বক্স অফিস মাতানো দুই ছবি স্টার সিনেপ্লেক্সে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনায় সিনেমা হল বন্ধ থাকায় একের পর এক প্রস্ততি নিয়েও হলিউডের সিনেমা মুক্তি দিতে না পারায় এক বছর আগের তুলনায় গত বছর ৮০ শতাংশ কমেছে হলিউডের বক্স অফিসের আয়।

তবে আশা জাগানিয়া খবর হলো গত মে মাসে খুলেছে প্রেক্ষাগৃহগুলো। দর্শকও হলমুখী হয়েছেন। এরইমধ্যে মুক্তি পাওয়া কিছু ছবির বক্স অফিস রিপোর্টও আশাব্যঞ্জক।

গত ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেইড মি ডু ইট’। মুক্তির প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়েছে এই ছবি। প্রথম দিনেই এই ছবি আয় করে নিয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, ২৮ মে মুক্তি পায় ‘ক্রুয়েলা’। ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের এই ছবিটি এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় সাড়ে ১১২ মার্কিন মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য সুখবর হলো, বক্স অফিসে প্রাণ ফেরানো এ দু’টি ছবি মুক্তি পেয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সে।

দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেইড মি ডু ইট বলা হচ্ছে, হলিউডের সেরা দশ ভৌতিক ছবির একটি ‘দ্য কনজ্যুরিং’। ২০১৩ সালে প্রথম ছবি দিয়েই তুমুল আলোড়ন। তিন বছর পর দ্বিতীয় ছবিও কাঁপিয়ে তোলে দর্শকমহল। এরপর থেকে ‘কনজ্যুরিং’-এর নাম শুনলেই দর্শকদের হাড় হিম হয়ে আসে রীতিমত। ভৌতিক ছবির ভক্তরা মুখিয়ে থাকেন এ সিরিজের ছবির জন্য। তাই নতুন ছবি মুক্তির পর করোনা মহামারির মধ্যেও হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দর্শক।

গত ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেইড মি ডু ইট’। মুক্তির প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়েছে এই ছবি। প্রথম দিনেই এই ছবি আয় করে নিয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, আরও অনেক রেকর্ড গড়বে এ ছবি। নতুন এই ছবির গল্প, নির্মাণে রয়েছে দর্শকদের জন্য বিশেষ চমক।

মাইকেল কেভসের পরিচালনায় এ ছবির প্রযোজক জনপ্রিয় হরর চলচ্চিত্র নির্মাতা জেমস ওয়ান।

ইংল্যান্ডের রোড আইল্যান্ডে অবস্থিত একটি ফার্ম হাউসকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গল্প বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ১৯৭১ সালে বিচ্ছিন্ন ভূতুড়ে একটি ফার্ম হাউসে এক পরিবার ও অস্বাভাবিক কর্মকান্ড নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র হরর সিনেমাপ্রেমীদের কাছে অসামান্য আবেদন তৈরি করে।

সত্যিকার প্যারানরমাল কার্যকলাপের তদন্ত ও বিশ্বাসযোগ্যতা বর্তমান উন্নত দুনিয়ায় দেখা না গেলেও তখনকার খুব জনপ্রিয় একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচিত এটি। রজার এবং ক্যারোলিন পেরোন তাদের পাঁচ কন্যা- আন্দ্র্রে, ন্যান্সি, ক্রিস্টিন, সিন্ডি ও এপ্রিল এবং তাদের কুকুর স্যাডিকে নিয়ে এসেছিলেন এই বাড়িতে। সেখানেই ঘটে যত অঘটন। সেই ফার্ম হাউসে ঘটে যাওয়া প্যারানরমাল ঘটনাগুলো উন্মোচনে আসেন এড ওয়ারেন ও লরেন ওয়ারেন। অতিপ্রাকৃতিক, বিপজ্জনক ও বিতর্কিত সব প্যারানরমাল ঘটনা তদন্তের শতাধিক ঘটনার সাক্ষী তারা।

 

