বইমেলায় বিকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বইমেলায় বিকাশের স্টল/ ছবি: সুমন শেখ

বইমেলায় বিকাশের স্টল/ ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থমেলার প্রবেশপথ থেকে একটু এগুলেই দেশের অন্যতম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা- বিকাশের কাস্টমার সার্ভিস বুথ। বুথের আশেপাশে কয়েকটি বেঞ্চ পাতানো। কয়েকহাত দূরে মেলায় আগত পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কফি ও পানি পানের ব্যবস্থা।

বুথ ঘিরে পাঠক-গ্রাহক। কেউ অ্যাকাউন্ট খুলছেন, তো কেউ ক্যাশআউট-ইন সার্ভিস নিচ্ছেন। কারো হয়ত বই কিনতে গিয়ে পেমেন্টে সমস্যা হয়েছে-তারা সমাধান নিচ্ছেন। বিকাশের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরাও গ্রাহকদের সেবায় ব্যস্ত।

বিকাশের স্টলে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের ভিড়/ছবি:সুমন শেখ

ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকাল সাড়ে তিনটা। বইমেলার প্রবেশপথ খুলে দেওয়া সঙ্গে সঙ্গে বইপ্রেমীদের আগমনে ভরে উঠতে থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। একগ্লাস পানি পান করতে, তখন আমার নজর বিকাশে পানির ফিল্টারের দিকে।

এর মধ্যে ১২/১৩ বছরের এক কিশোরী পেছন থেকে জিজ্ঞেস করল, ‘বিকাশে বই দান করে কোথায়?- তার সঙ্গে হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধানো এক পঁয়ত্রিশর্ধ্বো পুরুষ। পরে জানা গেল তার বাবা। আমি কথা বলার আগেই বিকাশের মেলায় নিয়োগ দেওয়া তরুণ এক নারী কর্মী বললেন, ‘এদিকে আসেন’।

বিকাশের বই ডোনেট কর্মসূচি/ছবি: সুমন শেখ

প্রযুক্তা পারমিতা নামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া সেই কিশোরী বিকাশের বই অনুদান কেন্দ্রে আবুল হাসানে শিক্ষণীয় একটি জোকসের বই দান করলেন।

পরে বিকাশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বহু প্রাণের এই মিলনমেলায় বিকাশ শুধু ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক, তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলা ও কাশইন-আউট সেবা দিচ্ছেন না, বইমেলার বিকাশের সবচেয়ে প্রশংসনীয় উদ্যোগ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সম্পৃক্ত করে প্রথমবারের মতো বই প্রদান কর্মসূচি নিয়েছে।

স্টলে বিকাশের সেবা নিচ্ছেন গ্রাহক/ ছবি: সুমন শেখ

শুধু নিজেরাই এ উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত থেকে ক্ষান্ত হয়নি, বইমেলায় আগত পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদেরও সম্পৃক্ত করেছে। এর জন্য কাস্টমার বুথের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ৪টি বই অনুদান কেন্দ্র। এর মধ্যে তিনটি সোহরাওয়ার্দীতে আর একটি বাংলা একাডেমিতে। সেখানে বইমেলায় আসা পাঠকরা ঘরে পড়া হয়ে গেছে এমন পুরনো বই যারা বই কিনতে পারেন না, সেই সব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য দান করে যাচ্ছেন। আবার অনেক বই কেনার মধ্যে একটি নতুন বই কিনে বিকাশের অনুদান কেন্দ্রে দিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রমাণ পাওয়া গেল বিকাশের বই অনুদান কেন্দ্রে সাজানো আলমারিগুলোর বই দেখে।

বিকাশ সূত্রে জানা যায়, বিকাশের পক্ষ থেকে এ বছর ৫ হাজার বই বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৩টি স্কুলসহ ২০টি স্কুলের ৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে এই বই বিতরণ করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণে বিকাশের বই সংগ্রহ কেন্দ্রে পাঠকদের কাছ থেকে পাওয়া বইগুলো সুবিধাবঞ্চিত এইসব শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হবে।

বার্তা২৪.কম এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মেলায় আসা দর্শনার্থী/ছবি: সুমন শেখ

এছাড়াও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল, কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠাগার, বৃদ্ধাশ্রম লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বই দেবে বিকাশ।

বিকাশের কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ২০১৫ সাল থেকে বাংলা একাডেমি বইমেলার সার্বিক আয়োজনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে বিকাশ। এবার বইমেলার পৃষ্ঠপোষক বিকাশ। এরই মধ্যে ৯০ ভাগ প্রকাশনীতে বিকাশে পেমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাশব্যাক, অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়াও এবার বিকাশ বই ডোনেট কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে।

মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সেবা দিতে প্রস্তুত বিকাশের প্রতিনিধিরা/ছবি: সুমন শেখ 

তিনি বলেন, মানুষের মননের উৎকর্ষ সাধনে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। শিশুদের ক্ষেত্রে বই পড়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়ার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। বইমেলায় বই অনুদানের বিষয়টি এবারেই প্রথম। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মেলায় আসা পাঠকদের কাছ থেকে যত বেশি বই সংগ্রহ করব, সারাদেশের বিভিন্ন স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ নানান বয়সের পাঠকদের কাছে এই বই পৌঁছে দেব।

বিকাশের এই উদ্যোগে সামিল অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষা উন্নয়ন বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা নাভিদ আনজাম হাসান বার্তা২৪.কম বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আমরা যে স্কুল চালাই, সেখানে সেই অর্থে লাইব্রেরি নেই। তাই ওদের জন্য বই দেয়ার বিকাশের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা বিকাশের কাছ থেকে যত বই পাব, বইগুলো আমাদের পরিচালিত স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করব।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;