কামরাঙ্গীরচরে বিরামহীন গণসংযোগে হাতপাখার প্রার্থী
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে প্রচারণার ৫ম দিনে বিরামহীন গণসংযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাত পর্যন্ত কামরাঙ্গীরচর থানার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, আলহাজ্ব ডা. দেলোয়ার হোসেন, যুবনেতা হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, শ্রমিকনেতা আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, মুফতি ছিদ্দিকুর রহমান, ছাত্রনেতা ইমরান হোসাইন নূর, ইয়াকুব হোসেন, ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোল্লাসহ থানা নেতৃবৃন্দ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
নির্বাচনী প্রচারণাকালে হাতপাখার প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ব্যাপক সমর্থন লক্ষ্য করা যায়। গণসংযোগ একপর্যায়ে গণমিছিলে রূপ নেয়। এ সময় রাস্তার দু’পাশে থাকা সাধারণ মানুষ হাত নেড়ে মেয়রপ্রার্থী আব্দুর রহমানকে অভিবাদন জানান।
এ সময় চরমোনাই পীর মনোনীত হাতপাখার প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বলেন, মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। হাতপাখার বিজয় হলে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নজর দেওয়া হবে।
হাতপাখার প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর বলেন, নিয়মনীতি ভেঙে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। ইভিএমের বিভিন্ন কারিগরি ক্রটি থাকলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট চুরির করার জন্যই নির্বাচন কমিশন ইভিএমের কথা বলছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটির প্রতিটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য আদর্শ নগরী গড়ে তুলবো। অতীতের মেয়রগণ নগর ভবনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হবে।
হাতপাখা জয়ী হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে বসবাসের উপযোগী একটি আদর্শ নগর হিসেবে গড়ে তুলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ এখনও নিশ্চিত হয়নি। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা সভা দক্ষিণ কার্যালয়ে দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন ও আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আব্দুল আউয়াল, মুফতি মোস্তফা কামাল, হারুন অর রশিদ ও ডা. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।