করোনায় কাঁকড়া ও কুঁচিয়া ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকা

  করোনা ভাইরাস


মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কাঁকড়া ও কুঁচিয়া, ছবি: সংগৃহীত

কাঁকড়া ও কুঁচিয়া, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে অর্ডারকৃত কুঁচিয়া ও কাঁকড়া রফতানি বন্ধ রয়েছে। টাকার অংকে এতে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৪০০ কোটি। প্রকৃত হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় শতভাগ রফতানিমুখী কুঁচিয়া ও কাঁকড়া এক দিকে মরে যাচ্ছে, পচে নষ্ট হচ্ছে। অন্য দিকে চীনের পর সিঙ্গাপুর, হংকং এবং মালেশিয়ায়ও নতুন করে রফতানির অর্ডার বন্ধ হয়েছে গেছে। ফলে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর এবং বরগুনা- সুন্দরবনের নিকটবর্তী এ পাঁচটি জেলা ছাড়াও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম অঞ্চলের কাঁকড়া ও কুঁচিয়া উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।

ফলে এ শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। খরচ কমাতে অনেকে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করছেন। সবচেয়ে বিপদের মুখে পড়েছেন কাঁকড়া ও কুঁচিয়া খামারের হাজার হাজার শ্রমিক। তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন।

করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের বিশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কুঁচিয়া ও কাঁকড়া উৎপাদনের মৌসুম হচ্ছে এখন। কিন্তু গত ডিসেম্বর থেকেই রফতানি করতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বছরে ১৭ হাজার মেট্রিক টন কুঁচিয়া ও কঁকড়া উৎপাদিত হয়। এর ৯০ শতাংশ রফতানি করা হয় চীনে আর বাকি ১০ শতাংশ রফতানি করা হয় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে। ডিসেম্বর থেকে চীনে রফতানি বন্ধ হওয়ার পর এখন বাকি দেশগুলোতেও বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী ও চাষিরা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে উৎকণ্ঠায় পড়েছেন।

এফবিসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলসিএফইএ) পক্ষ থেকে বলা হয়, চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জানুয়ারি কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রফতানি বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বাজারে কোনো চাহিদা না থাকায় এগুলো এখন খামারি ও রফতানিকারকদের গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করতে বাধ্য হবে। তাতে বর্তমানে মজুদ থাকা কাঁকড়া ও কুঁচিয়ার ক্ষতির পরিমাণ ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

বিএলসিএফইএর হিসাব অনুযায়ী, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বছরে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে। যার ৯০ শতাংশ আসে চীন থেকে। কিন্তু বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে চীনের বাজারে রফতানি বন্ধ রয়েছে।

সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এ তিন মাস বেশি কাঁকড়া রফতানি হয়। আর তাই এ সময় বাড়তি বিনিয়োগের জন্য বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও বা সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন।সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর জানুয়ারিতে করোনাভাইরাসের কারণে হঠাৎ করে চীনে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও চাষিরা পড়েছেন বিপাকে।

মৎস্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাঁচ জেলায় উৎপাদিত শিলা কাঁকড়ার ৭০ভাগই চীনে রফতানি হয়। করোনাভাইরাসের কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে দেশটিতে রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি শীতের শেষে খামারগুলো পানি শূন্য হওয়ায় লবণাক্ততার পরিমাণ পাঁচ পিপিটির নিচে নেমে গেছে। তাই খামারে উৎপাদিত কাঁকড়া মরতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় খামারিরা স্থানীয় বাজারে কেজি প্রতি তিন হাজার টাকার শিলা কাঁকড়া মাত্র ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার খামারি চরম আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন।

 

   

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

  করোনা ভাইরাস

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

  করোনা ভাইরাস

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

  করোনা ভাইরাস

;