করোনার সংক্রমনের পর গত বছরের মার্চ থেকেই অন্য সবার মতো ঘরবন্দি ছিলেন দেশের প্রখ্যাত ব্যান্ডসংগীতশিল্পী মাহফুজ আনাম জেমস।
তবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত অনুষ্ঠান করার অনুমতি মিললেও করোনার ঝুঁকি থাকায় খুব বেশি কনসার্টে অংশ নেননি তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রায় এক বছর পর গত মাস থেকে তিনি কনসার্টে অংশ নেওয়া শুরু করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ মার্চ) গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে একটি বিশেষ কনসার্টে অংশ নেবেন জেমস ও তার দল নগরবাউল।
কনসার্টটি আয়োজন করেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ কনসার্টটির সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন উপস্থাপক ও নির্মাতা আনজাম মাসুদ।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে বিকেল ৩টায় সাংস্কৃতিক পর্বে জেমস অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী সালমাও গান গাইবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে নগরবাউলের লাইনআপে রয়েছেন ভোকাল ও গিটারে জেমস, ড্রামসে আহসান এলাহি ফান্টি, গিটারে সুলতান রায়হান খান, বেস গিটারে তালুকদার সাব্বির, কিবোর্ডে খোকন চক্রবর্তী এবং ম্যানেজার রুবাইয়াত ঠাকুর রবিন।
মেধাবী অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ছোটপর্দার ‘কুইন’ তকমা পেয়েছিলেন অপূর্ব, আফরান নিশোসহ জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে রোমান্টিক গল্পে অভিনয় করে। তবে সর্বশেষ কয়েক বছর মেহজাবীন রোমান্টিক গল্প এড়িয়ে চলেছেন। তাকে চ্যালেঞ্জিং সব চরিত্রে ভিন্ন ধরনের গল্পে দেখা গেছে। সেসব কাজও দর্শক পছন্দ করেছে। তবে তারা সবসময় চেয়েছে মেহজাবীন যেন আবারও রোমান্টিক নাটকে ফিরে আসেন।
বিশেষ করে সর্বশেষ কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা রীতিমতো এক দফা এক দাবি জানায় যে তাদের প্রিয় তারকা রোমান্টিক না করলে তারা মেহজাবীনের ফ্যানপেজ ত্যাগ করবে।
অবশেষে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছেন মেহজাবীন। তিনি অচিরেই হাজির হবেন একটি রোমান্টিক নাটকে।
প্রবীর রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মেহজাবীন-জোভান জুটির নাটক ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ২০১৮ সালের জোভান-মেহজাবীনকে জুটি করে প্রবীর বানিয়েছিলেন নাটকটি। এরপর আরও দুটি নাটক বানান একই নামে। যেন প্রবীর গড়ে তোলেন নাটকের একটি সফল ট্রায়ো! তবে মাঝে লম্বা সময় এই নাম নিয়ে সামনে আসতে দেখা যায়নি তাদের। এরমধ্যে মেহজাবীন চৌধুরীও সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হলেন।
আশার কথা, লম্বা বিরতির পর ফের এক হলো এই সফল ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ট্রায়ো। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি ঘোষণা দিয়েছে এই ত্রয়ীকে এক করার। নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পুও। ফের এক হতে পেরে বেশ খুশি প্রবীর-মেহজাবীন-জোভান।
জোভান বলেন, ‘অনেক দিন পর এই ট্রায়ো কাজ করবে। ঘোষণার পর থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমাদের কাছে দর্শকদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে।’
এদিকে মেহজাবীন তাদের এই ট্রায়ো প্রজেক্ট প্রসঙ্গে অনেকটাই বিস্তারিত ও স্মৃতিকাতর। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ২০১৮ সালে শুট করা হয়েছিল। এবং এটি ছিল পরিচালক প্রবীর রায় চৌধুরীর সাথে আমার প্রথম কাজ। এই নাটকটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, বিশেষ করে ‘অভিযোগ’ গানের জন্য। পরে এটি ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজে পরিণত হয়েছিল। তাই এটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল।’’
