ভোটকেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ টহল থাকবে জানিয়ে পরিপত্র জারি
-
-
|
ছবি: বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটসমূহ নিবিড় টহলে থাকবে জানিয়ে বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সেখানে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং যেকোনো প্রকার বেআইনী কার্যকলাপ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সদা সজাগ থাকার জন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানগণ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন। উল্লিখিত ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনবোধে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ থাকবে।
পাশাপাশি নির্বাচনের দিন ভোটগণনা শেষ করে রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রির্টানিং অফিসারের কাছে ফলাফল না পৌঁছানো পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) ভোটগ্রহণের দিন দণ্ডবিধির ১৭১ই ও ১৭১এফ ধারায় বর্ণিত অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্য পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কতিপয় পার্বত্য ও দুর্গম অঞ্চলে গমনের জন্য হেলিকপ্টারের প্রয়োজন হবে। উক্ত এলাকার ভোটকেন্দ্র সমূহে কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য এবং নির্বাচনী দ্রব্যাদি প্রেরণের লক্ষ্যে নির্বাচনের কয়েকদিন আগ থেকেই হেলিকপ্টার সার্ভিস প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তাছাড়া ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ধূমপান হতে বিরত রাখা এবং দিয়াশলাই, লাইটারসহ দাহ্য পদার্থ বহনে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক হিটার বা যেকোনো ধরনের চুলা ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেও উল্লেখ রয়েছে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধের পর এখন প্রচারণা চলছে যা শেষ হবে আগামী ৫ই জানুয়ারি। একদিন বিরতি দিয়ে ৭ই জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।
