‘ইভিএম মেশিন ছিনতাই হলেও সমস্যা নেই’
নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছিনতাই হলেও কোন সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ওই বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, রংপুরে ২০১৭ সালে প্রথমবার ইভিএম ব্যবহার হয়। পরে বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে মেশিনটি খোলা সম্ভব নয়। কারণ এটি পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড। আর ভোটের দিন সকাল ৭টার আগে খোলা যাবে না। অনুমোদিত কর্মকর্তা ছাড়া এটি খোলা সম্ভব নয়। ফলে মেশিন ছিনতাই হওয়ার সম্ভবনা নেই, মেশিন ছিনতাই হলেও সমস্যা নেই। যে রিজার্ভ মেশিন থাকবে তা দিয়ে ভোট কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারব।
এনআইডি ডিজি আরও বলেন, ইভিএম মেশিন খোলার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন এবং ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বিধায় কেন্দ্র দখল করেও কোন লাভ নেই। কারণ, এক ব্যক্তি আরেকজনের ভোট দিতে পারবেন না। কেউ দ্বিতীবার ভোট দিতে চাইলে মেশিন সয়ংক্রিয়ভাবে বলে দেবে আপনি আগে ভোট দিয়েছেন, যেটি পোলিং এজেন্টও দেখতে পারবেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালে যে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করেছিলাম সেখানে একজন ব্যক্তিকে ভেরিফাই করার ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু নতুন ইভিএম যেটি ব্যবহার করছি তাতে যেকোন ব্যক্তিকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে সার্ভারের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব। চিহ্নিত করার জন্য যে কয়েকটি পর্যায় রয়েছে তার মধ্যে একজন ব্যক্তিকে চারভাবে চিহ্নিত করতে পারি। চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ইভিএমে একটি থাকে কন্ট্রোল ইউনিট, আরেকটি ব্যালট ইউনিট। সমস্ত প্রকার সফটওয়্যার আপগ্রেড করেছি। সফওয়্যার বাংলাদেশে তৈরি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণের শুরুতে এজেন্টদের আমরা দেখিয়ে দেই মেশিনে শূন্য ভোট দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। কোন মার্কায় ভোট দেওয়া হচ্ছে, মেশিন ঠিক আছে কিনা, তারপর আমরা ভোটগ্রহণ শুরু করি। ভোটের সকল কিছু কিন্তু পোলিং কার্ডে সংরক্ষিত রয়েছে। যেকোন তথ্য যাচাই করতে চাইলে তা করা সম্ভব।
ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে রয়েছেন মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/ র্যাব/ আনসার ও ভিডিপি/ ডিজিএফআই/ এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপার।
এ ছাড়াও ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।