বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিক
বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিক।
মঙ্গলবার (২৩জুন) থেকে ব্রোকারেজ হাউজটির পল্টনের প্রধান শাখাটি বন্ধ রয়েছে। প্রধান শাখার পাশাপাশি কুমিল্লাসহ অন্যান্য শাখাগুলোও বন্ধ রয়েছে। ফলে হাউজটির বিনিয়োগকারীদের অনেককেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে। কেউ ধরনা দিচ্ছেন ডিএসইতে, আবার কেউ উপায় না পেয়ে শুধু করছেন কান্নাকাটি। এমনকি ডিএসইর মনিটরিং বিভাগ হাউজটিতে গিয়েও তাদের কোনো সন্ধান পাননি বিনিয়োগকারীরা।
হাউজটির পল্টন শাখার বিনিয়োগকারী আবু সালেহ জানান, আমার বিও একাউন্টের টাকা ছিল। করোনার কারণে নগদ প্রয়োজনে আমার টাকাগুলো তুলে ফেলতে চেয়েছিলাম। হাউজ থেকে আমাকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক দিয়েছে। আমি ১৫জুন এই চেক ব্যাংকে নিয়ে দেখি একাউন্টে কোন টাকা নাই। আমার চেকও রিজেক্ট করে দিয়েছে। পরের দিন আমি চেক নিয়ে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে যোগাযোগ করি। কিন্তু এখানকার কর্মকর্তা আমাকে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। আমার টাকা ফিরে পেতে আমি ডিএসইতে অভিযোগ করেছি।
আবু তালহা নামে একজন বিনিয়োগকারী বলেন, আমার পাঁচ লাখ টাকা ইনভেস্ট ছিল। শেয়ার বিক্রি করে টাকা তোলার জন্য গতকালকে (মঙ্গলবার) এসে দেখি অফিস বন্ধ। আজকেও দেখি অফিস বন্ধ। এমনকি এই অফিসের মালিকের ফোন বন্ধ।
ডিএসই একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত কিছুদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটির সেটেলমেন্ট জটিলতা রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির ডিলার অ্যাকাউন্টটিতে বিনিয়োগকারীদের টাকা নেই। মঙ্গলবার ও বুধবার প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তাদের কারো দেখা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহিদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ডিএসইর একাধিক কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের সুযোগে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতে নিয়েছে। ফলে ডিলার একাউন্টে যে টাকা থাকার কথা ছিল সে টাকা নেই। আর তাই গত চার কার্যদিবস ধরে সেটেলমেন্ট করা যাচ্ছে না। এ কারণে মঙ্গলবার ও বুধবার ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেন বন্ধ ছিল।
তারা বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে শাহ মুহাম্মদ সগীরসহ বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ এই অনিয়ম করেছে।