এরপর মাঝে লম্বা সময়। এরমধ্যে নাটক থেকেও অনেকটা দূরে সরেছেন মেহজাবীন। তাহলে ফের এক হলো কেমন করে এই ট্রায়ো? জবাবে মেহজাবীন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে প্রবীর রায় চৌধুরী বলছিলেন যে, আমাদের সেই ত্রয়ী মিলে আবার কিছু করা উচিত। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০২৫ সালের ভালোবাসা দিবসে আবারও একসঙ্গে কাজ করার। আমি আশা করি ২০১৮ এবং পরবর্তী সিরিজের সময় যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছিলাম, এবারও সমান ভালোবাসা পাবো।’
নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী জানান, এবারের গল্পটি আর ১, ২ বা ৩ নম্বর পরিচয়ে থাকছে না। এবারের গল্পটির নাম ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’।
প্রবীর বলেন, ‘‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজের শেষ গল্প নির্মাণের প্রায় ৪ বছর পর আবারও আমরা এক হচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের ভ্যালেন্টাইন ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি)। এবার একেবারে নতুন একটা গল্প। মূলত এই গল্পের অভাবেই মাঝে আমাদের লম্বা সময় গ্যাপ। অবশেষে, এই গল্পটি নিয়ে আমরা সবাই সম্মত হয়েছি। আশা করি, এই কাজটি করে দর্শকদের যে উন্মাদনা রয়েছে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ফ্র্যাঞ্জাইজির প্রতি, তা পূরণ করবে।’’
নির্মাতা জানান, নাটকটির শুটিং হবে মূলত দুই ভাগে। প্রথম অংশ ডিসেম্বরে, পরের অংশ জানুয়ারি। এদিকে আগাম অনুমান করা যাচ্ছে, আসন্ন ভ্যালেন্টাইন ডে’র সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রজেক্ট হতে যাচ্ছে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’।
১৫ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে বহু আলোচিত ছবি ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’। আর ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের মুখে এই ছবি মুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নির্মাতা একতা কাপুরকে। অনেকের অভিযোগ, এটি একটি প্রোপাগান্ডা ছবি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন একতা কাপুর।
গতকাল মুম্বাইয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির ট্রেলার। একতা কাপুর প্রযোজিত এই ছবির মূল চরিত্রে আছেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ দিয়ে তুমুল প্রশংসা কুড়ানো অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির মাধ্যমে ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সবরমতী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। গোধরা স্টেশনের কাছে ভোরবেলায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তবে এটা নিছকই কোনো দুর্ঘটনা নয়, এর পেছনে ছিল এক গভীর চক্রান্ত। একতা জানান, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির মাধ্যমে সেই সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
নির্বাচনের মুখে এই ছবি মুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের মতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ছবিটি নির্বাচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে। তবে এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন একতা।
তিনি বলেন, ‘এ ছবির মুক্তির দিন অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। অনেক পরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। আমরা নিশ্চয় গণনা করে জানতে পারিনি নির্বাচন কবে হবে। তাই নির্বাচনের সঙ্গে এ ছবির কোনো লেনদেন নেই। এ ছবিকে ঘিরে ভুল তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।’
একতা কাপুর আরও বলেন, তিনি সব ধর্মকে সম্মান করেন। সিনেমার মাধ্যমে কোনো ধর্মের মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে চাননি। প্রকৃত দোষীদের মুখোশ খুলে দিতে চেয়েছেন।
