জমে উঠেছে বাণিজ্য মেলা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সকাল থেকেই মানুষের সমাগম ঘটে/ছবি: বার্তা২৪.কম

সকাল থেকেই মানুষের সমাগম ঘটে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: জমে উঠেছে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে মেলার ১১তম দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণা ছিল চোখে পড়ার মত। শুরুতে লোক সমাগম কম হলেও শনিবার( ১১ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ।

মুজিববর্ষ ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের জন্য শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মেলা বন্ধ ছিল। তবে সপ্তাহের ছুটির দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই মানুষের সমাগম শুরু হয়।

দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে ক্রেতার সমাগম। স্টলগুলোতে নারী-পুরুষ শিশু নির্বিশেষে ভিড় করছিল। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই এসেছেন মেলায় পছন্দের জিনিস কিনতে।

বেশিরভাগ পণ্যে ছাড় ও নানা অফার থাকায় বেচাকেনা জমে উঠেছে

মেলায় প্লাস্টিক পণ্য, অ্যালুমিনিয়ামের গৃহস্থালি (ক্রোকারিজ), ইমিটেশনের গয়না, কসমেটিকসের স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। তবে শীতের পোষাকের দোকানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

এবারের মেলায় প্রথম দিন থেকেই শীতের পোশাক ভালই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু বিক্রেতা। ক্রেতা- দর্শনার্থীদের অনেকেই কাঠ ও প্লাইউডের আসবাব ও ইলেকট্রনিক পণ্যের স্টলগুলো ঘুরে দেখছেন এবং কোন পণ্যে কত ছাড় তা জানতে চাচ্ছেন। কিছু পণ্যে মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা থাকায় ক্রেতারা আকৃষ্ট হচ্ছেন।

অনেক বিক্রেতা জানালেন, প্রথম কয়েক দিনে বিক্রি না থাকলেও আজ ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। দিন বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি আরও বাড়বে।

বিক্রি ভালো হওয়ায় স্বস্তিতে বিক্রেতারা

মিরপুর থেকে আবুল হাসান ছয় বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন। মেয়ের জন্য খেলনা ও পোশাক কিনেছেন। জানালেন, গতকাল শুক্রবার আসতে চেয়েছিলেন। তবে মেলা বন্ধ ছিল। তাই আসা হয়নি। প্রতিবছরই আসা হয়। কিছু কেনাকাটাসহ শিশুদের কিছুটা বিনোদন দিতে মেলায় আসা।

পুরান ঢাকার ইসলামপুর থেকে মেলায় এসেছেন রাবেয়া বেগম। জানলেন, তিনি তার ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। যেমন দূষণ বা ধূলাবালির কথা শুনেছেন তেমনটি নেই বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি তার ছেলের জন্য একটি জ্যাকেট কিনেছেন। নিজেও কিছু তৈজসপত্র কিনতে চান।

এবারের বাণিজ্য মেলার অন্যতম আকর্ষণ ‘সারা’। মেলার স্টলের ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, এবারের মেলায় ‘সারা’র বিক্রি খুবই ভাল। গত ১০ দিনে প্রতিদিনই ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।

ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর মেলা প্রাঙ্গণ

শীতের ফ্যাশনকে নতুন মাত্রা দিয়ে ‘সারা’ এবার নিয়ে এসেছে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের শীতকালীন পোশাক সামগ্রী। বিভিন্ন ডিজাইনের জ্যাকেটের পাশাপাশি মেলার আউটলেট পাওয়া যাচ্ছে শতাধিক ডিজাইনের শীতকালীন পোশাক।

তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি রয়েছে শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের পোশাক। শীতকালীন এসকল পোশাক সামগ্রীর মধ্যে আছে ম্যানজ অ্যান্ড ওমেন্স বোম্বার জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম শাল, ডেনিম টপস এন্ড কুর্তি, লেদার জ্যাকেট, ম্যানজ এন্ড ওমেন্স কুইল্টেড ভেস্ট, ম্যানজ এন্ড ওমেন্স পাফার জ্যাকেট, বিভিন্ন রকমের হুডি, ম্যানজ ক্যাজুয়াল ব্লেজার, ফ্ল্যানেল শার্টস, ফ্ল্যানেল স্কার্ফ, কিডস পাফার জ্যাকেট এবং কিডস হুডিজ। ৫০০ থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকার মধ্যেই এসকল পোশাক আপনি পেতে পারেন শুধুমাত্র সারা’তে।

আরও রয়েছে শার্ট, এথনিক টপস, এক্সক্লুসিভ পার্টি টপস, নিট টি শার্ট, লেগিংস, ডেনিম, লন, শ্রাগস, পালাজো ফর লেডিস এন্ড গার্লস, জিন্স ফর ম্যানজ অ্যান্ড বয়েজ, পোলো টি শার্ট।

ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, স্নোটেক্সের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ কাজ শুরু করেছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে। সবই দেশী পণ্য। মেলায় পন্যে সরাসরি ডিসকাউন্ট নেই। তবে বিকাশে পণ্য কিনলে ৫ শতাংশ, এনআরবি ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের কার্ডে কিনলে ১০ শতাংশ এবং জিপি স্টার হলে ১২ শতাংশ ছাড়া দেওয়া হচ্ছে।

অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন মেলায়

বেস্ট বাই-এর সেলস এক্সিকিউটিভ রাইহানুল ইসলাম জানালেন, আমরা মেলায় সবচেয়ে বেশী পণ্য বিক্রি করছি। প্রতিদিন বিক্রি ২৫ লাখ টাকার মত। গতকাল জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য মেলা বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকার পরও এটিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। কারণ যার জন্য এ দেশ আমরা পেয়েছি তার জন্য এ দিবস পালনে আমরা গর্বিত।

তিনি বলেন, আজ মেলায় দর্শনার্থী বেড়েছে। আমাদের তিনশ পণ্য রয়েছে। ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ফার্নিচার কিনলে ঢাকার মধ্যে ফ্রি ডেলভারি।

দিল্লি এ্যালুমিনিয়ামের প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা ইয়াসিন গনি মেলায় জনসমাগম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন। তিনি জানালেন, গত বছরের তুলনায় এবার তাদের বেচাকেনা ভাল হয়নি। তারওপর গতকাল ছিল বন্ধ। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে মানুষ কম আসছে। মানুষ এলেও তাদের বিক্রি সন্তোষজনক নয়। তার স্টলে ভারত ছাড়াও বেশীরভাগ পণ্য দেশি এবং কিছু পণ্য থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে।

শিশু মেলা-১ এর কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন বলেন, আজ সকাল থেকেই মেলায় মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এবারের বাণিজ্য মেলায় আর একটি রাইড রয়েছে শিশু মেলা-২। আমরা শিশুদের সর্বাত্মক বিনোদন দেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছি। তবে আমাদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার ‘নিরাপত্তা’।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;