ঈদে বঙ্গ নিয়ে আসছে সাহিত্য নির্ভর সাতটি অরিজিনাল টেলিফিল্ম



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমান্স থেকে কমেডি, রহস্য থেকে অ্যাকশন, এবং শিহরণ জাগানো দুর্দান্ত থ্রিলিং সব গল্প নিয়ে আসছে দেশের প্রথম ও বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২০’-এ প্রকাশিত সাতটি  জনপ্রিয় বইয়ের উপর ভিত্তি করে বঙ্গ নিয়ে আসছে বেজড অন বুকস (BoB) সিজন ওয়ান। যেখানে থাকছে সকল প্রজন্মের দর্শক উপযোগি ড্রামা, কমেডি, রোমান্স, অ্যাকশন, থ্রিলার ও প্যারানরমাল জনরার  সাতটি অরিজিনাল টেলিফিল্ম।

উইজার্ড অব ওজি, হ্যারি পটার, দ্য গডফাদার ও লর্ড অব রিংস এর মতো সাহিত্য থেকে সৃষ্ট কন্টেন্টগুলো ‘বেজড অন বুকস’ প্রজেক্ট এর জন্য অনুপ্রেরণা স্বরূপ। তেমনি বাংলা সাহিত্যের সাথে পর্দার এক চমৎকার সমন্বয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়েই পবিত্র ঈদুল ফিতরে বঙ্গ মুক্তি দিতে চলেছে বিকাশ নিবেদিত ‘বেজড অন বুকস’ প্রজেক্টের সাতটি টেলিফিল্ম ।

বইমেলা থেকে নির্বাচিত সেরা সাতটি বইয়ের মধ্যে রয়েছে শাহাদ্দুজামানের রচনাসমগ্রের ‘উবার ও টুকরো রোদের মতো খাম’, জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন রচিত ‘মরণোত্তম’, রাহিতুল ইসলামের ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, শীবাব্রত বর্মণ রচিত ‘সময়ের গল্প, ২০১৩’, জনপ্রিয় থ্রিলার গল্প লেখক মাহবুব মোর্শেদ রচিত ‘নোভা স্কশিয়া’, জোবায়েদ আহসানের ‘হাকুল্লা’ ও মারুফ রেহমানের অতিপ্রাকৃত ‘লাবনী’।

বাছাইকৃত সাহিত্যগুলোর গল্প নিয়ে টেলিফিল্মগুলোর পরিচালনায় রয়েছেন দেশের প্রখ্যাত এবং গুণী সব নাট্যপরিচালক। বেজড অন বুকসের সাতটি টেলিফিল্ম এর মধ্যে ‘উবার’ ও ‘টুকরো রোদের মতো খাম’ টেলিফিল্মটির পরিচালনায় আছেন নূর ইমরান মিঠু, গুণী পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার পরিচালনা করেছেন ‘মরণোত্তম’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’ টেলিফিল্মটির পরিচালনায় আছেন ভিকি জাহেদ, ‘আলিবাবা ও চালিচার’ পরিচালনা করেছেন অনিমেষ আইচ, নোভা স্কশিয়া গল্প নির্ভর টেলিফিল্ম ‘মিস্টার কে’ পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক, নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ পরিচালনা করেছেন ‘হাকুল্লা’ ও ‘লাবনী’ টেলিফিল্মটির পরিচালনায় ছিলেন গোলাম হায়দার কিসলু।

মুক্তির জন্য অপেক্ষায় থাকা বেজড অন বুকসের এই সাতটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন দেশের খ্যাতিমান সব তারকা শিল্পীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, আজমেরী হক বাঁধন, পার্থ বড়ুয়া, ইশরাত চৈতি, মুমতাহিনা টয়া, মনোজ প্রামানিক ও আশনা হাবিব ভাবনা সহ আরো অনেকে। বিকাশ নিবেদিত বেজড অন বুকস প্রজেক্টের টেলিফিল্মগুলো বঙ্গ অ্যাপ ও ওয়েবের পাশাপাশি এই ঈদে একুশে টিভি, দীপ্ত টিভি, গাজী টিভি ও চ্যানেল নাইনের পর্দায়ও দেখতে পাবেন দর্শকরা।

