‘শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার/ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার/ছবি: বার্তা২৪.কম

ইভিএমের সুবিধা হলো কোনো কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েনি। সুতরাং ভোটকেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোট নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন


মাহবুব তালুকদার বলেন, ইভিএম ব্যবহার করে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে এতে কোনো কেন্দ্রে শতকরা ১০০ শতাংশ ভোট পড়েনি এবং নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার সুযোগ ছিল না। রাতে ব্যালট পেপারে বাক্স ভর্তি ও কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। তাতে কী ফলাফলে কিছু আসে যায়?

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক নির্বাচনী পরিবেশের কথা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। আমি তাদের বলেছি নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তারা আমার চেয়ে বেশি অবহিত। কারণ তারা নিজের চোখে সব দেখেছেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি মগবাজারস্থ ইস্পাহানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট দিয়েছি। কেন্দ্রের সাংবাদিকগণ আমাকে জানান, সকালে বিরোধী দলের মেয়রের এজেন্ট ছিলেন। তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। এছাড়া আনারস প্রতীকের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আমাকে জানিয়েছেন, তার নির্বাচনী এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি।

তিনি বলেন, আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত মোট ১২টি কেন্দ্র পরিদর্শন করি। এই ১২টি কেন্দ্রে আমি সরকারি দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ছাড়া আর কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাইনি। সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে দৃশ্য দেখা গেছে, তাতে আমি মর্মাহত। আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আচরণবিধি থাকা না থাকায় কোনো পার্থক্য থাকে না।

নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো মারামারি বা রক্তক্ষয় হয়নি। ভোটের মাঠে এক পক্ষ ব্যতীত অন্য পক্ষগুলোকে দেখা যায়নি। ভোটের মাঠে অন্যপক্ষগুলোর অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে আমার অজ্ঞাত।