ডিএনসিসি কমান্ড সেন্টারের আওতায় আসবে: আতিক
ডিজিটাল সিটি গড়ার অঙ্গীকার করে ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক বলেছেন, গত ৯ মাসের প্রচেষ্টায় আমরা ডিজিটাল সিটি গড়ার কাজ অনেক দূর এগিয়েছি। আমরা একটি কমান্ড সেন্টার করব, এরই মধ্যে তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে পুরো ডিএনসিসি এলাকা কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।
আতিক বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। তার ধারাবাহিকতায় আমরা ডিএনসিসিকে একটি ডিজিটাল সিটি করপোরেশন করতে চাই। নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে চলবে সিটি করপোরেশন। একটি কমান্ড সেন্টার থাকবে, তার নিয়ন্ত্রণ থাকবে সিটি করপোরেশনে। শহরের কোথাও বর্জ্য পড়ে থাকলে, স্ট্রিট লাইট বন্ধ থাকলে, কোথাও কোন সহিংসতা দেখলে কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে সব তথ্য। আমরা পুরো নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করব।
তিনি বলেন, গৃহ কর বা হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে আর আঞ্চলিক অফিসে যেতে হবে না। নগরবাসী ঘরে বসেই অন লাইনের মাধ্যমে ঝামেলাহীন ভাবে হোল্ডিংট্যাক্স দিতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনও ঘরে বসেই গ্রহণ করতে পারবে।
আতিক বলেন, আমরা নারীবান্ধব সিটি গড়ার ঘোষণা দিয়েছি। নারীরা যেন নিরাপদে চলতে পারেন সেজন্য পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এই সিসি ক্যামেরা, এলইডি বাতি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ হবে কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে।
নগরবাসীর উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা প্রত্যেকে মেয়রের ভূমিকায় কাজ করতে পারবেন। আমি চাই জবাবদিহিতা মূলক সিটি করপোরেশন। আমি এবং আমাদের দল সমর্থিত কাউন্সিলররা যদি নির্বাচিত হই, তাহলে প্রতি মাসে জনগণের মুখোমুখি হবো, টাউন মিটিং করব। সেখানে নগরবাসী তাদের অভিযোগ বা সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। আমরা আপনাদের কাছে আসব, আপনারা আমাদের জবাবদিহি করতে পারবেন।
আলোকিত ঢাকা গড়তে পুরো ডিএনসিসি এলাকায় ৪২ হাজার এলইডি বাতি লাগানো হবে। আওয়ামী লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। নৌকায় ভোট দিন, উন্নয়ন বুঝে নিন। নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নাই, আছে ফ্রন্ট গিয়ার, উন্নয়নের গিয়ার।
এদিকে ভোটের তারিখ একদিন পেছানোয় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেরিতে হলেও তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আর এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি।