বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। আদর করে বাড়ির সকলে তাকে ডাকেন বেবো বলে। কিন্তু জানেন কী ৪০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর নাম সিদ্ধিমা রেখেছিলেন তার দাদা প্রখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুর।
১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্ম কারিনা কাপুর খানের। গণপতি উত্সবের সময় জন্মেছিলেন রণধীর-ববিতার ছোট মেয়ে। আর কারিনার জন্মের মাত্র ৬ দিন আগেই জন্ম, নীতু কাপুর ও ঋষি কাপুরের কন্যা ঋদ্ধিমার। সেই সময় রাজ কাপুর ঋদ্ধি ও সিদ্ধির (গণপতির দুই স্ত্রী) নাম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দুই নাতনির নাম রেখেছিলেন ঋদ্ধিমা ও সিদ্ধিমা।
নীতু কাপুর শ্বশুরের ইচ্ছা মেনে মেয়ের এই নামে মঞ্জুরি দেন। তার প্রথম সন্তান অর্থাৎ রণবীর কাপুরের দিদির নাম ঋদ্ধিমা সাহানি কাপুর।
কিন্তু বাড়ির বড় বৌ ববিতার পছন্দ ছিলো না সিদ্ধিমা নামটি। তাই তিনি এই নাম পাল্টে রাখেন কারিনা।
জানা যায়, কারিনার জন্মের আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় লিও টলস্টয়ের লেখা বই ‘আন্না কারেনিনা’ পড়ছিলেন ববিতা। সেই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ছোট মেয়ের নাম তিনি রাখেন কারিনা।
নতুন কমিটির ওপর নাখোশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনের প্রধান কমিশনার
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করাই চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির মূল লক্ষ্য। কিন্তু এই অলাভজনক সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে বহু জলঘোলা আর কাদা-ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটছে।
যদিও এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ, ফল ঘোষণা-সবই ছিল শান্তিপূর্ণ। ঝামেলা শুরু হয় গত মঙ্গলবার, শপথ অনুষ্ঠানের দিন। এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত এই শপথে নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ পড়িয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, যে কাজ তার করার কথা ছিল না। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী শপথ পড়ানোর কথা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা খোরশেদ আলম খসরু।
উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও শপথ পড়াতে ডাকা হয়নি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। কাজী হায়াৎ যখন শপথ পড়াচ্ছিলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়ে দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন খসরু। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন তিনি।
খসরু বলেন, ‘শপথের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমাকে ডাকেনি। এটা সংগঠনগুলোর একটি নিয়ম, যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি শপথবাক্য পাঠ করান। সেখানে আমি থাকা অবস্থায় যখন দেখলাম, তারা আমাকে কিছু বলছে না, ডাকছে না। যখন কাজী হায়াৎ সাহেবের নাম ঘোষণা দিল, তখন আমি চলে এলাম, কিছুটা অপমানিত বোধ করে চলে এলাম। আমার মেয়াদকাল ছিল। কাজী হায়াতের কি মেয়াদ আছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা সংকীর্ণ মনমানসিকতার পরিচয় ছাড়া কিছুই নয়। হয়তো ইশারা-ইঙ্গিতে হয়েছে। কারণ, আগের দিনই সভাপতি বলেছে, শপথ আমিই পড়াব। তারপর সেখান থেকে সরে আসছে। ওনার কথামতো আমি উপস্থিত ছিলাম। এটা তো নিয়ম। নির্বাচন কমিশন অপারগতা প্রকাশ করলে আগের মেয়াদের সভাপতি দিয়ে পড়ানোর কথা। তখন ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব পড়াতেন। এটাই নীতি। কিন্তু তারা যা খুশি তা-ই করল।’
এ সময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়া প্রসঙ্গে এই প্রযোজকনেতা বলেন, ‘নির্বাচিত সব সদস্যরা কীভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাল? এটা সম্পূর্ণই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটা হওয়া উচিত ছিল না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অবশ্যই ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিল।’
আজীবনের জন্য বয়কট জয় চৌধুরী, আরও যে সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
চলচ্চিত্র সমিতির শপথের দিন এফডিসি প্রাঙ্গণে একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন শিল্পীরা। হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এই ঘটনা নিয়ে বিনোদন অঙ্গনে চলছে তোলপাড়। সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর সংবাদ সম্মেলন করে সবার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান জয় চৌধুরী। যদিও ক্ষমা চাইতে এসেও সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়ান তিনি।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকেরা। পাশাপাশি প্রতিবছর ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, শিল্পী সমিতি যদি তাকে কোনো কার্যক্রমে রাখে, আমরা শিল্পী সমিতিকেও বয়কট করব। জয় চৌধুরীকে নিয়ে কোনো পরিচালক-প্রযোজক সিনেমা বানান, সেটার প্রচার পাবেন না।
পাশাপাশি চলচ্চিত্রের এতগুলো মানুষ থাকা সত্ত্বেও জয় চৌধুরীকে থামাতে পারলেন না, তার মানে তারা ব্যর্থ। এ কারণে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করা হবে। আমরা এটা প্রত্যেক বছর পালন করবই। এমনকি ওই দিন কোনো সিনেমার মুক্তির দিন থাকলেও আমরা প্রচার করব না।’
শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তসহ অন্যরা এক মাসের জন্য বহিষ্কার থাকবেন। এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিনোদন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিরাও। সাংবাদিকেরা বলেন, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। অন্যদের দায়দায়িত্ব নিচ্ছেন। সে কারণেই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের এই সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই হামলার মূলহোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টররাও হামলায় অংশ নেন।
‘অ্যানিম্যাল’ থেকে ‘রাম’ হয়ে ওঠার জোর প্রস্তুতি রণবীরের!