একতার সুরেই কথা বলেছেন ছবির নায়ক বিক্রান্ত ম্যাসি। তাঁর ভাষ্যে, ‘আপনারা নির্বাচনের সঙ্গে ছবিকে মেলাবেন না। আমাদের দেশে (ভারতে) নির্বাচন আসে–যায়।’ তবে অভিনেতা স্বীকার করেন, এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি একের পর এক হুমকি পাচ্ছেন।
‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবিটি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে একতা বলেন, ‘না। আমরা এ ছবির জন্য মোদি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা চাইনি।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে এ সিনেমা দেখাতে চান বলেও জানান বলিউডের এই প্রভাবশালী প্রযোজক।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালের ওপর প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র জমির লিজ বাতিল করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে দীর্ঘমেয়াদি বন্দবস্ত দেওয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন রামচন্দ্রপুর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫ এবং সিটি-১১৬৬৭ নম্বর দাগের ০.১৭০০ একর ও ১১৪১২ নম্বর দাগের ০.৩৪২০ একর মোট ০.৫১২০ (শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য) একর জমি সিএস হতে আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ শ্রেণি থাকায় উক্ত বন্দোবস্ত বাতিল করা হলো।’
মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে ‘সুরের ধারা’ গড়ে তোলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বিগত সরকারের আমলে ‘সুরের ধারা’র স্কুল পরিচালনার জন্য মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তরুণ প্রজন্মের ব্যস্ত সঙ্গীতশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া। প্রতিনিয়ত স্টেজ শো, টিভি অনুষ্ঠান আর রেকর্ডিং করছেন। নিয়মিত তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আসছে মিউজিক ভিডিও। ‘ঢাকাতে জ্যাম’-এ দারুণ সাড়া ফেলার পর আরেকটি নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
মাসিদ রণ: সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি আজকাল খুব প্রতিবাদী...
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: একে তো ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো না, এরমধ্যে একে অন্যের পেছনে কথা বলে। এসব সহ্য করা যায়, বলেন? যার কাজ নেই সে কাজ খুঁজবে। তাই বলে আরেক জনের কাজ ছিনিয়ে নিতে যাবে কেন? এত দিন চুপ থেকেছি, এখন থেকে আর চুপ থাকব না। দরকার পড়লে এমন মানুষের মুখোশ খুলে দেব।
মাসিদ রণ: অডিও কম্পানিগুলো গানে লগ্নি কমিয়ে দিয়েছে। এর কী কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: আগে যেভাবে গানে রেভিনিউ আসত এখন সেভাবে আসে না। দর্শক বেশিরভাগ নাটকের দিকে ঝুঁকেছে বলে মনে হচ্ছে। গান তো মাত্র তিন-চার মিনিটের কনটেন্ট। ফলে বিজ্ঞাপন পেতেও সমস্যা হয়। অন্যদিকে একটা নাটক ৩৫ থেকে ৭৫ মিনিট পর্যন্তও হয়। সেখানে বিজ্ঞাপন দু-তিনবার মাস্ট আসে। একটা ভালো মানের মিউজিক ভিডিও বানাতে কিন্তু একটা নাটকের মতোই খরচ হয়। তাই লগ্নিকারকরা এখন গান থেকে নাটকের দিকেই যাচ্ছেন। এতে অবশ্য সংগীতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবস্থা দিন দিন খারাপই হবে।
মাসিদ রণ: সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় শো করলেন। বিদেশে শোয়ের নতুন কোন খবর আছে কি?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: ডিসেম্বরে দুটি দেশের শো চূড়ান্ত। তবে এখন দেশের নাম জানাতে চাই না। ওই যে প্রথমে বললাম, আড়ালে কেউ কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করে। দেশের শো তো আছেই, বিদেশের শো হলে এই ধরনের মানুষ পাগল হয়ে যায়। একজনকে হটিয়ে আরেকজন যাওয়ার চেষ্টা করে।
মাসিদ রণ: নতুন মিউজিক ভিডিও ‘স্বপ্নপুর’ নিয়ে জানতে চাই...
