ভোটারদের ভোটমুখী করাই চ্যালেঞ্জ



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দশ বছর আগেও যেকোনো পর্যায়ের নির্বাচন এলেই মানুষের ভেতর এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করত। কে হবেন চেয়ারম্যান-মেম্বার আর কে হবেন সংসদ সদস্য—এসব নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠত। ভোটের দিন পাড়া-মহল্লায় মানুষজন দল বেঁধে ভোট দিতে যেতেন। অনেক বাড়িতে ভালোমন্দ খাওয়ার আয়োজনও থাকত।

সেই সংস্কৃতি এখন একেবারেই উঠে গেছে বলা চলে। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চলছে। কেন এত কম ভোটার উপস্থিতি তাই নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সরকারি দল ও নির্বাচন কমিশন নানা যুক্তি দেখালেও ভোটারদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই তাতে। অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ বলছেন ভোট প্রদানের সংস্কৃতি নষ্ট করেছে সরকার, তাই মানুষের আগ্রহ কম।

এই জল্পনা-কল্পনার মধ্যে আবার শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ৫টি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীরা সরগরম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকলেও বিরোধী পক্ষের মুখে শুধুই অভিযোগ। তবে দুই পক্ষের কেউই ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলছেন না।

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে, বিএনপি এখনো তাদের প্রার্থী দেয়নি। অন্যদিকে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এছাড়া যশোর-৬ আসনের  আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার, গাইবান্ধা-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উম্মে কুলসুম, বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাদারা মান্নান এবং বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম মিলন।

এরা সবাই প্রার্থী চূড়ান্ত হবার পর নিজ এলাকায় আনন্দ মিছিল কেউ বা মিষ্টি বিতরণ করেছেন। ভোটের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার সময় তাদের হাতে নেই, এমনটিই মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। যাদের ভোটে এমপি হবেন তাদের মতামত নেওয়ার জন্য উঠান বৈঠক বা মতবিনিময় সভা করার সময়ও তাদের হাতে নেই।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হয়েছে নানান সমালোচনা। সেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে প্রার্থীদের ভোটার প্রীতি কতটুক কার্যকর ছিল। সরকারি দল ও বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থীরা রাস্তায় রাস্তায় সভা-সমাবেশ করেছেন, মাইকিং করেছেন, গান বাজিয়ে উৎসব করেছেন, কিন্তু ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়ার বিষয়টি তারা খুব একটা আমলেই নেননি।

ঢাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা তো কেউ ভোট চাননি, গলি দিয়ে যাওয়ার সময় হাত নেড়ে দেখান—এটা তো ভোট চাওয়ার নমুনা না। আগে তো প্রতিজন ভোটারের কাছে ভোট চাইত।

মোহাম্মদপুর টিক্কাপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা নূর হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বয়স তো ৬৫ পার করলাম। নির্বাচন বহু দেখেছি, এভাবে রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াইয়া ভোট চাইতে দেখি নাই। মানুষের এত কি ঠেকা যে, ভোট দিতে যাবে। আর গেলেই যদি সেখানে গোলমাল হয় কে রক্ষা করবে?

তাই এবার উপ-নির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার টানতে নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে বিশেষ যৌথসভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চারটি আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছি। প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মকভাবে অংশ নিতে হবে। সবার উদ্দেশ্য থাকবে যাতে ভোটার উপস্থিতিটা বেশি হয়। আমরা বিষয়টা চেষ্টা করে দেখতে পারি।

নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফেরাতে না পারলে ভোটারদের ভোটমুখী করা চ্যালেঞ্জ বলে জানালেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ভোটারদের আস্থা, অনাস্থার বিষয়টি উপস্থিতির পরিমাপক। এজন্য নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে তারা কতটুক সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই নির্বাচনী প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। নির্বাচন ছিল একটা উৎসবমুখর পরিবেশ, সেই ব্যবস্থাটা একেবারে ধুলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটারদের ভোটমুখী করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। আগে ওই সব প্রতিষ্ঠানকে অর্থবহ করতে হবে যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করবে। নির্বাচন কমিশনে যোগ্য নেতৃত্ব আনতে পারলে মানুষের ভেতর আস্থা ফিরে আসবে। সদ্য শেষ হওয়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি সত্যিকার অর্থে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে চায় তাহলে তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তা না হলে এই যে ভোট বিমুখ মানুষ তাদের ফেরানো কঠিন হয়ে যাবে।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;