কে এস ফিরোজের দাফন সম্পন্ন
রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতা কে এস ফিরোজকে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে সামরিক কবরস্থানের মসজিদে বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অভিনেতা আহসানুল হক মিনু, অভিনেতা আহসান হাবীব নাসিম, নাট্যপ্রযোজক সাজু মুনতাসির, নাট্যনির্দেশক নরেশ ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন থিয়েটারকর্মী।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কে এস ফিরোজ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন কে এস ফিরোজ। সম্প্রতি তিনি নিউমোনিয়ার ইঞ্জেকশন নিতে আইসিডিডিআরবিতে যান। সেখান থেকে ফিরেই জ্বরে আক্রান্ত হন।
জ্বর নিয়ে একটি হাসপাতালে কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন। অবস্থা খারাপ হলে তাকে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পরই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার করোনা হয়েছিলো বলে জানা গেছে।
গুণী এই অভিনেতার গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে। তবে তার জন্ম ঢাকার লালবাগে। মঞ্চ নাটক দিয়ে শুরু হয়েছিল কে এস ফিরোজের অভিনয় যাত্রা। নাটদ্যল ‘থিয়েটার’র সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে।
কে এস ফিরোজ প্রথম টিভিতে অভিনয় করেন দিলারা জামানের স্বামী শফিউজ্জামানের রচনায় ও জামান আলী খানের প্রযোজনায় ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম।
কে এস ফিরোজ অল্প কিছু চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। তার প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। অভিনয় করেছেন আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘ বাশি’, মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’র মতো প্রশংসিত সিনেমায়।
অভিনয়ের বাইরেও এক বর্ণিল ক্যারিয়ার কে এস ফিরোজের। ১৯৬৭ সালে কে এস ফিরোজ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি নেন। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। তার আগে ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর মাধবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কে এস ফিরোজের তিন মেয়ে। তারা হচ্ছেন নাদিয়া, সাদিয়া ও রাবেয়া জাহান ফিরোজ।