না।
জানা গেছে, অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সার্কুলার জারি করে কর্তৃপক্ষ। যা ওইদিন থেকেই কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকে গত সাত বছর ক্রমাগত লোকসান হওয়ায় বিদ্যমান অতিরিক্ত বেতন-ভাতা ব্যাংকের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে ব্যাংকের বিদ্যমান বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধাদি বাতিল করা হলো।
এদিকে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের ৫ অফিসার আলোচনায় বসেছে ৯টা ৫২ মিনিটে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যাংকটিতে কর্মরতদের বেতন কমানোর নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওইদিন বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ৩৫৪ কোটি টাকা লোকসান করেছেন। মাত্র ৭২টা ব্রাঞ্চের জন্য এখানে প্রায় ২১০০ জনবল আছে। এত লোকের এখানে কী কাজ?’