১৫০ কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট ও পূজা, থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫০ কেন্দ্রে ভোট ও সরস্বতী পূজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর কমিশন বলছে ভোট ও পূজা একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পালনে এসব কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ৫২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫০ কেন্দ্রে ৮৯৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩ জন ভোটার ভোট দেবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৪ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৯ জন। দুই সিটিতে মোট কেন্দ্র রয়েছে- ২ হাজার ৪৬৮টি।

উত্তর সিটিতে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের ৯৪টি কেন্দ্রের ৫৫৬টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৫ জন ভোটার ভোট দেবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ০৩ হাজার ৭৭৪ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭১ জন। এই সিটিতে তিনটি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৩২৫ জন নারী ও পুরুষ ভোটার একই সঙ্গে ভোট প্রদান করবেন। এরমধ্যে নারী ২ হাজার ৮৫২ জন আর পুরুষ ৩ হাজার ৪৩৭ জন। এই সিটিতে মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৩১৮টি।

আর দক্ষিণ সিটিতে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৬টি কেন্দ্রের ৩৩০টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৮ জন ভোটার ভোট দেবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৫৪ হাজার ৭৩০ জন এবং পুরুষ ভোটার ৬২ হাজার ৩৭৮ জন। এই সিটিতে ১৯ কেন্দ্রে ৬৪ হাজার ৩১৮ জন নারী ও পুরুষ ভোটার একই সঙ্গে ভোট প্রদান করবেন। এরমধ্যে নারী ২৩ হাজার ৩৭৩ জন আর পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৯৪৫ জন। এই সিটিতে মোট কেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি।

একই কেন্দ্রে ভোট ও পূজার কারণে নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, কিছুটা সমস্যা তো রয়েছেই। যারা পূজা করতে আসবে তাদের হয়ত কিছুটা তল্লাশী করে প্রবেশ করাতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগবে। আমরা বলেছি যে সিকিউরিটি অবশ্যই ইনশিউর করতে হবে। বাড়তি নিরাপত্তা তো রাখতেই হবে। কারণ তাদের দিকটিও দেখতে হবে, আবার নির্বাচনেরও যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা এটা নিয়ে মিটিংও করেছি। আর প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি ভোট ও পূজা একসঙ্গে হলে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা যায় কিনা। তারা বলেছে, বিকল্প অপশন রয়েছে, স্কুলের অডিটোরিয়াম বা প্যান্ডেল করে আলাদাভাবে করা যাবে।

এ বিষয়ে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, যেহেতু এখন পর্যন্ত ভোট ও পূজা একসঙ্গে হবে বলেই সিদ্ধান্ত আছে, আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ভোট ও পূজা যেন একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ হয় সে জন্য আমরা বাড়তি নিরাপত্তা চাই। যাতে ভোট বা পূজা কোনটিতেই ব্যাঘাত না ঘটে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পূজার কারণে পূজার কারণে ভোটের তারিখ পরিবর্তনে করা রিট আবেদন খারিজের পর নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বুধবার বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। সেখানে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোট এবং পূজা একসঙ্গে যেসব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারও এ নিয়ে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সচিবকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সিইসি। সেখানে ভোট ও পূজা একসঙ্গে হলে সেসব নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা। এসময় তাদের কাছ থেকে কতটি প্রতিষ্ঠানে এবং কতটি কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট ও পূজা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেয়া হয়। আর ভোটে এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে বলেও নিশ্চিত করা হয়। এক্ষেত্রে সেসব কেন্দ্রে পূজায় আগতদের তল্লাশী করে প্রবেশ করানোসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কমিশন।

দুই সিটির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও পূজা একসঙ্গে করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) কৃষ্ণ পদ রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবো। এ জন্য একই সঙ্গে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু ভোট এবং পূজা একই কেন্দ্রে এক সঙ্গে চলবে সেহেতু ভোটার এবং উৎসব পালনকারীদের যাতে কোন ধরনের কোন সমস্যা না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত আমরা কোন শঙ্কা দেখছি না।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভোটকেন্দ্র এবং যেখানে পূজা হবে এমন জায়গাগুলোতে আইশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশি নিরাপত্তা জোরদার করতে বলব। এখানে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না। কোথাও কোন অনাকাঙ্খত ঘটনা ঘটলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

