অভিজ্ঞতার জন্য বাণিজ্যমেলায় খণ্ডকালীন চাকরিতে ছাত্রীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাণিজ্যমেলায় খণ্ডকালীন চাকরিতে ছাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাণিজ্যমেলায় খণ্ডকালীন চাকরিতে ছাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতি বছরের মতো এবারও স্টলগুলোতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা অর্জন ও অল্প সময়ের মধ্যে আয় করার সুযোগ থাকায় এই কাজ আগ্রহের সাথে করছেন তারা। এরমধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও দক্ষতার সাথে মেলায় বিক্রয়কর্মীর কাজ করছেন এই নারীরা।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মেলার ১৫তম দিনে মেলা ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ স্টল, প্যাভিলিয়নে একই রকম পোশাকে এসব বিক্রয়কর্মীরা সুন্দর করে সেজে দাঁড়িয়ে আছেন। দর্শনার্থী আকর্ষণের চেষ্টা তাদের মধ্যে অটল। কেউ দর্শনার্থীদেরকে পণ্য দেখাচ্ছেন, কেউ গুণগতমান বোঝানোর চেষ্টা করছেন, কেউ পণ্য বিক্রয়ের পর দাম বুঝে নিচ্ছেন তো কেউ সহকর্মীকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

বছরের শুরুতে পড়াশোনার চাপ বেশি না থাকায় কেউ শখের বসে, কেউ সময় পার করার জন্য, কেউ হাত খরচ চালাতে, তো কেউ ছোট ব্যবসা শুরু করার উদ্দেশ্যে খন্ডকালীন এই কাজগুলো করছেন। তবে অভিজ্ঞতা অর্জনের কথাই জানালেন বেশিরভাগ বিক্রয়কর্মী। এছাড়া যে প্রতিষ্ঠানের স্টলের কাজ করছেন কাজ ভালো করলে অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে স্থায়ীভাবেও নিয়োগ দেওয়া হয়।

অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বাণিজ্য মেলায় কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা

কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও খন্ডকালীন চাকরিরত এসব শিক্ষার্থী বিক্রয়কর্মীদের ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি চৌকস, কৌশলী, সুন্দর বাচনভঙ্গি, দর্শনার্থী আকর্ষণ করার সক্ষমতা, যোগাযোগের দক্ষতা, স্মার্টনেস সেই সাথে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণরাই মেলায় কাজ করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছেন। এছাড়া বাণিজ্যমেলায় ছুটির দিনগুলোতে বা মেলার শেষ মুহূর্তের দিকে দর্শনার্থীদের ভিড় বৃদ্ধি পায়। সুতরাং চাপের মধ্যে কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে তাদের।

বাণিজ্য মেলায় এক মাস খণ্ডকালীন চাকরির জন্য কর্মীরা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এ ছাড়া সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাশতা, রাতের খাবার, যাতায়াত খরচও দিচ্ছেন অনেক প্রতিষ্ঠান। এর বাইরে কেউ চাইলে এক মাসের কাজের অভিজ্ঞতা সনদও দেওয়া হয়, যা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বা অন্য কোথাও চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখানো যায়।

দর্শনার্থীদের পণ্যের গুণগতমান বোঝানোর চেষ্টা করছেন খণ্ডকালীন চাকরিতে এক শিক্ষার্থী

এসব নারী বিক্রয়কর্মীরা আনন্দের সাথেই কাজ উপভোগ করছেন। এই কাজ তাদের জন্য ভবিষ্যতে ভালো কাজের সুযোগ করে দেবে বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে ইগলুর মার্কেটিং অফিসার মো. বায়জিদ হাসান বলেন, মেলায় খণ্ডকালীন কাজের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বেশি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যাতে এখান থেকে ভবিষ্যতে তারা ক্যারিয়ার গড়তে পারে। অনেক সময় ভালো পারফরম্যান্স দেখলে আমরা স্থায়ীভাবে তাদেরকে কাজে নিয়োগ দেই। এছাড়া মেলায় তাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ১৮ বছরের বেশি বয়সী এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে অন্তত এইচএসসি পাশ, স্পষ্ট করে কথা বলতে পারা, কাস্টমার হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা যাদের আছে এমন শিক্ষার্থীদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মেলার ঈগলু স্টলে কর্মরত আফিয়া আনজুম জানান, আসলে সামনে কোনো পরীক্ষা বা পড়াশোনার চাপ না থাকায় এখানে কাজ করতে আসা। তাছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে মোটামুটি ভালোই ইনকাম করা যায়। সেইসাথে অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক হয় এই কাজ।

একই স্টাইলে কর্মরত উর্মি বলেন, আমি প্রত্যেক বছরই বাণিজ্যমেলায় এই কাজ করি। টাকা জমাচ্ছি ছোট করে একটি ব্যবসা শুরু করব বলে।

বাণিজ্য মেলায় কাজ করে হাত খরচ তুলে নিচ্ছেন এসব শিক্ষার্থীরা

আলোয় গ্রুপের শোরুম ম্যানেজার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, 'তারা যেন এখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে পরবর্তীতে ভালো কাজের সুযোগ পায় সে কারণে আমরা তাদেরকে সুযোগ দিয়ে থাকি। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়াররা যেমন ইন্টার্নি করে এটাও এক প্রকার তেমনি।'

পারফরম্যান্স ভালো হলে পরবর্তীতে যা স্যালারি ধরা হয় অনেক ক্ষেত্রে  তার চেয়ে অধিক দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন ধরনের গিফট তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

আলোয় গ্রুপের স্টলের বিক্রয়কর্মী মেঘলা বলেন, ভাবলাম এক মাস কাজ করে যদি কিছু উপার্জন করা যায় তাহলে নিজের হাত খরচটা চালিয়ে নিতে পারব। সেই সাথে অভিজ্ঞতা তো হচ্ছেই। আর এখন ইউনিভার্সিটিতেও তেমন কোনো পড়ালেখার চাপ নেই।

আলোয় স্টলে যারা কাজ করছে সবাই অনার্স পড়ছে বা কেউ অনার্স শেষ করেছে। এর নিচে কাউকে নেওয়া হয়নি বলেও জানান এ বিক্রয়কর্মী।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;