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
অ্যানিম্যালের পর সোজা রামায়ণ। রাম হয়ে ওঠার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন রণবীর কাপুর। নীতেশ তিওয়ারির এই ম্যাগনাম ওপাসের জন্য ইতিমধ্যেই শরীর চর্চা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আর শরীর, চেহারায় সেই পরিবর্তন আনার জন্য কসরত করছেন রণবীর। তার চেহারা পরিবর্তনের নিয়মিত আপডেট সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে থাকেন অভিনেতার ট্রেনার।
সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার শিভোহাম রণবীর কাপুরের শরীর চর্চার একাধিক ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যায়, অ্যানিম্যাল ছবিতে তাঁর লুক থেকে রামায়ণের রাম হওয়ার জন্য ঠিক কতটা পরিবর্তন আনছেন বা এনেছেন রণবীর কাপুর।
শিভোহাম রণবীর রামায়ণ ছবির জন্য ট্রেনিং শুরুর আগে কেমন ছিলেন, আর এখন কেমন আছেন সেটার ছবি তুলে পোস্ট করেন। তিনি এই ছবিগুলো পোস্ট করে লেখেন 'গত ৩ বছর ধরে কঠিন পরিশ্রমের ফলাফল। জীবনে কোনও কিছুই শর্টকাট পদ্ধতিতে পাওয়া যায় না। সঠিক প্ল্যান প্রয়োজন শেষ লক্ষ্যটা পাওয়ার জন্য।'
একই সঙ্গে তিনি লেখেন, 'যদি তোমার ইচ্ছে, নিয়মানুবর্তিতা থাকে এবং লক্ষ্য পূরণ করবে বলে ঠিক করে নেন তাহলে সফল হবেনই। এই সফরটা খুব সুন্দর। এবং রণবীর কাপুর তোমাকে শুভেচ্ছা জানাই তোমার আগামী ব্লকবাস্টারের জন্য।'
রামায়ণ ছবিটির ইতিমধ্যেই শ্যুটিং শুরু হয়ে গেছে। এই ছবিতে রামের ভূমিকায় থাকবেন রণবীর কাপুর, সীতা হয়েছেন সাই পল্লবী। লারা দত্ত কৈকেয়ী এবং অরুণ গোভিল দশরথের চরিত্রে অভিনয় করবেন। এছাড়া শোনা যাচ্ছে সানি দেওল হনুমান এবং বিজয় সেতুপতি বিভূষণের চরিত্রে থাকবেন।
একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দী সুইফট-ট্র্যাভিস ও গিগি-ব্র্যাডলি
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
হলিউডের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী টেইলর সুইফট পেশাজীবনে রয়েছেন সফলতার চূড়ায়। বেশ ভালো যাচ্ছে তার ব্যক্তিজীবনও। ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়ায় তাদের একসঙ্গে দেখা যায়।
তবে অবাক করা ব্যাপার, তাদের সঙ্গে আরেক তারকা যুগলকে দেখা যায়। বিখ্যাত মডেল গিগি হাদিদ এবং তার বন্ধু ব্র্যাডলি কুপার জুটিও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
কারমেল-বাই-দ্যা-সী তে এই ৪ জন জুটি একত্রে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। সুইফট এবং ট্র্যাভিস তাদের সম্পর্কের ব্যাপার প্রকাশ্যে এনেছেন। তবে গিগি-ব্র্যাডলি এখনও এই ব্যাপারে গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন। তারা সম্পর্কের ব্যাপারটি স্বীকার না করলেও তাদের এভাবে একত্রে দেখা যাওয়ায় সবার মনে সন্দেহ আরও গভীর হয়।
প্রিয় তারকাকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। তাই তাদের ব্যক্তিজীবনের সব তথ্যও জানতে চায় ভক্তরা। তাদের এই ডাবল ডেট নেটিজেনদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
এই ডাবল ডেটের গুঞ্জন আরো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যখন ট্র্যাভিস কেলসের মা ডোনা কেলসের থেকে এই ব্যাপারে আভাস পাওয়া যায়। ডোনা তার লাস ভেগাস সফরের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলেন। সে সময় তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে ট্র্যাভিস তাকে একটি ছবি পাঠিয়েছেন। সেখানে ট্র্যাভিসের সাথে সুইফট ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন গিগি হাদিদ এবং ব্র্যাডলি কুপার।
কারমেল-বাই-দ্য-সী এর রেস্তোরাঁয় থাকা জনগণও এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, সুইফট আর ট্র্যাভিসকে তারা একত্রে খাবার খেতে দেখেছেন।