মুম্বাইয়ে চলছে ‘বঙ্গবন্ধু’র বায়োপিকের শুটিং যজ্ঞ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আরিফিন শুভ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আরিফিন শুভ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র, নাটক, ওয়েব সিরিজ, মিউজিক ভিডিও বা মঞ্চ নাটক যাই হোক না কেনো একটি চরিত্র সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা চারটে খানি কথা নয়। চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয় একজন অভিনেতাকে। সেই সঙ্গে লুকের একটি ব্যাপার তো রয়েছেই।

কিন্তু সেই চরিত্রটি যদি হয় বাঙালি জাতির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তাহলে দায়িত্বের পাল্লাটা যেনো একটু বেশি ভারি হয়ে যায়। কেননা পাকিস্তানিদের শাসন, শোষণ এবং নিপীড়ন থেকে মুক্তি দিতে ৭ কোটি মানুষের ত্রাতা হিসেবে এসেছিলেন সর্বকালের সেরা পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুম্বাইয়ের শহরতলির এক প্রান্তে পাহাড়, লেক আর গাছগাছালিতে ঘেরা দাদাসাহেব ফালকে ‘চিত্রনগরী’ বা ফিল্মি সিটি- সেখানেই কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে বহুপ্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শুটিং।

অ্যারে পার্ক নামে একটা বিস্তীর্ণ সবুজ পাহাড়ি অরণ্যের কোলে বিছানো এই ফিল্ম সিটি, আপাতত তারই অন্তত ছয়টা লোকেশনে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর সেট। কোথাও টুঙ্গিপাড়ার নদীর ঘাট বা ফুটবল মাঠ, কোথাও আবার শেখ মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেল।

শুটিং সেটে ক্যামেরাবন্দি শ্যাম বেনেগাল

বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে ছবিটি নির্মাণের জন্য তিন জন নির্মাতার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিলো। যেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলিউডের বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালকেই।

বেশ কিছুদিন আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিলো বায়োপিকটির কাজ। কিন্তু করোনাভাইরাস ও অন্যান্য কিছু নানা কারণে বার বার পিছিয়ে যাচ্ছিলো সেটি। পরে গত ২১ জানুয়ারি মুম্বাইতে মহরতের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ছবির প্রথম পর্বের কাজ।

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নির্মাণের দায়িত্ব ভারতীয় পরিচালকের কাঁধে পড়লেও এতে যারা অভিনয় করছেন তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের তারকা। প্রথমে বাংলা ভাষায় নির্মিত হবে এটি। পরে সেটি ইংরেজি ও হিন্দিতে ডাবিং করা হবে।


ফিল্মের প্রযোজক হিসেবে রয়েছে দুই দেশের বিএফডিসি ও এনএফডিসি।

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নির্মাণের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত শ্যাম বেনেগাল। এ প্রসঙ্গে বিবিসি’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রায় চল্লিশ বছর আগে ‘আরোহণ’ নামে একটা বাংলা ছবি করেছিলাম, তারপর এটি আমার দ্বিতীয় বাংলা ছবি। যদিও দুটোর মধ্যে কোনও তুলনাই চলে না।”

যোগ করে এই নির্মাতা আরও বলেন, “আসলে এর আগেও গান্ধী, সুভাষ বোস, নেহরুর জীবন নিয়ে কাজকর্ম করেছি, এই জঁনর-টাই আমার খুব প্রিয়। এবার বাঙালি জাতীয়তাবাদের নায়ককে নিয়ে কাজ করার এতো বড় সুযোগ- সেই ড্রাইভটাই বোধহয় আমাকে দিয়ে সব করিয়ে নিচ্ছে।”

আরিফিন শুভ

মুম্বাইতে এখন বঙ্গবন্ধুর যে কাজগুলো হচ্ছে সেগুলো মূলত তার জীবনের প্রথম পর্ব ও পারিবারিক অংশটুকুর- পরিচালকের কথায় যেটা ছবির ‘ডোমেস্টিক পার্ট।’

“এটি একটা খুব লম্বা কাজ, লং হল! এপ্রিলে ভারতের এই অংশটুকুর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর মনসুন শেষ হলে, ধরা যাক আগস্টের শেষ দিকে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে লোকেশন সরে যাবে বাংলাদেশের বিশাল ক্যানভাসে। যেমন ধরুন শেখ মুজিবের বিশাল জনসভাগুলো। তিনি তো আর দশটা মানুষের সামনে ভাষণ দিতেন না, তাঁর কথা শুনতে হয়তো পাঁচ লাখ মানুষের ভিড় হতো। তো সেই জিনিস তো আর এখানে রিপ্রোডিউস করা সম্ভব নয়, বাংলাদেশেই সেটি করতে হবে।”

মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটিতে চলছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শুটিং

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আরিফিন শুভ। বেশ কয়েক দফা অডিশন দেওয়ার পর গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তার নাম এই চরিত্রের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছিলো।

সিলেকশনের দিনটির স্মৃতিচারণ করে বিবিসি’কে আরিফিন শুভ বলেন, “সত্যি বলতে কী সেই দিনটার পর আমার জীবন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। আমি যেন একটা অদ্ভুত মোডে ঢুকে গেছি।”

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে শুভ বলেন, “বলে না যে ভালবাসা অন্ধ হয়? ভালোবাসার বা প্রেমের কোনও চোখ থাকে না? আমারও এখন যেন সেই অবস্থা, জানেন? কারণ আমি মানুষ শেখ মুজিবের প্রেমে পড়ে গেছি।”

মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটি

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে তার বাবা লুৎফর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, “পিতার সঙ্গে শেখ মুজিবের আসলে একটা মাল্টি-ডায়মেনশনাল সম্পর্ক ছিল। বাপ-ব্যাটা একসঙ্গে ফুটবল খেলতেন, আরও অনেক কিছু করতেন যেগুলো সে আমলে খুব একটা দেখা যেতো না। আদর, সোহাগ, শাসন- সেই সম্পর্কের আসলে অনেকগুলো পরত ছিল। তার সব খুঁটিনাটি হয়তো চিত্রনাট্যে আসেনি, তারপরও যেটুকু এসেছে সেগুলো সাধ্যমতো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”

বঙ্গবন্ধুর মা সায়েরা খাতুনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী দিলারা জামান। তিনি বলেন, “আসলে কি আমেরিকার পাট গুটিয়ে যখন দেশে ফিরে আসি, তখন স্বপ্নেও ভাবিনি এত বড় একটা কিছু আমার জন্য অপেক্ষা করছে। কাজটা শেষ করতে পারলে হয়তো এটাই হবে আমার জীবনের শেষ কাজ, জানি না!”

যোগ করে তিনি আরও বলেন, “কিন্তু এটুকু নিশ্চিত জানি এই ছাপ্পান্ন বা সাতান্ন বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে এটাই হবে আমার শ্রেষ্ঠতম কাজ। কারণ জাতির পিতা এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যাকে বলা হয়- তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে পারাটা আমার জীবনের এক পরম প্রাপ্তি।”

কস্টিউম ডিজাইনার পিয়া বেনেগাল

শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্র নিয়েই নয়, শেখ মুজিবের নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট, পোশাক আর বিখ্যাত ‘মুজিব কোট’ নিয়েও অনেক গবেষণা করা হয়েছে।

ছবিতে কস্টিউম ডিজাইন করছেন পিয়া বেনেগাল। যার ঝুলিতে রয়েছে বলিউডের বহু ছবির জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা।

   

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চলছে ভোট গণনা, আসেননি অনেক তারকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি ছিল, ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫টায়। এখন চলছে ভোট গণনা। 

ভোট দিতে সকালে তেমন কোন ভোটার উপস্থিত না থাকলেও জুমার নামাযের পর কিছু তারকা এফডিসি প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। ভোট গ্রহণের সময় শেষ দিকে চলে এলেও দেখা যায়নি চলচ্চিত্রের অনেক জনপ্রিয় তারকাদের। জানা গেছে, তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যার কারণে ভোট দিতে পারছেন না।

এরমধ্যে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি বর্তমান নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থান করছেন।

গত নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হলেও এবার ভোটের মাঠ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন অরুণা বিশ্বাস। দেশে না থাকার কারণে এবার ভোট দিতে আসতে পারছেন না।

৮ বছর পর এফডিসিতে ভোট দিতে এলেন কাজী মারুফ

এছাড়াও এদিন ভোট দিতে পারছেন না এমন তালিকায় রয়েছেন সুপারস্টার শাবনূও, চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, শাহরিয়ার নাজিম জয়, আজিজুল হাকিম, আনিসুর রহমান মিলন, রেসি, বিপাশা কবির, সোহানা সাবাসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুইটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ।

এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেল আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।

;

নতজানু হয়েও কোন পক্ষের সমর্থন পেলেন না জোভান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান পড়েছেন দারুণ ঝামেলায়। তার একটি নাটককে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একপক্ষের সমালোচনায় অবশেষে নতজানু হয়ে ভিডিও বার্তা দিলেন তিনি। তাতেও সেই পক্ষের মন গলাতে পারলেন না। উল্টো তারা জোভানের বাকী নাটকগুলোকেও বয়কটের সুর তুলছে!