নির্বাচনের আচরন বিধি অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি কর্মকর্তা-কর্মচারি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট, নির্বাচনি পর্যবেক্ষক, কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ, ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ এবং ভোটারদেরই প্রবেশাধিকার থাকবে। আর ভোটার স্লিপ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও কোন ভোটকেন্দ্রের ১৮০ মিটারের মধ্যে ভোটার স্লিপ প্রদান করা যাবে না।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো: আলমগীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, পূজা ও ভোট একসঙ্গে হবেএটি সাংঘর্ষিক হবে না। বলা আছে, পূজার রুম বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় ভোটগ্রহনের ব্যবস্থা করা হবে। এমনও বলা আছে যে এই স্কুলে পূজা করলে নির্বাচন করার জায়গায় নেই তাহলে সেই কেন্দ্রই বাদ দিয়ে দেবে এবং পাশে অন্য কোন কেন্দ্র দেখবে। তবে পূজায় কোন ডিস্টার্ব করা যাবে না।

উত্তরে যে ২৭ প্রতিষ্ঠানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে (কেন্দ্রসহ)-

সরকারি কালাচাদপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-৯), ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-৪), ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ (কেন্দ্র-৩), মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৪), কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-৭), বনানী মডেল স্কুল (কেন্দ্র-৪), সরকারি তিতুমীর কলেজ (কেন্দ্র-৪), তেজগাঁও শিল্প এলাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৩), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (কেন্দ্র-৪), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক (কেন্দ্র-২), ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (কেন্দ্র-২), নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৬), ইস্পাহানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (কেন্দ্র-৫), সরকারি বিজ্ঞান কলেজ (কেন্দ্র-২), তেজগাঁও মহিলা কলেজ (কেন্দ্র-১), বটমুলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৪), রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৫), তেজগাঁও ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র-২), তেজগাঁও কলেজ (কেন্দ্র-৬), গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-১), সরকারি সংগীত কলেজ (কেন্দ্র-২), লায়ন্স অগ্রগতি শিক্ষা নিকেতন (হাইস্কুল) (কেন্দ্র-১), লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-২), লালমাটিয়া মহিলা কলেজ (কেন্দ্র-৩), মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-২), ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (কেন্দ্র-৪) এবং গ্রাফিক্স আর্টস ইনস্টিটিউট (কেন্দ্র-২)।

দক্ষিণে যে ২৫ প্রতিষ্ঠানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে (কেন্দ্রসহ)-

রাজারবাগ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৪), কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-২), লিটল বার্ড কিন্ডারগার্টেন (কেন্দ্র-১), ঢাকা কলেজ (কেন্দ্র-৪), গভ: ল্যাবরেটরি হাইস্কুল (কেন্দ্র-২), আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-২), অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-২), ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কেন্দ্র-২), বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ (কেন্দ্র-৩), পোগোজ স্কুল (কেন্দ্র-২), ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউট (কেন্দ্র-১), বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (কেন্দ্র-২), বাংলাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-২), সিলভার ডেল প্রিপারেটরি অ্যান্ড গার্লস হাইস্কুল (কেন্দ্র-২), শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় (কেন্দ্র-২), সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ (কেন্দ্র-২), সিটি করপোরেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৪), সবুজ বিদ্যাপিঠ উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৩), কবি নজরুল সরকারি কলেজ (কেন্দ্র-২), ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-১), সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ (কেন্দ্র-১), কে এল জুবিলী হাইস্কুল (কেন্দ্র-৪), গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-৪), বাংলা ব্যাংক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র-১) এবং ধার্মিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র-১)।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৯ জানুয়ারি। পরে ১০ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। আর ভোটগ্রহন করা হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহন করা হবে।

   

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;

উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলার ভোট ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ও শেষ ধাপে ৫৫ উপজেলায় আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচনে ভবনে ইসির ৩২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপজেলা ভোটের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণাপূর্বক বলেন, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।

তিনি জানান, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১ ৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

ইসি সচিব বলেন, চতুর্থ ধাপের ভোটে ৯টি জেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলোয় স্বচ্ছ ব্যালট ভোটগ্রহণ করা হবে।

;