২২ সুবিধায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে সোনালী পেপার
সোনালী পেপার অ্যান্ড বন্ড মিলস লিমিটিডের ৩০ কোটি টাকার মূলধন নেই। তবে সর্বশেষ তিন বছরের কারেন্ট রেট অ্যাসেট নেগেটিভ এমন ২২টি আইনে (ডিএসই লিস্টিং রুলস ২০১৫) বিশেষ সুবিধায় তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেল কোম্পিানিটি। ফলে দ্রুত ওভ্যার দা কাউন্টার (ওটিসি) থেকে পুঁজিবাজারে ফিরছে সোনালী পেপার।
অধ্যাপক খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) নির্দেশনার আলোকে সর্বশেষ বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। দ্রুত লেনদেন চালুর বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা বিভাগকে নির্দশনাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখেনো তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়নি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালনা পর্ষদ।
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দিতে ও বার্ষিক সধারণ সভা (এজিএম) না করাসহ বেশকিছু কারণে ২০০৯ সালে কোম্পানিটিকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়। ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। এরপর থেকে ২০০৬ সালে ইউনুস গ্রুপ দায়িত্ব নিলেও ব্যবসা হারাতে থাকে কোম্পানিটি।
মূল মার্কেটে আসতে মরিয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ বছরের ১০ শতাংশ স্টক ডেভিডেন্ট ঘোষণা করেছে। কোম্পানির বর্তমান রিজার্ভ দেখানো হচ্ছে ৪৮৮কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর পেইড আপ দেখানো হচ্ছে ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস) দেখানো হয়েছে ৪ দশমিক ১৯ পয়সা আর নেট অ্যাসেট ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৩৩৬ দশমিক ৯০ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শকিল রিজভী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সোনালী পেপারকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা বিভাগকে লেনদেন শুরুর প্রক্রিয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ডিএসইর লিস্টিং রুলস ২০১৫ ধারা ৯ বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে সর্বশেষ তিন বছরের নেট কারেন্ট অ্যাসেট পজেটিভ থাকতে হবে। কিন্তু কোম্পানিটির অ্যাসেট নেগেটিভ।
৮ ধারায় বলা হয়েছে, সর্বশেষ তিন বছরের, নেট কারেন্ট ক্যাশ-ফ্লো পজেটিভ থাকতে হবে। এছাড়াও কোম্পানির পেইড আপ ক্যাপিটাল ৩০কোটি টাকা হতে হবে। কিন্তু এসব নিয়মের কোনোটাই পালন করতে পারেনি কোম্পানিটি। কিন্তু কমিশন অদৃশ্য কারণে এই সব না দেখে তালিকাভুক্ত করার জন্য গত ৮ মার্চ ডিএসইকে চিঠি দিয়েছে।
কমিশনের সহকারী পরিচালক মাহমুদা শিরিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানো যাচ্ছে যে, কমিশন লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ৯ ও ৮ এর ধারা অব্যাহতি প্রধান পূর্বক কোম্পানিটিকে পুনরায় তালিকাভুক্তির প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইল।