ইতিহাসের ঢাকা নগর: পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
শিল্পীর তুলিতে ইতিহাসের প্রাচীন ঢাকা, ছবি: সংগৃহীত

শিল্পীর তুলিতে ইতিহাসের প্রাচীন ঢাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুঘলদের হাতে নগর কাঠামো পাওয়া ঢাকার বয়স ৪০০ পেরিয়ে গেলেও এর নগর প্রশাসনের বয়স খুব বেশি নয়। ১৮৬৪ সালে ঢাকায় পৌরসভা এবং ১৯৯৩ সালে সিটি করপোরেশন স্থাপিত হয়। আর ২০১১ সালে ঢাকার নগর প্রশাসন দু'টি করপোরেশনের অধীনে আসে।  

১৬০৮ সালে মুঘল সুবেদার ইসলাম খাঁ সুবা বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকায়, যদিও জনপদ হিসাবে ঢাকার প্রাচীনত্ব আরও অনেক বেশি। ঢাকার পাশেই ছিল সুলতানি বাংলার রাজধানী সোনারগাঁও। কয়েক শত বছর সেখানে সমৃদ্ধ নগর, টাকশাল, সেনানিবাস ছিল। তারও আগে বাংলার স্বাধীন বারো ভূঁইয়া শাসনকাল আবর্তিত হয়েছে ঢাকার আশে-পাশে।

ফলে ঢাকা কোনও অজ্ঞাত ও অজানা জনপদ ছিলনা। ছিল বুড়িগঙ্গা নদী তীরের প্রসিদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র, যা মুঘলদের হাতে রাজধানীর মর্যাদা ও প্রশাসনিক নগর বিন্যাস লাভ করে। মুঘল সুবেদার নিজে সরাসরি ও কোতয়ালের মাধ্যমে নগর শাসন করতেন এবং বিভিন্ন মহল্লার প্রবীণ ও প্রভাবশালী সর্দারগণ সামাজিকভাবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতেন, যাদের নিয়ে গঠিত হতো 'পঞ্চায়েত কমিটি'। 'পঞ্চায়েত কমিটি'কে বলা যেতে পারে ঢাকা পৌরসভার পূর্বসূরি  আর পৌরসভা হলো সিটি করপোরেশনের পূর্বসূরি।   

 

ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ঢাকায় কুঠি, বাণিজ্যকেন্দ্র, প্রশাসনিক বুনিয়াদ থাকলেও পলাশীর যুদ্ধের শতবর্ষ পরেও ঢাকার নগর প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অবয়ব তৈরি হয়নি। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর বাংলা তথা ভারত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিজস্ব শাসনের বদলে সরাসরি ব্রিটিশ শাসনে আসে। আর তখন ১৮৬৪ সালে পৌরসভা গঠনের মাধ্যমে ঢাকার আধুনিক নগর প্রশাসনের গোড়াপত্তন সূচিত হয়।

১৮৬৪ সালের ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত ঢাকা পৌরসভায় (মিউনিসিপ্যালিটি) সর্বমোট ১৭ জন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে প্রথম তিনজন বাদে বাকি ১৪ জন ছিলেন কমিশনারদের ভোটে নির্বাচিত। পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তখনকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্কিনার। ১৮৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদাধিকার বলে এ পদে নিয়োগ পেতেন। প্রথম তিন চেয়ারম্যান, স্কিনার, ড. লাইএ্যল ও জে ব্রাডব্যারিকে নিয়োগ দেন ব্রিটিশ বাংলার গভর্নর। একটি কমিটির মাধ্যমে তারা ঢাকার সেবা ও প্রশাসন ব্যবস্থা তদারক করতেন।

১৮৮৪ সালে ওয়ার্ড কমিশনারদের দ্বারা মেয়র নির্বাচনের প্রথম সভা বসে। সে সভাই পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করে। ১৮৮৫ সালে ঢাকা পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায়। ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মুসলমান চেয়ারম্যান খাজা মোহাম্মদ আসগর। ব্রিটিশ আমলের শেষ পৌরচেয়ারম্যান ছিলেন বিমলা নন্দ দাসগুপ্ত।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানে ঢাকা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের রাজধানী হয়।তখন (১৯৪৭) থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে  মনোনীত বা অনির্বাচিতরাই বসেন। পাকিস্তান আমলে পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন পানাউল্লাহ আহমেদ। পাকিস্তান আমলের (১৯৪৭-১৯৭১) সময়কালে ঢাকা নগর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ১১ জন চেয়ারম্যান, দুইজন প্রশাসক ও একজন অফিসার ইনচার্জ।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমে পৌর করপোরেশন ও সর্বশষ সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয় ঢাকা পৌরসভা। ১৯৭১ সালের রাষ্ট্রপতির ৭ নং আদেশ অনুসারে এগুলোর প্রতিটিতে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির ২২ নং আদেশ অনুসারে পৌরসভাসমূহে সামান্য পরিবর্তন আনা হলেও এগুলোর কার্যাবলি প্রায় আগের মতোই থাকে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চার জন প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পান ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত।

ঢাকার ক্রমবর্ধমান প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব, স্থানীয় সরকার প্রশাসনে জনপ্রতিনিধিত্ব ও করারোপের ব্যাপারে পৌরসভার প্রশাসনিক কাঠামো বিস্তৃত করার  প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটিকে উন্নত করার দাবি উত্থাপিত হওয়ার বাস্তবতায় ১৯৭৮ সালের অক্টোবরে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটিকে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে উন্নীত করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে ‘ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অর্ডিন্যান্স’ নামে একটি স্বতন্ত্র অর্ডিন্যান্স জারি করে সরকার।

১৯৯০ সালে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত প্রথম মেয়র (মনোনীত) হিসেবে দায়িত্ব পান। পরে এক্স-অফিসিও মেয়র হিসেবে অলিউল ইসলাম ও বদিউর রহমান দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের ১৯ মে থেকে ১৯৯৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনীত মেয়র ছিলেন মির্জা আব্বাস।

১৯৯৩ সালে ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন (সংশোধনী) আইন, ১৯৯৩’ জারি করা হয়। এ আইনে মেয়র এবং কমিশনারগণ প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। নতুন আইনে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে এবং ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন মেয়র ও অন্য কমিশনাররা নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে সংরক্ষিত ৩০টি আসনে মহিলা কমিশনারদের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান প্রবর্তন এবং মহানগরের ওয়ার্ড সংখ্যা ৯০টিতে উন্নীত করা হয়। অবিভক্ত ঢাকায় মোহাম্মদ হানিফ ও সাদেক হোসেন খোকা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার সংশোধনী বিল ২০১১ অনুসারে সরকার পূর্ববর্তী ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এ আইন অনুযায়ী ৪ ডিসেম্বর ২০১১ থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুইটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যাত্রা শুরু করে।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;