বিটিভির চলচ্চিত্র প্রিভিউ কমিটিতে দায়িত্ব পেলেন সুজাতা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সুজাতা আজিম

সুজাতা আজিম

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন এক দায়িত্ব এলো বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুজাতা আজিমের কাঁধে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে এমন চলচ্চিত্রগুলোর জন্য প্রিভিউ কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ৬ জুন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রুজিনা ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিটিভির চলচ্চিত্র প্রিভিউ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে অভিনেত্রী সুজাতা আজিমের নাম।

বিটিভির মহাপরিচালককে সভাপতি ও বিটিভির ঊর্ধ্বতন চলচ্চিত্র সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব করে ১২ সদস্যের এ তালিকায় আরও আছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখার উপসচিব, চলচ্চিত্র পরিচালক ও কাহিনিকার আবদুস সামাদ খোকন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ আলম সিকদার জয়, শেখ মুন্নি আক্তার, শেখ আওলাদ হোসেন রুহুল, মো. গিায়সউদ্দিন খান, উপস্থাপিকা ও নাট্যশিল্পী তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার, প্রডিউসার অ্যান্ড আর্ট ডিরেক্টর তাহমিনা তাবাসসুম রুপা।

সুজাতা আজিম

প্রজ্ঞাপনে কমিটির জন্য নীতিমালা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এ কমিটি বিটিভিতে প্রদর্শনের জন্য চলচ্চিত্র যাচাই বাছাই করে উপযোগিতা সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান করবে। কমপক্ষে সাতজন সদস্য উপস্থিত থাকলে কমিটির কোরাম পূর্ণ হবে বলে মনে করা হবে এবং চলচ্চিত্র প্রিভিউ কার্যক্রম চালানো যাবে।

এ কমিটিতে স্থান পাওয়া কোনো সদস্য বিটিভির জন্য বেসরকারি উদ্যোগে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অনুষ্ঠান নির্মাণে অংশ নিতে পারবেন না।

কোনো সদস্য পদ শূন্য হলে কমিটির সভাপতি নতুন সদস্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সভাপতি কোনো সভায় উপস্থিত না হতে পারলে তিনি তার মনোনীত একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করবেন। বিটিভির প্রিভিউ কক্ষে (প্রয়োজন অনুযায়ী) সভা/প্রিভিউ অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রে মাত্র ১২ বছর বয়সী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে তন্দ্রা মজুমদার নামের এক কিশোরী দর্শকের মন জয় করে নেন। পরিচালক সালাহউদ্দিন এই তন্দ্রা মজুমদারের নাম রাখেন সুজাতা। তবে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে ১৯৬৩ সালে সালাউদ্দিন পরিচালিত ‘ধারাপাত’র মাধ্যমে।

সুজাতা আজিম

১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অসংখ্য হিট চলচ্চিত্রের নায়িকা সুজাতা। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় দূরে ছিলেন বড় পর্দা থেকে। তবে ফের প্রাণের টানে ফিরেও এসেছেন অভিনয়ে। নায়িকা হিসেবে সুজাতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘রূপবান’, ‘ডাক বাবু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘অপরাজেয়’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘আলিবাবা’, ‘বেঈমান’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘প্রতিনিধি’ ইত্যাদি।

১৯৭৭ সালে সুজাতা নায়িকা হিসেবে সর্বশেষ রহিম নেওয়াজ পরিচালিত ‘রাতের কলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৮ সালে ‘অর্পণ’ সিনেমা পরিচালনা করে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সুজাতা। ছোট পর্দায়ও অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

   

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;

শেষ সময়টায় প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন খালিদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক দিন ধরেই গানের সঙ্গে ছিলেন না 'সরলতার প্রতিমা' খ্যাত খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে দূরে সরে যান, বেছে নেন প্রবাস জীবন।

আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ।

নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান চাইম ব্যান্ডের জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী। এদিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।

;