যদিও এখন পর্যন্ত সেই কেস ফাইল সবার জন্য উন্মোচিত করা হয়নি। ‘পেরোন ফ্যামিলি হান্টি’ নামক এই কেস ফাইল পরিচালক জেমস ওয়ানকে খুবই অভিভূত করেছিল। তাই তো তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এ ঘটনা সিনেমার পর্দায় আনবেন। অনেক চেষ্টার পর ২০১৩ সালে প্যাট্রিক উইলসন ও ভেরা ফার্মিগোকে মূল চরিত্র করে ‘দ্য কনজুরিং’ নির্মাণ করেন। এটি হরর সিনেমার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনন্য এক গল্প হিসেবে জায়গা করে নেয়। জন্ম নেয় বিখ্যাত কনজুরিং ইউনিভার্স, যাকে অনেকেই বলেন হরর সিনেমাজগতের এমসিইউ ইউনিভার্স। একের পর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জিতে নিয়েছে পুরস্কার। প্রথম সিনেমায় জেমস ওয়ান দর্শককে কৌতূহলী করার জন্য অনেক উপাদান দিয়েছেন, অনেক প্রশ্নের উত্তর রেখেছেন অসমাপ্ত। গল্পের বাঁকে বাঁকে সৃষ্টি করেছেন নানা ধোঁয়াশা, যার উত্তর মিলেছে ২০১৬ সালে পরবর্তী সিনেমায়। এবারের ছবি সম্পর্কে পরিচালক রাখঢাক না রেখেই বলেন কনজ্যুরিং সিরিজের সবচাইতে ভয়ঙ্কর ছবি এটি। তার কথা যে অমূলক নয় সে প্রমাণ মিলছে দর্শকদের সাড়া দেখে।

ক্রুয়েলা ক্রেইগ গিলেস্পি পরিচালিত ছবিটি ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে মুক্তি পায়নি। ছবিটি নির্মিত হয়েছে ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া ডডি স্মিথের উপন্যাস অবলম্বনে ‘ওয়ান হান্ড্রেড অ্যান্ড ওয়ান ডালমেশিয়ান’ ছবির ক্রুয়েলা নামের এক নারীকে নিয়ে। যার পুরো নাম ক্রুয়েলা ডে ভিল। যে সাদা-কালো ডালমেশিয়ান কুকুরের চামড়া দিয়ে কোট বানায়। ফলে ক্রুয়েলা পোষা প্রাণীদের দোকান থেকে শুধু ডালমেশিয়ান কুকুর কেনে।

ঘটনাক্রমে পঙ্গো ও পেরদিতা নামের এক ডালমেশিয়ান দম্পতির কুকুর ছানারা ক্রুয়েলার নজরে আসে। ক্রুয়েলা সেগুলো কিনতে চায়। কিন্তু পঙ্গো ও পেরদিতার মালিক রজার ও অনিতা তাদের বিক্রি করবে না। ক্রুয়েলা ক্ষুব্ধ হয়ে কুকুর ছানাগুলো চুরির পরিকল্পনা করে। কুকুর ছানা ও তাদের মা-বাবার জীবনে ক্রুয়েলা বয়ে নিয়ে আসে ভয় আর আতঙ্ক। এভাবেই গল্প এগিয়ে যেতে থাকে।

এই সিনেমায় ক্রুয়েলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী এমা স্টোন। দীর্ঘদিন ধরে অভিনেত্রী এমা স্টোনকে ক্রুয়েলা রূপে দেখার অপেক্ষায় ছিল ভক্তরা। বলতেই হয়, অপেক্ষার ফল মধুর হয়েছে। কারণ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘ক্রুয়েলা’।

ছবিতে ১৯৭০ দশকের লন্ডনভিত্তিক পাঙ্ক রক বিপ্লবের পটভূমিতে ক্রুয়েলা এস্টেলা নামে এক তরুণীর গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। যে ফ্যাশন ব্যবসায় সাফল্য পাওয়ার জন্য মরিয়া ও নির্দয় হয়ে ওঠে। যার কারণে ক্রুয়েলা ডেভিলে পরিণত হয়। ছবির পটভূমি ৭০ দশকের লন্ডন, যেখানে এমা স্টোন একজন উঠতি ফ্যাশন ডিজাইনার। তার চরিত্রের নাম এস্টেলা। এই ছবিতে এমা স্টোনের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন এমা থম্পসন, মার্ক স্ট্রং, জোল ফ্রাই, কারবি হাওয়েল-ব্যাপটিস্ট প্রমুখ।

