মশামুক্ত পরিচ্ছন্ন নগর হোক নগরপিতার ‘অঙ্গীকার’



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নবনির্বাচিত উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

নবনির্বাচিত উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়ে শেষ হলো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রার্থীদের মাসব্যাপী দৌড়ঝাঁপ আর প্রচারণা শেষে নগরবাসী পেল পাঁচ বছরের জন্য তাদের নতুন দুই ‘অভিভাবক’। যাদের কাঁধে থাকবে জলজট-যানজটের এই নগরীর উন্নয়নের ভার।

তফসিল ঘোষণা পর থেকে ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা, নগরবাসী মন কাড়তে দিয়েছেন ঝুড়ি ভরা প্রতিশ্রুতি। রাজধানীকে কেউ বানাতে চেয়েছেন ‘সিঙ্গাপুর’ আবার কেউ চেয়েছেন ‘দুবাই’! উন্নত নগরীর আশ্বাস দিয়ে কেউ কারো পিছনে ছিলেন না।

তবে নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও নগরবাসীকে ‘নতুন ঢাকার স্বপ্ন’ দেখিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এখন দেখা যাক, নতুন মেয়রদের ‘নতুন ঢাকার স্বপ্ন’ পূরণে চ্যালেঞ্জ কী? নগরবাসীর মনে এমন প্রশ্ন আসলে প্রথমেই আসবে মশা, জলজট, ময়লা-আবর্জনা ও যানজটের ভোগান্তি। নগরবাসীও নগরের নতুন অভিভাবকদের কাছে চাইবেন ‘মশামুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী’ উপহার!

নানা সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা সিটি কখনও ডেঙ্গু কখনও চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত হয়। আবার কখনও নতুন রোগের আবির্ভাব ঘটে। এই তো ছয় মাস আগেও ভুগলো ডেঙ্গু ব্যাধিতে। সরকারি হিসেবে এই রোগে দেড়শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ব্যাধি মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ার তকমা নিয়ে নগরপিতা হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গেছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। তাই মশা ও ডেঙ্গু মুক্ত নগর মেয়রদের বড় চ্যালেঞ্জ। এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ব্যর্থ হলে নগরবাসী মাফ করলেও অবহেলার দরুন সৃষ্ট সমস্যা কখনই তাদের ক্ষমা করবেন না-তার বড় প্রমাণও সাঈদ খোকন।

ভয়াবহ ডেঙ্গুর অভিজ্ঞতার বছর পেরিয়ে নির্বাচিত হওয়া আওয়ামী লীগের দুই মেয়র তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অপরিকল্পিত ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর এবং জনপ্রতিশ্রুতি- 'উন্নয়ন রূপরেখা' বাস্তবায়নই মূল চ্যালেঞ্জ বলে করেন। নগরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, আধুনিক, সুশাসিত ও সচল ঢাকা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা। স্বপ্ন দেখিয়েছেন বিশ্বের উন্নত নগরের আদলে ঢাকাকে রূপান্তরিত করার। ভবিষ্যৎ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রাজধানীকেও সেইভাবে সাজাতে কাজ করার অঙ্গীকারও করেছেন।

ফজলে নূর তাপস সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব দেওয়ার পর এবার হয়েছেন মেয়র। দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ ছাড়ার পর ভোটের প্রার্থী হন তিনি। তবে তার এই সিদ্ধান্তে অনেকেই অখুশি ছিলেন। মেয়র নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ঐতিহ্যের মোড়কে আধুনিক ঢাকা গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

ডিএনসিসি উপনির্বাচনে জিতে মেয়র হলেও আতিকুল ইসলাম পদে থাকতে পেরেছেন নয় মাস। এর মধ্যেই চলে আসে নির্বাচন। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আতিক তার ওই নয় মাসকে ‘ওয়ার্মআপ’ হিসেবে অভিহিত করেন। এবারের নির্বাচনে জয়ী হলে ‘টেস্ট’ খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই ‘টেস্ট’ খেলতে ভোটে রায় পেয়েছেন আতিক।

ক্ষমতাসীন দলের হয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়া আতিক-তাপসের জন্য বাড়তি পাওয়া। এক্ষেত্রে নগরের উন্নয়নে সরকার ও নিজেদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। তবে সবকিছু মিলে এখন সময়ই বলে দিবে নগরবাসীকে দেওয়া উন্নয়ন ফিরিস্তি ও প্রতিশ্রুতি কতটা-কিভাবে তারা বাস্তবায়ন করবেন।

সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা ৪০০ বছরের পুরনো ঢাকা নগরী তার সদ্য নির্বাচিত মেয়রের কাঁধে ভর করে হয়ে উঠুক সমৃদ্ধ উন্নত। আর এই হোক নগরপিতাদেরও ‘অঙ্গীকার’।

ঢাকার দুই সিটিতে প্রথমবারের মতো ইভিএম প্রযুক্তিতে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ মোট নয়টি দলের ১৩ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিযোগিতা করেন। উত্তরে মেয়র, ওয়ার্ড, এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মোট ৩৩৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। দক্ষিণে মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মোট ৪২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

শনিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকেই ভোট শুরু হয়ে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট। উত্তর সিটি করপোরেশনে ফের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।


উল্লেখ্য, রাজধানীর বিপুল সংখ্যক নাগরিকের সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দু’ভাগে বিভক্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দুটোতেই জয় পায় আওয়ামী লীগ। উত্তর সিটি করপোরেশনে জয়ী হন আনিসুল হক এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাঈদ খোকন। আনিসুল হক ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মারা গেলে আদালতের ৬ মাসের স্থগিতাদেশ কাটিয়ে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ডিএনসিসিতে উপনির্বাচনের আয়োজন করে। ওই উপনির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও ব্যবসায়ী নেতা মো. আতিকুল ইসলাম।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;