বঙ্গ বব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বঙ্গ’র ডেপুটি চিফ কনটেন্ট এডিটর, জাহিদ আহমেদ জানালেন আইডিয়াটি মূলত তার এবং বঙ্গ-এর চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমানের ‘ব্রেইনচাইল্ড’। তাঁরা দুইজনই একই উদ্দেশ্য নিয়ে বই মেলা থেকে কয়েক বছর ধরে বই সংগ্রহ করছেন। একদিন তাঁরা চিন্তা করলেন, সাহিত্য থেকে কনটেন্ট নির্মাণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা ভিন্ন কিছু করছি না কেন? কারণ এটা করা সম্ভব হলে, নতুন এবং সমসাময়িক লেখকরা যখন দেখবেন তাদের গল্প ভিন্নভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপিত হচ্ছে তখন তারা অনুপ্রাণিত হবেন আরও ভালো কাজ করার। বঙ্গ বব’র মধ্যদিয়ে সাহিত্য ও অডিও-ভিজ্যুয়াল মিডিয়াম- শুধুমাত্র এই দুটি মাধ্যমের মধ্যে একটি চীরস্থায়ী মেলবন্ধন রচিত হবার   পাশাপাশি দুটি মাধ্যমই সমৃদ্ধ হবে। বিনোদনের একটি নতুন ধারা হতে পারে বঙ্গ বব। বঙ্গ বব সিজন ওয়ানে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান ছাড়াও সমসাময়িক তরুণ লেখকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গ’র চিফ কন্টেন্ট অফিসার জনাব মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের গল্পগুলো আমাদের সাহিত্যে প্রতিফলিত হয়। আমাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিলো প্রথাগত ধারার বাইরে সাহিত্য নিয়ে কাজ করার। এটিই হবে সম্ভবত প্রথম সিরিজ আকারে কোনো সাহিত্যকর্ম। এটা আমাদের পথচলার প্রথম ধাপ এবং আমরা সামনে এ ধারা অব্যহত রাখবো। বঙ্গ বব সিজন ওয়ানে আমরা আমাদের সাথে বিকাশ-কে পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত, তারা এই প্রজেক্টে আস্থা রেখেছে।’

বেজড অন বুকস প্রজেক্ট প্রসঙ্গে বঙ্গ’র চিফ অপারেটিং অফিসার জনাব ফায়েজ তাহের বলেন ‘বঙ্গ ২০১৩ সাল থেকেই এরবাংলাদেশের ভিডিও স্ট্রিমিং জগতের পথ প্রদর্শক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করে এসেছে। আমরা আমাদের সংস্কৃতি সংরক্ষণে আমাদের ৭০, ৮০ ও ৯০ এর দশকের ছবি গুলোকেও ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজড করেছি বঙ্গ’র মাধ্যমে। পাশাপাশি আমাদের কন্টেন্টগুলোর ইংলিশ সাবটাইটেল করবার মধ্যদিয়ে সেগুলোকে গ্লোবাল কন্টেন্টে রুপান্তরিত করবার প্রক্রিয়াও শুরু করেছি আমরা। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গ বব-এর ধারণাটি যখন আমাদের কাছে উন্মুক্ত হয়, আমরা তা সাদরে গ্রহণ করেছি। বঙ্গ এখন এর সকল চ্যানেল মিলিয়ে ১৭৯টি দেশের ১৫ মিলিয়ন দর্শকের কাছে ছড়িয়ে আছে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো এই কন্টেন্টগুলোতে ইংরেজি সাবটাইটেল যুক্ত করায়, বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ভাষাভাষি দর্শকদের জন্যেও বাংলাদেশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি মেলে ধরা সহজ হবে’।

ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ এর অ্যান্ড্রয়েড ও iOS অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট (www.bongobd.com) থেকে বিকাশ নিবেদিত বঙ্গ বেজড অন বুকস টেলিফিল্মগুলো  উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।

   

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;

বিরতি ভেঙে ঈদের নাটকে ফের মেহজাবীন



বিনোদন ডেস্ক ,বার্তা২৪.কম
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা নাটক দুনিয়ায় অভিনেত্রীর তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন ২০০৯ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারজয়ী মেহজাবীন চৌধুরী। ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে বাঙালি দর্শকের মন জয় করেছেন তার অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। মডেলিংয়ের পাশাপাশি ছোটপর্দায় নাটক, বিজ্ঞাপন করে আসছেন তিনি। গত কয়েক বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে দর্শকের ঝোঁক বেড়েছে। মেহজাবিনকেও দেখা গেছে ডিজিটাল প্লাটফর্মের কাজ করতে। বিগত দুই বছর তার প্রায় সব কাজই ওয়েব সিরিজ। তুলনামূলকভাবে টিভি নাটকে গত দুই বছর তার তেমন কোনো কাজ দেখা যায়নি। এমনকি ঈদ-উল-ফিতরেও মেহজাবিনের কোনো নাটক আসেনি।

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে এই বছর ঈদে নাটক নিয়ে আসছেন মেহজাবিন। নাটকের নাম, গল্পের ধরন বা মেহজাবিনের সহশিল্পী হিসেবে কে থাকবেন তা এখনো অজানা। তবে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে এবার ঈদের নাটকে অভিনয় করবেন তিনি। নাটকের স্ক্রিপ্টের কাজ এখনো চলছে। প্রযোজনাও চলছে জোড়সোড়ে। কাজ শেষ হলেই শ্যুটিংয়ের কাজ শুরু হবে।   

অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক বছরের ওটিটিতে চমৎকার কাজ করেছেন মেহজাবীন। কাজলের দিনরাত্রি, রেডরাম, আরারাত, নীল জলের কাব্য, সাবরিনার মতো বাঘা বাঘা সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। সেখানে ভিন্ন ধারার বিভিন্ন চরিত্র নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন ভক্তরা তাকে সেরা অভিনেত্রী দাবি করে।  ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেহজাবিনের ‘অনন্যা’ নাটক প্রকাশ পায়। গল্প , অভিনয়, পরিচালনা- সবকিছুই ভক্তদের হৃদয় স্পর্শ করে। ঈদেও মেহজাবিনের নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন দর্শক। তাদের মনের আশা এবার পূরণ হতে চলেছে।


;