মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস: রফিকুল
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন বক্তব্যকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে আরেক কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এমন বক্তব্য নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “একজন নির্বাচন কমিশনারের এ ধরনের বক্তব্য (ইসির ভেতরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই) দুঃখজনক। সেই সঙ্গে আমি অবাকও।’’
মাহবুব তালুকদারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও প্রতিপক্ষের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিষয় আলোচনায় আসে। যদি কেউ একক সত্ত্বার মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড খোঁজেন, আমি তো বলবো এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং কমিশনকে বিভাজিত করার ও প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা প্রয়াস মাত্র।
তিনি বলেন,“এখানে ওয়ান আইডেনটিটি; এখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। হয়ত কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন? আমি কিন্তু তা ভাবি না। কেউ যদি বলে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেছেন; উনার কাছ থেকে ব্যাখ্যা নিতে পারেন “।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, “তাহলে বলি- উনি (মাহবুব তালুকদার) প্রস্তাব করেছিলেন (ঢাকা সিটি নির্বাচনে) দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা নেওয়ার জন্য। একজনের ভিন্নমত ছিল। তারপরও উনার প্রস্তাব অনুযায়ী তা করা হয়েছে। এখন মনে করতে পারেন যিনি ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন তার প্রস্তাব আমলে নেওয়া হয় নি? –কিন্তু তা আমি মনে করি না। কারণ, আমরা একক সত্তা হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেই প্রস্তাব করুক না কেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত হয় একক সত্তার সিদ্ধান্ত। কমিশনের সিদ্ধান্ত, কোনো একজন ব্যক্তির নয়’’।
কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই? এমন মন্তব্যে ইসির প্রতি জনআস্থার সংকট বাড়বে কিনা? জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি কিন্তু এখনও জানি না- কেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এটাতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে। ”
কমিশন সঠিকভাবে এগিয়ে চলারটাই মূল বলে জানান তিনি।
‘আমরা আমাদের মতামতটা বলতে পারি। এখন অনেকের কাছে মনে হতে পারে –আমি যেভাবে চাইছি সেভাবে চলছে না। কিন্তু আমি তো এখানে আসল না। এখানে কমিশন হচ্ছে মূল। প্রশ্নটা হচ্ছে-কমিশন যেভাবে চাইছে সেভাবে যদি চলে তাহলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে না।”
এরআগে দুপুরে মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমার ধারণা কমিশন সভায় আমার বক্তব্য প্রদানের স্থান সংকুচিত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। আমাদের কর্মকাণ্ডে তা দৃশ্যমান হওয়া বাঞ্ছনীয়।