নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্টদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়েছে, সাহসী ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথম শ্রেণি কিংবা সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচনকালীন অন্য যেসব নিয়ম মানতে হবে-

> প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত প্রশিক্ষণ গুরুত্ব সহকারে আয়োজন এবং প্রয়োজনীয় পুস্তিকা-প্রশিক্ষণ দ্রব্যাদির কোনো ঘাটতি থাকলে তা নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।

> রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের জন্য যানবাহন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

> নির্বাচনী কাগজপত্র যেমন, ব্যালট পেপার ইত্যাদি স্থানীয় ট্রেজারিতে (ডাবল লকে) আইনানুগ সময়ের জন্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

> সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষায় উপজেলার সঙ্গে জেলা পর্যায়ের এবং ঢাকার সঙ্গে জেলা-উপজেলার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনে কোন বাহিনীর কী দায়িত্ব, জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

 

> ভোটগ্রহণ এবং ভোটগণনা শেষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে কেন্দ্র থেকে ভোটগণনা বিবরণী ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সরবরাহ করবেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ভোটগণনার বিবরণীসহ ব্যবহৃত অন্য দ্রব্যাদি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছানো এবং বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার জন্য ফলাফল একত্রীকরণসহ সার্বিক বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেবেন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন যেন অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণ বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করতে পারে, এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে।

> নির্বাচনী ফলাফল দ্রুত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট সংযোগ সচল রাখতে হবে। এ বিষয়ে দক্ষ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল সমন্বয়, একত্রীকরণ ও প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এখন চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। যা আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলার পর একদিন বিরতি দিয়ে ৭ জানুয়ারি (রোববার) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।