বিকাশ অ্যাপ: স্বচ্ছন্দে ব্যবহারের জন্য যা জানা জরুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল ব্যবহৃত বিকাশ অ্যাপের লেনদেন সম্পন্ন হয় পদ্ধতিগত ভাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকের লেনদেনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে বিকাশ অ্যাপে লেনদেন করতে হয় কিছু শর্ত এবং সীমার মধ্যে। এগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি না জানার কারণে গ্রাহক কখনো কখনো লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন না। অথচ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রায় সমস্ত সুবিধাগুলোই বিকাশ অ্যাপ দিয়েই নেয়া সম্ভব। বিকাশের সব ধরনের সেবার তথ্য, লেনদেনের শর্ত www.bkash.com-এ দেয়া আছে। এছাড়াও অ্যাপের সর্ব ডানে ওপরে বিকাশ লোগোতে ক্লিক করে লিমিট, স্টেটমেন্ট, সাপোর্ট অপশনগুলো থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা পাওয়া যায়। এবারে দেখে নেয়া যাক বিকাশ অ্যাপে লেনদেনের প্রয়োজনীয় শর্ত ও সীমাগুলোকে।

সেন্ডমানি ও ট্রান্সফার মানি: বিকাশের বহুল ব্যবহৃত সেবা সেন্ডমানিতে রয়েছে কিছু শর্ত। শর্তগুলো পূরণ না হলে গ্রাহকের সেন্ডমানি লেনদেন ব্যাহত হতে পারে।

লিমিট: বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত লিমিট অনুযায়ী বর্তমানে একজন গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ ৫০ বারে ২৫হাজার টাকা এবং মাসে ১০০ বারে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারেন। সেন্ড মানি করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে গ্রাহক অ্যাপ থেকে তার লিমিট অপশন চেক করে দেখতে পারেন। নির্ধারিত সংখ্যা বা নির্ধারিত টাকার যে কোন একটির কোটা পূরণ হয়ে গেলেই আর সেন্ডমানি হবে না। কেবল নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নয়, যাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তার লিমিটের বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে পারেন। এখন বিকাশ থেকে ব্র্যাক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন গ্রাহক। ফলে, টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সেন্ডমানি ও ট্রান্সফার মানির লিমিট একসাথে  মিলিয়ে হিসেব করতে হবে।

অ্যাকাউন্টের ধরন: বিকাশ এজেন্ট বা মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে সেন্ডমানি করা যায় না। ফলে  সেন্ডমানি না হলে অ্যাকাউন্টের ধরনও যাচাই করে দেখতে পারেন। অতি সম্প্রতি যে কোন মোবাইল নাম্বারে সেন্ডমানি করার সেবা চালু হয়েছে। ফলে এখন বিকাশ অ্যাকাউন্ট না থাকলেও যে কোন নাম্বারে টাকা পাঠানো যাবে।

ক্যাশইন ও অ্যাড মানি:

বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা সংযোজনের দুটো পদ্ধতির ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত লিমিট প্রযোজ্য।

দিনে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫ বারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা সংযোজন করার সুযোগ আছে মাসে যার পরিমান সর্বোচ্চ ২৫ বারে সর্বোচ্চ ২লাখ টাকা পর্যন্ত। ক্যাশ ইনে সমস্যা হলে শুরুতে অবশ্যই দৈনিক এবং মাসিক লিমিট চেক করে দেখতে হবে।

বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত গ্রাহকদের তথ্য ভেরিফিকশনের প্রয়োজনে গ্রাহকদের কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়। অনেক গ্রাহকের সম্পূর্ণ তথ্য না থাকলে ক্যাশইন ডিজেবল হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে তথ্য আপডেট করলেই ক্যাশইন এনাবেল হয়ে যাবে।

অনলাইন ব্যাংকিং এবং ব্যাংকের অ্যাপ থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করার ক্ষেত্রে ব্যাংক ভেদে কিছুটা ভিন্নতা আছে। অনলাইন ব্যাংকিং এবং ব্যাংকের অ্যাপ থেকে ক্যাশ-ইন না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। গ্রাহক যে নির্দিষ্ট ব্যাংকের সেবা ব্যবহার করেন তাদের পদ্ধতিগুলো জানা থাকলে অ্যাড মানি সেবাটি গ্রহণ করা খুবই সহজ ও ঝামেলাহীন।

কার্ড টু বিকাশ সেবার ক্ষেত্রে ব্যাংক ভেদে কতগুলি বিষয় জানা প্রয়োজন। যেমন যেসব কার্ডে ই-কর্মাস পেমেন্ট অপশন ওপেন করা নেই সেগুলো থেকে অ্যাড মানি হয়না। সেক্ষেত্রে ব্যাংকে যোগাযোগ করে ই-কর্মাস পেমেন্ট অপশন এনাবেল করে নিতে হবে।

