মিলনসহ ৯ মেয়র প্রার্থীর জামানত বাতিল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাইফুদ্দিন মিলন, সাজেদুল হক রুবেল, শাহীন খান, ফজলে বারী মাসউদ, আবদুর রহমান, আনিসুর রহমান, আবদুস সামাদ, আকতারুজ্জামান, বাহারানে সুলতান

সাইফুদ্দিন মিলন, সাজেদুল হক রুবেল, শাহীন খান, ফজলে বারী মাসউদ, আবদুর রহমান, আনিসুর রহমান, আবদুস সামাদ, আকতারুজ্জামান, বাহারানে সুলতান

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিলনসহ নয় প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে।

সিটি নির্বাচনের ৪৪ (৩) বিধিতে বলা হয়েছে- ভোটগ্রহণ বা ভোট গণনা সমাপ্ত হওয়ার পর যদি কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে আট ভাগের এক ভাগেরও কম ভোট পান, তাহলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দুই সিটি রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় নির্ধারিত ভোট সংখ্যার চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় নয়জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে, দু’সিটিতে ১২৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৪৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাড়ে ৭০০ প্রার্থী। এদের মধ্যে কোন কোন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার। শিগগিরই কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যেও জামানত হারানোদের নাম জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ২০ লাখের বেশি ভোটার থাকায় প্রার্থীদের জামানত রাখতে হয়েছিল ১ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ও মো. আবদুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, ন্যাশনাল পিপল পার্টির প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান ও মো. বাহারানে সুলতান বাহার, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী শাহীন খান, গণফ্রন্টের প্রার্থী আব্দুস সামাদ সুজন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ এক লাখ টাকা করে জামানত হারিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা উত্তর সিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছয়টি দল অংশগ্রহণ করেন। এ সিটিতে ভোটার রয়েছে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৫০৯জন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ ভোটার। যার আট ভাগের এক ভাগ হলো ৯৫ হাজার ২৭৪ ভোট।

ভোটের ফলাফল শিট থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। আর তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ হাতপাখা মার্কায় পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০০ ভোট। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল কাস্তে প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১২২ ভোট। ন্যাশনাল পিপল পার্টির আম প্রতীকে মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৩ ভোট ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী শাহীন খান ডাব প্রতীকে পেয়েছে ২ হাজার ১১১ ভোট।

নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের আতিক ও বিএনপির প্রার্থী তাবিথ ব্যতীত আর কোনো প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি।

অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সাতটি দল প্রার্থী দিয়েছিল। এ সিটিতে ভোটার রয়েছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৯জন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০ ভোটার। এর আট ভাগের এক ভাগ হলো ৮৯ হাজার ১৩১ ভোট।

ভোটের ফলাফল শিট থেকে থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। আর বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫২৫ ভোট। গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট। জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ ডাব প্রতীকে পেয়েছে ২ হাজার ৪২১ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. বাহারানে সুলতান বাহার আম প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ ভোট।

এ সিটিতেও নৌকার প্রার্থী তাপস ও ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।