ঢাকা-১০
২১ স্থানে দূষণমুক্ত প্রচারণা চালানোর প্রস্তাব দিল ইসি
ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে দূষণমুক্ত নির্বাচনী প্রচারের জন্য ২১টি জায়গা নির্ধারণ করে প্রার্থীদের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ উপনির্বাচনের জন্য পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসি।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইটিআই ভবনে বৈঠকে বসে কমিশন। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য চার কমিশনার উপস্থিত রয়েছেন।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে প্রচারে যে পরিমাণ পোস্টার ব্যানার টাঙানো হয়েছে, তাতে শহরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আমরা চাই, সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকুক, তাই আমরা দূষণমুক্ত পরিবেশে ভোট করতে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিচ্ছি।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে প্রচারে যে পরিমাণ পোস্টার ব্যানার টাঙানো হয়েছে, তাতে শহরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আমরা চাই, সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকুক, তাই আমরা দূষণমুক্ত পরিবেশে ভোট করতে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিচ্ছি।
প্রস্তাবগুলো হলো- ১. প্রার্থীরা আচরণ বিধিমালায় বর্ণিত সংখ্যক অনুমোদিত স্থায়ী স্থাপনায় নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করবেন। ক্যাম্পগুলোতে প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করতে পারবেন। সিটি করপোরেশন আইনে অনুমোদিত ডেসিবেল মাত্রায় মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
২. আসনের ২১টি জায়গা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সব প্রার্থী সেখানে নিজ নিজ স্ট্যান্ড স্থাপন করে পোস্টার লাগাতে পারবেন। এক একটি জায়গায় পর্যায়ক্রমে সব প্রার্থী শব্দযন্ত্র ব্যবহার করে অচরণ বিধিমালায় বর্ণিত সময়কালে প্রচারণা চালাতে পারবেন।
৩. প্রার্থীরা নির্ধারিত স্থানে শোভাযাত্রা, পদযাত্রা সীমিত রাখবেন। নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক প্রার্থীকে এ লক্ষ্যে নির্দিষ্ট দিন, সময় নির্ধারণ করে দেবেন।
৪. নির্বাচন কমিশন জনসভার জন্য এক বা একাধিক জায়গা নির্দিষ্ট করে দেবে। নির্ধারিত স্থানে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করে তারা পর্যায়ক্রমে সভা আয়োজন করবেন।
৫. কোনো তোরণ নির্মাণ করা হবে না, রাস্তার ফুটপাতে কোনো ক্যাম্প করা যাবে না, রাস্তায় কোনো পথসভা করা হবে না, সর্বোপরি নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন সব কার্যক্রম থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
সবার সম্মতি পেলে ঢাকার এ উপনির্বাচনে দূষণমুক্ত প্রচার সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ইসির উপসচিব রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ভোটের প্রচারণার বিধি-নিষেধের বিষয়ে আচরণবিধি রয়েছে। এর মধ্যে থেকে প্রার্থীরা অনেক কিছুই করতে পারেন। কিন্তু লেমিনেটেড পোস্টার ও শব্দদূষণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। তাই এ নির্বাচনটি দূষণমুক্ত করা যায় কিনা, সে উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা ১০ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন নবনির্বাচিত মেয়র তাপস। ঢাকা দক্ষিণের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়।
এ আসনে ২১ মার্চ ভোটের দিন সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল বুধবার। ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যাহারের সুযোগ শেষে ১ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ হবে।