মোবাইল রিচার্জ: মোবাইল অপারেটরা গ্রাহকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ দিয়ে থাকে। ধরা যাক ৩২ টাকায় ১ জিবি ডাটার একটা প্যাকেজ দিয়েছে কোন অপারেটর। গ্রাহক না জেনেই ৪০ টাকা রিচার্জ করলেন, সেক্ষেত্রে তার ডাটা সংযোজন হয়ে যাবে কিন্তু ব্যালেন্স এ রিচার্জ দেখা যাবে না। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে রিচার্জ করার তিন ধরনের সুবিধা নিতে পারেন গ্রাহক। নিজের প্রয়োজনীয় টাকা কোন প্যাকেজ ছাড়াই রিচার্জ করতে পারেন। তিনি ইন্টারনেট প্যাকেজ বা টকটাইম বা দুটোর সম্বন্বয়ে বান্ডেল কেনার সুযোগও নিতে পারেন। রিচার্জ করার সময় এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখাও জরুরি। একজন গ্রাহক একদিনে সর্বোচ্চ ৫০ বারে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত মোবাইল রিচার্জ করতে পারেন। মাসে সর্বোচ্চ ১৫০০ বারে ১লাখ টাকা পর্যন্ত এই সুযোগ আছে। গ্রাহক এই সীমার মধ্যে সব মোবাইল অপারেটরের পোস্ট পেইড বা প্রিপেইড সেবার জন্য বিকাশ দিয়ে রিচার্জ করতে পারেন। এমনকি নিজের বা যে কোন প্রিয়জনের মোবাইলে রিচার্জ করার সুবিধা নিতে পারেন।

পে-বিল: আপনি কোন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কেমন গ্রাহক, তা বিদ্যুৎ বিল দেয়ার সময় জানা সবচেয়ে জরুরি। আপনি ডেসকো প্রিপেইড এর গ্রাহক হয়ে যদি ডিপিডিসি প্রিপেইডে বিল দেয়ার চেষ্টা করেন তবে তা ব্যর্থ হবে। তাই এক্ষেত্রে সঠিক তথ্য জেনে তারপর চেষ্টা করুন। বিল দেয়ার সময় একটি আইডি নম্বর ব্যবহার করতে হয়। বিল প্রদানে ব্যর্থ হলে সঠিক আইডি নম্বর ব্যবহার করেছেন কিনা মিলিয়ে দেখা জরুরি।

কয়েকটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কিছু প্রিপেইড মিটার আছে যেগুলো স্মার্ট মিটার নয়। পুরোনো প্রযুক্তির কারণে এমন কিছু মিটার রিচার্জ করা যায় না। সেক্ষেত্রে রিচার্জ করতে ব্যর্থ হলে আপনার মিটারটি সে ধরনের মিটার কিনা জেনে নিন। বিল প্রদানের ক্ষেত্রে কোন লিমিট নেই।

ক্যাশ আউট: বিকাশ থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৫ বারে ২৫হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ২০ বারে ১লাখ ৫০হাজার টাকা ক্যাশআউট করা যায়। এজেন্ট পয়েন্ট অথবা নির্ধারিত এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউটের সুযোগ রয়েছে। ক্যাশ আউট না হলেও লিমিট চেক করে দেখা জরুরি।

একজন গ্রাহক যখন ক্যাশ আউট করেন তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে চার্জ কেটে রাখা হয়। অর্থ্যাৎ গ্রাহক যদি ১০০০ টাকা অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করেন তাহলে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১৭.৫০ টাকা এবং ইউএসএসডি চ্যানেলের ক্ষেত্রে ১০১৮.৫০ টাকা কেটে নেয়া হয়। উভয়ক্ষেত্রেই এজেন্টের কাছ থেকে গ্রাহক ১০০০টাকা বুঝে নেবেন। যেহেতু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই একাউন্ট থেকে চার্জটি কেটে নেয়া হচ্ছে, তাই এজেন্টকে কোন বাড়তি টাকা দিতে হবে না।

রেমিটেন্স: একটি বিকাশ একাউন্টে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বারে ১লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ৫০ বারে ৪লাখ ৫০হাজার টাকা রেমিটেন্স আসতে পারে। লিমিট না থাকলে রেমিটেন্স আসবে না। তাই বিকাশ নাম্বারে রেমিটেন্স প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী উভয়েরই বিষয়টি জানা জরুরি।

পেমেন্ট: বিকাশ দিয়ে পণ্য বা সেবা কেনার ক্ষেত্রে পেমেন্টে কোন লিমিট নেই। তবে অনেক গ্রাহক পেমেন্ট দেয়ার সময় অজ্ঞতার কারনে সেন্ডমানি করতে চেষ্টা করেন। ফলে পেমেন্ট হয় না। তাই পেমেন্ট অপশন দিয়েই পেমেন্ট করতে হবে। সবচেয়ে সহজ হলো কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করা।

ভুল পিন: কয়েকবার ভুল পিন দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয়ভাবেঅ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যায়। অ্যাকাউন্ট ব্লক হলে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে নতুন পিন রিসেট করে নিতে হবে।

প্রায় সব মোবাইল হ্যান্ডসেটে বাংলা লেখার সুযোগ থাকে। বাংলা কিবোর্ড সিলেক্ট করা থাকলে পিন ভুল দেখাতে পারে এবং অ্যাপ এ ঢুকতে সমস্যা হতে পারে। ঠিক পিন দেয়ার পরও ভুল বললে কিবোর্ড সিলেকশন চেক করে দেখা যেতে পারে।

বিকাশ অ্যাপের উপরের দিকের লোগো ক্লিক করে লিমিট অপশনে গেলে গ্রাহক কোন সেবার কতটুকু ব্যবহার করেছেন আর কতটুকু করতে পারবেন তা দেখতে পাবেন। লেনদেন সমস্যা হলে এই অপশনটি চেক করা জরুরি।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;