বেনাপোল বন্দরে চালু হচ্ছে সাইডডোর রেল কার্গো



আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
রেল কার্গো চালুর জন্য বেনাপোল বন্দরের রেলপথ পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্টরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

রেল কার্গো চালুর জন্য বেনাপোল বন্দরের রেলপথ পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্টরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল রাখতে বিকল্প হিসেবে রেলপথে চালু হচ্ছে সাইডডোর রেল কার্গো। খুব দ্রুত এ রুটে এফসিএল কন্টেইনারও চালু হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (০৫ জুন) বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী এ খবর বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বন্দর ও রেল কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে এরই মধ্যে রেলপথের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য ভারতে লকডাউন থাকায় পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন মাস ধরে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে। এতে একদিকে যেমন চরম লোকসানের কবলে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা, তেমনি আমদানি বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ করতে না পারায় দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এ মুহূর্তে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় বেনাপোল রেলপথে সাইডডোর রেল কার্গো এবং এফসিএল কন্টেইনার চালু বাণিজ্যিক খাতের প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুজ্জামান মধু বলেন, স্থলপথে আমদানি বন্ধ থাকায় কেবল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন না, সরকারও শত শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেনাপোল রেলপথে সাইডডোর কার্গো চালু হলে ব্যবসায়ীরা সব ধরনের পণ্যের আমদানি করতে পারবেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি সরকারেরও রাজস্ব আয় স্বাভাবিক থাকবে।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয়, তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। করোনা ছাড়াও হরতাল, অবরোধ, শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় স্থলপথে সময় মত পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হয়। সাইডডোর রেল কার্গো ও এফসিএল কন্টেনার চালু হলে ব্যবসায়ীরা এমন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারত অংশে পার্কিংয়ের নামে এক শ্রেণির মানুষের অবৈধ অর্থবাণিজ্যের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্থলপথে বাণিজ্যে নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এ সমস্যা আরো তীব্রতর হচ্ছে। আটকে থাকা পণ্যে কোটি কোটি টাকা লোকসানের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও বার বার কথা দিয়েও ভারতীয়রা পণ্য দেয়নি। এসময় আমাদের বিকল্প ভাবনা ভাবতে হয়। ব্যবসায়ীদের দাবিতে বাণিজ্য সচল ও সরকারের রাজস্ব আয় স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্যিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করি। এসময় সরকারি সংস্থাগুলো সাইডডোর রেল কার্গো চালু এবং বেনাপোল রেলপথে এফসিএল কন্টেনার চালুর গুরুত্ব অনুধাবন করে বাণিজ্যে সাড়া দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দুই-একদিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য চালু হবে।

এছাড়া এফসিএল কন্টেইনারও খুব দ্রুত চালু হবে জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বার্তা২৪.কমকে জানান, তার জানা মতে খুব দ্রুত বেনাপোল বন্দরে রেলপথে সব ধরনের পণ্যের আমদানি শুরু হবে। রেলপথে পণ্য প্রবেশের পর তা আপাতত বন্দরের হেফাজতে থাকবে। পরে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম শেষে শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বেনাপোল রেলপথে ভারত থেকে সরাসরি শিল্প কারখানার কিছু কাঁচামাল, পাথর ও জরুরি কিছু খাদ্য দ্রব্য আমদানি হয়ে আসছে। যা স্থলপথে বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ। আমদানি পণ্য বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছানোর পর সরাসরি তা নওয়াপাড়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের খালাস করতে হতো। ফলে দীর্ঘ সময় আর খরচ বৃদ্ধির কারণে এ পথে ব্যবসায়ীদের আমদানিতে আগ্রহ ছিল কম। এখন সাইডডোর রেল কার্গো সিস্টেমের ফলে সব ধরনের পণ্য বন্দরে আনলোড ও এখান থেকে ব্যবসায়ীরা খালাসের সুযোগ পাবেন। এতে যেমন বাণিজ্যে গতি ফিরবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়ও কয়েক গুণ বাড়বে বলে ধারণা সংশিষ্টদের।

 

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;