সিটি নির্বাচনে এগিয়েছে কেবল ইসলামী আন্দোলন!



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্যসমাপ্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পর জায়গা করে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের ভোটের ফলাফল চমক তৈরি করেছে রাজনৈতিক বোদ্ধামহলে। যদিও নির্বাচনের দিন (১ ফেব্রুয়ারি) ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ভোট প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি দলটির নেতারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনে খরচ করা টাকা ফেরত চেয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।

ভোটের নানা হিসাব করে দেখা গেছে, প্রায় সবদলের প্রাপ্ত ভোট কমেছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তাদের ভোট বেড়েছে। দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। দলটি দুই সিটিতেই প্রার্থী দিয়ে নিজেদের ঘরে তুলে নিয়েছে ৫৪ হাজার ৭২৫ ভোট। অর্থাৎ ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে হাতপাখা প্রতীকে। দলটির উত্তরের প্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০০ ভোট এবং দক্ষিণের প্রার্থী আলহাজ্ব মো. আবদুর রহমান পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫২৫ ভোট।

এর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ কমলালেবু প্রতীকে ১৮ হাজার ৫০ ভোট পান। আর ঢাকা দক্ষিণে আলহাজ্ব আবদুর রহমান ফ্লাস্ক প্রতীকে ১৫ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়েছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ছবি: বার্তা২৪.কম 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত একজন কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ৬৭ নং ওয়ার্ড হাজী মো. ইব্রাহিম খলীল লাটিম প্রতীকে ৪ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, আর বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে নির্বাচন শেষ করেছেন। দলটি ঢাকা দক্ষিণে ২০ জন ও উত্তরে ১৮ জন কাউন্সিলর মনোনয়ন এবং আরও ১০-১২ জন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলো।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। নিবন্ধন নম্বর ৩৪। দলীয় প্রতীক হাতপাখা। ১৯৮৭ সালে চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৭টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল দলটি। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে সর্বাধিক আসনে ভোটযুদ্ধে নেমে দলটির মনোনীত প্রার্থীরা পেয়েছেন ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ ভোট। তবে একজন বাদে বাকি সবাই জামানত হারান। দলটি ভোট পেয়েছিল মোট ভোটের ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ভোটের হিসাবে দলটির অবস্থান চতুর্থ হলেও প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সবার উপরে।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাদে অন্যকোনো ইসলামি দল প্রার্থী দেয়নি। দুই সিটি নির্বাচনে দলটির আমির পীর সাহেব চরমোনাই থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। প্রার্থীদের মিডিয়া সমন্বয় ছিলো উল্লেখ করার মতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীর সমর্থকদের সরব উপস্থিতিও ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলেছে। নির্বাচনী মাঠের প্রচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমও তাদের ভালো কাভারেজ দিয়েছে। এসব মিলিয়ে দলটি নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে।

তবে দলটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভোট সুষ্ঠু হলে আমাদের প্রার্থীরা আরও ভালো করতো। স্বাধীনতার পর থেকে যেসব দল দেশ শাসন করেছে, তাদের ওপর মানুষের আস্থা নেই। তাই তো দিন দিন মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হচ্ছে হাতপাখা।

প্রচারণায় চরমোনাইয়ের পীর, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভোটের দিনের পরিবেশের কথা উল্লেখ করে এই রাজনীতিবিদ বলেন, আমাদের লোকজন বিশেষ করে মুরব্বি ও নারীরা মান-ইজ্জত হারানোর ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে আমাদের প্রাপ্ত ভোট আরও বাড়তো।

ধর্মীয় নানা ইস্যুসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন রাজপথে সরব। দলটির ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্র ও যুব সংগঠন, মোজাহিদ কমিটি এবং সহযোগী সংগঠনগুলোও বেশ সংগঠিত। সবমিলিয়ে বলা চলে, তারা বেশ সুকৌশলে এগোচ্ছে। এরই প্রভাব পড়েছে সিটি নির্বাচনে।

ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই সিটিতেই মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে হিসাবে ১৩ জন মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে ৯ জন তাদের জামানত হারিয়েছেন।

ভোট কম পাওয়ার হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে ইলিশ মার্কা নিয়ে ঢাকা দক্ষিণে সাঈদ খোকন পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট। এবার দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫ ভোট। ২০১৫ সালে সাঈদ খোকনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা আব্বাস মগ মার্কা নিয়ে ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট পেয়েছেন। এবার ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ১২ ভোট।

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত আনিসুল হক পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল বাস প্রতীকে পেয়েছিলেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট।

এবার ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ১১ ভোট। বিএনপি প্রার্থী সেই তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৬১ ভোট। অর্থাৎ গত দুই সিটি নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের হার কমেছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সদ্যসমাপ্ত সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি। দক্ষিণে দলটির প্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট, যা দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। তিনি ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে সোফা প্রতীকে ৪ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়েছিলেন। এবার তার ভোটের হার কিছুটা বেড়েছে।

প্রচারণায় চরমোনাইয়ের পীর, ছবি: বার্তা২৪.কম

অন্য দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেবল উত্তর সিটিতে প্রার্থী দিয়েছিল। দলটির আহাম্মদ সাজেদুল হক কাস্তে প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১২২ ভোট। যা দুই সিটিতে প্রদত্ত ভোটের এক দশমিক ০৩ শতাংশ।

গণফ্রন্ট কেবল দক্ষিণ সিটিতে প্রার্থী দেয়। দলটির প্রার্থী আব্দুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট। দুই সিটিতে প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।

ন্যাশনাল পিপল পার্টির আম প্রতীকে দুই সিটিতে ভোট পড়েছে ৭ হাজার ৮টি। যা মোট প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ। দলটির উত্তরের প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৩ ভোট, আর দক্ষিণের প্রার্থী মো. বাহারানে সুলতান বাহার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ ভোট।

বাংলাদেশ কংগ্রেসও কেবল দক্ষিণে মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহকে প্রার্থী দিয়ে ডাব প্রতীকে নিজেদের ঘরে তুলেছে ২ হাজার ৪২১ ভোট। দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের যা শূন্য ১৬ শতাংশ।

প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি কেবল উত্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। দলটির প্রার্থী শাহীন খান বাঘ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১১১ ভোট, যা দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ।

দুই সিটির মধ্যে ডিএনসিসিতে ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, আর দক্ষিণে ২৯ দশমিক ০৭ শতাংশ।

২০১৫ সালের বিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচনে উত্তরে ভোট পড়েছিল ৩৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর দক্ষিণে পড়েছিল ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ভোট।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;