ঝামেলা এখানেই শেষ নয়। জোভান নতজানু হয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় আরেকপক্ষ তাকে দারুণভাবে করছেন সমালোচনা। এই পক্ষে আবার রয়েছেন তারই সহকর্মীরা। তারা জোভানের সাহস ও শিনদাঁড়ার শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গেল ঈদুল ফিতরে প্রচারিত জোভানের নাটক ‘রূপান্তর’ নিয়ে। রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এই নাটক প্রচারের পরই এটি নিয়ে অন্তর্জালে ফুঁসে ওঠে একাংশ দর্শক। নিরুপায় হয়ে নাটকটি ইউটিউব থেকেও নামিয়ে ফেলা হয়।

 ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্যে সামিরা খান মাহি ও জোভান

কিন্তু রেহাই মেলেনি তাতেও। অগত্যা অভিনেতা জোভান নিজেই গা ঢাকা দেন, বন্ধ করে রাখেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল। অবশেষে আজ ১৯ এপ্রিল ভোর রাতে দেখা দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হলেন। যেখানে আকুতিভরা কণ্ঠে ক্ষমা চেয়েছেন দর্শকের কাছে।

আতঙ্ক আর অসহায়ত্বে ভরা চাহনিতে জোভান বলেন, ‘এই ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক এসেছে। প্রথম দিন থেকেই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এই ঈদটা আমার খুব সুন্দর ঈদ হতে পারতো আপনাদের ভালোবাসায়, সাপোর্টে। কিন্তু সেটা হয়নি। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমি কিন্তু একদমই ভালো নেই।’

‘রূপান্তর’ নাটকের প্রসঙ্গে জোভানের জবাবদিহি এরকম, “রূপান্তর’ নাটককে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা একদমই অপ্রত্যাশিত। এই নাটকের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমি নিজেও একটা মুসলিম পরিবারের ছেলে। আমি জানি, ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করি, আল্লাহকে শ্রদ্ধা করি। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা কোনও কিছুকে নরমালাইজ করা বা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করিনি। কেবল একটি চরিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটার মাধ্যমে এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”

ফারহান আহমেদ জোভান

সবশেষে অনুরোধের সুরে জোভান বলেছেন, ‘দীর্ঘ এগারো বছর যাবত নাটক করছি। আজকে আমার যে অবস্থান, এর পেছনে আমার একার নয়, অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা ও সাপোর্ট ছিল। আমার কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো দর্শককে একটু বিনোদন দেওয়া, সেজন্যই এত কষ্ট। এরপর থেকে আরেকটু বেশি সচেতন থাকবো চরিত্র বাছাই করতে। যাতে তাদের মনঃক্ষুণ্ণ না হয়, কষ্ট না পায়। আমার যে কাজগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে, তার চেয়েও ভালো কাজ উপহার দেবো। শুধু একটাই অনুরোধ, আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

যদিও জোভানের ভিডিও বার্তার কমেন্ট বক্স দেখলে আঁচ করা যায়, তার এই আর্তনাদ গলাতে পারছে না নেটিজেনদের মন। গণহারে তার নাটক বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে তারা। বিপরীতে অনেকেই জোভানের এই পরাজিত কণ্ঠ ও মুখ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলছেন, প্রকৃত শিল্পী কখনোই এতোটা নতজানু হয় না।

উল্লেখ্য, নীহার আহমেদের চিত্রনাট্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। যার ফলে তিনি জানতেই পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে। বড় হয়ে হয়েছেন চিত্রকর। পেয়েছেন খ্যাতিও। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালী তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় চিত্রকরকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোন জনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।

ফারহান আহমেদ জোভান

গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে। রাতে বেশ কিছু দর্শকের পক্ষ থেকে আপত্তি পেয়ে সেটি ১৬ এপ্রিল সকালে তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। একই নাটক ডাউনলোড করে অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করছে সমালোচনাকারীদের একটা বড় অংশ। তারাই আবার এমন নাটক নির্মাণ ও প্রচারণার প্রতিবাদ করছেন! এমনকি নির্মাতা-শিল্পীদের হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। যা নিয়ে আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।

;

আগামী মাসেই সোহেল-নীলা জুটির ‘শ্যামাকাব্য’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।

;

ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন অশ্লিল যুগের নায়ক মেহেদি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।

কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’

তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।

চিত্রনায়ক মেহেদি

জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।

চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।

;