মান্নান হীরা স্মরণ উৎসব
১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মান্নান হীরা স্মরণ উৎসব। সদ্য প্রয়াত মান্নান হীরা’র সৃষ্টি ও কর্ম স্মরণ করে আরণ্যক নাট্যদল ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালায় এই স্মরণ উৎসব আয়োজন করেছে।
উৎসবে মান্নান হীরা রচিত দর্শকনন্দিত মঞ্চনাটক ‘ময়ূর সিংহাসন’ ও ৫টি পথনাটকের মঞ্চায়ন হবে। উৎসবে মান্নান হীরার নাটক নিয়ে একটি সেমিনারেরও আয়োজন রয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় নাট্যশালার চিলেকোঠায় উৎসব উদ্বোধন করবেন নাট্যজন আতাউর রহমান ও নাসিরউদ্দিন ইউসুফ।
এরপর সকাল ১১টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে মান্নান হীরা’র নাটক নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন ড. রতন সিদ্দিকী। সন্ধ্যা ৭টা জাতীয় নাট্যশালায় দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শিত হবে মান্নান হীরা রচিত নাটক ‘ময়ূর সিংহাসন’। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শাহ আলম দুলাল।
১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চের পাশে খোলা চত্বরে মান্নান হীরা রচিত ৫টি পথনাটকের প্রদর্শনী হবে। পথনাটকগুলো হলো- আরণ্যক নাট্যদলের ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ ও ‘ঘুমের মানুষ’; সুবচন নাট্য সংসদের ‘বৌ’; উৎস নাট্যদলের ‘ইঁদারা’ ও থিয়েটার অঙ্গনের ‘ফুলেশ্বরীর কাব্যগাঁথা’।”
গত ২৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হন নাট্যকার মান্নান হীরা। সিরাজগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
মান্নান হীরা ছিলেন দেশের অন্যতম নাট্যকার। পাশাপাশি তিনি ছিলেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। ২০০৬ সালে তিনি নাটক শ্রেণীতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। মান্না হীরা পথ নাটকের আন্দলনের সাথে যুক্ত আছেন দীর্ঘ দিন ধরে। তিনি ছিলেন পথ নাটক পরিষদের সভাপতি ও আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য। তিনি প্রায় ১৫ টি মঞ্চনাটক লিখেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে আছে- লাল জমিন, ভাগের মানুষ, ময়ূর সিংহাসন, সাদা-কালো ইত্যাদি। এছাড়া তিনি অসংখ্য পথনাটক লিখেছেন।
২০১৪ সালে তিনি সরকারের অনুদানে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ তৈরি করেন। এটি তার পরিচালিত প্রথম পূণ্য দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।