ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে স্বপ্নদলের ‘ডাকঘর’
ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক-এর সহযোগিতায় ভারতের স্বনামখ্যাত নাট্যসংগঠন ‘বাকসা বাত্য নাট্যজন’ আয়োজিত চলমান দশদিনব্যাপী ‘অন্তরঙ্গ নাট্যমলো ২০২১’-এর নানা আয়োজনের অন্যতম ‘ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দর্শকনিন্দত প্রযোজনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’।
আগামী ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা (ভারত সময় সন্ধ্যা ৭টা) উৎসবে তিনদিনব্যাপী ভার্চুয়াল পর্বের শেষদিনে ‘বাকসা বাত্য নাট্যজন’-এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রদর্শিত হবে ‘ডাকঘর’ প্রযোজনাটি।
রবীন্দ্র-নাট্যদর্শনের ব্যবহারিক রূপ সৃজনে গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্মিত ‘ডাকঘর’-এর নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
এ ‘ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল’ পর্বটিতে বাংলাদেশের ‘ডাকঘর’ ছাড়াও ফ্রান্স ও নেপালের নাট্যপ্রযোজনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় সমস্ত কবিতা, গীতি, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস বা নাটকের মতোই ‘ডাকঘর’-এরও অন্তর্সত্য বন্ধনের বিপরীতে মুক্তির প্রত্যাশা। বালক অমলের অসুস্থতা ও তার বন্ধনমুক্ত স্বপ্নের জগতের আকাঙ্খা, রাজার চিঠির জন্য প্রতীক্ষা এবং পরিশেষে রাজপ্রতিনিধি রাজকবিরাজের আগমনে পার্থিব সর্ববন্ধন থেকে মুক্তি ‘ডাকঘর’ নাটকের উপজীব্য।
পুথিসর্বস্ব ও স্বার্থচিন্তাা-নিয়ন্ত্রিত সংসার ও সমাজের চাপে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ হতে বঞ্চিত হয়ে অর্থাৎ বিশ্বের অসীম অনন্দরূপের সঙ্গে যুক্ত হতে না পেরে জীবাত্মা তার স্বাভাবিক শক্তি ও সৌন্দর্য হারিয়ে ক্লিষ্ট হয়ে পড়ে। অনুরূপ রুগ্ণ-বন্দী অবস্থার বিপরীতে স্রষ্টার সৌন্দর্য-স্বরূপ উপলব্ধিতে ব্যাকুল মুক্তির আকাঙ্খা অমলকে প্রেমময় পরমাত্মা পরমযত্নে স্বীয় সান্নিধ্যে গ্রহণ করে মুক্তির শান্তি প্রদান করেন। এভাবেই যেন ‘ডাকঘর’-এ জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন সংঘটিত হয়।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনা-নিয়ন্ত্রিত এ আবদ্ধকালে ‘হোম কোয়ারেনটাইন’-এর ধ্রুপদী উদাহরণ ‘ডাকঘর’ প্রযোজনা দরশন দর্শকচেতনায় নিঃসন্দেহে এক নতুন ব্যঞ্জনা তৈরি করবে।