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: গতকাল মিউজিক ভিডিওটি আমার ইউটিউব চ্যানেল ‘কর্ণিয়া’তে প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি সফট মেলোডিয়াস গান। এ ধরনের গান সাধারনত আমার কণ্ঠে কেউ শোনেন না। কারণ দর্শক শ্রোতারা আমার কণ্ঠে এনার্জিটিক গানই বেশি শুনতে পছন্দ করেন। তাছাড়া আমি যেহেতু স্টেজ শো বেইজড শিল্পী, তাই নিজেও চেষ্টা করি একটু রিদমিক গান করতে। যাতে কনসার্টের দর্শক আনন্দ করতে পারে আমার সাথে। তবে শ্রোতা হিসেবে আমার সফট গান খুব পছন্দ। সেই জায়গা থেকে এই গানটির সুর-সঙ্গীত আমার খুব ভালো লেগেছে। গানটির কথা লিখেছেন জনপ্রিয় গীতিকার শাহান কবন্ধ। সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমার খুব প্রিয় পার্থ মজুমদার দাদা। আর মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন নাসিমুল মুরসালিন স্বাক্ষর। তার সঙ্গে এর আগেও আমি বেশকিছু মিউজিক ভিডিওর কাজ করেছি। তার নির্মাণ এবং এডিটিং আমার পছন্দসই বলেই বার বার কাজ হচ্ছে। পোস্টার ডিজাইন করেছেন শাহেদ আহসান।
মাসিদ রণ: গানটি তৈরির পেছনের কোন গল্প আছে?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: সত্যি বলতে পেশাদার শিল্পী হিসেবে আমরা কতো গানই তো গাই। কিন্তু মনের মতো গান খুব কম পাই। অনেকদিন পর পর কিছু পাই যা আলাদাভাবে ভালো লাগে। এই গানটি তেমনই। গানটি করার ব্যাপারে বেশ আগেই প্রস্তাব পেয়েছিলাম। প্রথমবার এর কথা ও সুর শুনেই আমি ভেবেছিলাম এটি আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেই প্রকাশ করব। কিন্তু সে সময় আমার চ্যানেলটি ছিলো একেবারেই নতুন। তখন এমন একটি সফট মেলোডিয়াস গান প্রকাশ করা ঠিক হতো না। কারণ এ ধরনের গান মানুষের কাছে পৌঁছতে বেশ সময় লাগে। তাই শুরুর দিকে এমন কিছু গান আমার চ্যানেলে দিয়েছি যা সহজেই দর্শকের কাছে পৌঁছে যাবে। এখন আমার চ্যানেলে বেশ ভালোই সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তাই এই পর্যায়ে এসে গানটি প্রকাশ করা সিদ্ধান্ত নিই।
মাসিদ রণ: এ গানটির কোন বিশেষত্ব আছে?
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: এখন যে ধরনের গান বেশি হচ্ছে তার থেকে এই গানের সুর ও সঙ্গীতায়োজন আলাদা এটুকু বলতে পারি। কারণ, এখন বেশিরভাগ গানই হয় কমার্শিয়াল চিন্তা থেকে। কিন্তু এই গানটি আমি করেছি একেবারেই ভালোবাসার জায়গা থেকে। গানটির কথাগুলোর সঙ্গে দর্শক শ্রোতাদের অনেকের জীবনের মিল খুঁজে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। কথার সঙ্গে সুর আর সঙ্গীত যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। মিউজিক ভিডিওর শুটিং করেছি ৩০০ ফিটের ওইদিকে। যেহেতু ঠাণ্ডা মেজাজের তাই একদিন সন্ধ্যার পর একেবারে নিরিবিলি পরিবেশে শুট করার পরিকল্পনা করি। রাতের ওই নিরবতা দরকার ছিলো আমাদের।
জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া: গানটি কতো ভিউ হলো সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। কারণ এরমধ্যে কমার্শিয়াল কোন এলিমেন্ট নেই। মানুষকে সাময়িক বিনোদন দেওয়ার মতো কোন উপকরণও নেই গানটিতে। তবে আমার মানসিক প্রশান্তি এসেছে যে, এমন সুন্দর একটি গান আমার ঝুলিতে থাকলো। গানটি যে কেউ শুনলে বলবে আসলেই গানটি ভালো। যে সব শ্রোতারা জীবনকে গভীরভাবে ধারণ করেন, একটা স্পর্ষকাতর মন রয়েছে যাদের তারা গানটির সঙ্গে কানেক্ট করতে পারবেন। সেই সব মানুষের সংখ্যা যতোজনই হোক তাতেই আমি তৃপ্ত। দেখা যাক কি হয়।