ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন

শেষ হলো প্রচার, অপেক্ষা ভোটের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শেষ হয়েছে প্রচার, এখন অপেক্ষা ভোটের, ছবি: সংগৃহীত

শেষ হয়েছে প্রচার, এখন অপেক্ষা ভোটের, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে, এখন শুধুই ভোটের অপেক্ষা। আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ চলবে। ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ভোটার ওইদিন নিজের রায় দেবে, কাদের নেতৃত্বে আগামী পাঁচ বছর চলবে রাজধানী ঢাকা।

গত ১০ জানুয়ারি থেকে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন। এরপর থেকে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটারদের দোরগোড়ায় ছুটেছেন। তীব্র শীতেও জোর প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দলীয়ভাবে শুধু মেয়র পদে নির্বাচন হলেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কাউন্সিলর পদেও দলীয় মনোনয়ন দিয়ে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত করে তুলেন।

জানা গেছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে সকল ধরণের প্রচার বন্ধ করার বিধান আছে। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১ ফ্রেবুয়ারি সকাল ৮টায়। সে অনুযায়ী, সময় শেষ হয়েছে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টায়।

বিধি অনুযায়ী ‘কোনো নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উক্ত নির্বাচনি এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করা এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংগঠিত বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবেন না। ভোটার বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অস্ত্র বা শক্তিও প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবেন না। উল্লেখিত আইন ভঙ্গ করলে তিনি ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচার বন্ধ থাকবে নির্বাচন ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত। এমনকি জয়ের মিছিল, মশাল মিছিল, মটর সাইকেল মিছিলও করা যাবে না। আচরণ বিধি ভঙ্গকারী নির্বাচিত হয়ে গেলেও প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে ইসির।

দুই সিটি নির্বাচনে ১৩ মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ৭শ’ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি গঠিত। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রয়েছে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। দুই সিটিতে মোট ভোটার ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ভোটার রয়েছে ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভোটার রয়েছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন।

প্রসঙ্গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

   

উপজেলা ভোট: প্রথম ধাপে ভোটের মাঠ ছাড়লেন প্রায় ২০০ প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথমে ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯৮ জন। এদিকে সব মিলিয়ে তিনপদে ভোটের মাঠে লড়ছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী।

সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় তিনপদে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৬৯৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ৯৫ জন প্রার্থী প্রত্যাহার করায় এখন ভোটের মাঠে আছেন ৬০১ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন মনোনয় দাখিল করলেও ৭৯ জন প্রত্যাহার করায় এখন রয়েছেন ৬৪৫ জন। সংরক্ষিত নারী পদের জন্য জমা পড়েছিল ৪৭১টি মনোনয়নপত্র। এর মধ্যে ২৪ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ফলে এখন রয়েছেন ৪৪৭ জন।

এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক ছিল। এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ৮ মে দেশের ১৫০ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হবে।

নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। ব্যালট ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দুই মাধ্যমেই এবার ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

১৫০ উপজেলার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ মঙ্গলবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫০ পরিষদে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে রোববার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল সোমবার (২২ এপ্রিল)। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আর প্রতীক নিয়েই প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভোটের লড়াইয়ে এমপির ভাই-ছেলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লালমনিরহাট
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

মাহবুবুজ্জামান আহমেদ রবিবার (২১ এপ্রিল) অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর আগে রাকিবুজ্জামান আহমেদ শনিবার একইভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোয়েব সিদ্দিকী জানান, চেয়ারম্যান পদে ওই দুই জন ছাড়াও তৌহিদুল ইসলাম নামের আরেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর তার চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদ পরপর দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেমে নৌকার প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জনসভায় সমালোচনা করেন।

ওই সময়ে নির্বাচনী সভায় তিনি ভাই নূরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষোদাগার করেন; এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রী ও দলীয় এমপির কোনো স্বজন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তারপরও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের এমন কোনো নির্দেশনার কথা তিনি জানেন না। নির্বাচন করবেন বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আর বড় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। এটি নতুন কিছু নয়; এর আগেও ছিল।’

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহম্মেদ বলেন, ‘তার (নুরুজ্জামান) আগে থেকেই আমি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ ও দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও নেই। সে কারণে, আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।’

এদিকে আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত সদ্যসাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মনোনয়ন দাখিল করেন।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকি আদিতমারী উপজেলায় দুইজন প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: ধামরাইয়ে তিন পদে ১৮ মনোনয়নপত্র জমা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ধামরাইয়ে তিন পদে ১৮ মনোনয়নপত্র জমা

ধামরাইয়ে তিন পদে ১৮ মনোনয়নপত্র জমা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পাঁচজনসহ তিন পদে মোট ১৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে তারা এ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সাতজন হলেন- ধামরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেস হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ধামরাই উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা, সানোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আহাম্মদ হোসেন, ব্যবসায়ী সুধীর চৌধুরী, বিজেপির ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি সাব্বির হোসেন ও ইট ভাটা ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ছয়জন হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমান খান, ঢাকা জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি জুয়েল রানা, পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শামিনুর রহমান ও ইমরান খান।

মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া পাঁচজন হলেন- ধামরাই উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা আক্তার, জয়া হোসেন, সুরাইয়া আক্তার, খোদেজা বেগম, আন্নিসা লাভলী।

ধামরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, রোববার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। অনলাইনে এ প্রার্থীদেরই মনোনয়নপত্র পত্র পেয়েছি।

;