‘ক্রুয়েলা’ ছবির প্রথম ট্রেইলারের আগে ক্রুয়েলার একটি পোস্টারও সিনেমাপ্রেমীদের দারুণ পছন্দ হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। যদিও ট্রেইলারে গল্পের ব্যাপারে তেমন কিছু জানা যায়নি, তবে সবাই এমার লুক দেখে বিমোহিত। তবে এমা স্টোনের এই ‘ক্রুয়েলা’ ছবিটি কিন্তু ‘ওয়ান হান্ড্রেড অ্যান্ড ওয়ান ডালমেশিয়ান’র খলচরিত্রের ওপর নির্ভর করে নির্মিত প্রথম লাইভ-অ্যাকশন রূপান্তর নয়। এর আগে হলিউড অভিনেত্রী গ্লেন ক্লোজ ১৯৯৬ সালে ক্রুয়েলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

‘ক্রুয়েলা’র জন্য গ্লেন ক্লোজ পেয়েছিলেন গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন। আর সিনেমাটি বেস্ট মেকআপ ইফেক্টের জন্য বাফটা মনোনয়ন পেয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এবারের ক্রুয়েলার এক্সিকিউটিভ প্রডিউসারও গ্লেন ক্লোজ! ২০২১ সালে এসে এমা স্টোনের ক্রুয়েলা কি অতীতের গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে-এটাই এখন দেখার বিষয়।

   

শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে (২০২৪-২৬) সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুন আক্তার পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

মিশা-ডিপজল ছাড়াও সহ-সভাপতি পদে ২৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব ২৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে কলি-নিপুণ প্যানেলের মামনুন ইমন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১ জন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমীন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু এবং কলি-নিপুণ প্যানেলের পলি ও সনি রহমান।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ৪৭৫ জন শিল্পী। 

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে একটি জোটে ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে দুই অভিনেতা মিশা ও ডিপজল। আরেক প্যানেল থেকে লড়েন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও নায়িকা নিপুণ আক্তার।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন- খোরশেদ আলম খসরু এবং সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান। শনিবার সকাল ৭টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

;

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চলছে ভোট গণনা, আসেননি অনেক তারকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি ছিল, ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫টায়। এখন চলছে ভোট গণনা। 

ভোট দিতে সকালে তেমন কোন ভোটার উপস্থিত না থাকলেও জুমার নামাযের পর কিছু তারকা এফডিসি প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। ভোট গ্রহণের সময় শেষ দিকে চলে এলেও দেখা যায়নি চলচ্চিত্রের অনেক জনপ্রিয় তারকাদের। জানা গেছে, তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যার কারণে ভোট দিতে পারছেন না।

এরমধ্যে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি বর্তমান নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থান করছেন।

গত নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হলেও এবার ভোটের মাঠ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন অরুণা বিশ্বাস। দেশে না থাকার কারণে এবার ভোট দিতে আসতে পারছেন না।

৮ বছর পর এফডিসিতে ভোট দিতে এলেন কাজী মারুফ

এছাড়াও এদিন ভোট দিতে পারছেন না এমন তালিকায় রয়েছেন সুপারস্টার শাবনূও, চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, শাহরিয়ার নাজিম জয়, আজিজুল হাকিম, আনিসুর রহমান মিলন, রেসি, বিপাশা কবির, সোহানা সাবাসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুইটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ।

এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেল আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।

;

নতজানু হয়েও কোন পক্ষের সমর্থন পেলেন না জোভান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান পড়েছেন দারুণ ঝামেলায়। তার একটি নাটককে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একপক্ষের সমালোচনায় অবশেষে নতজানু হয়ে ভিডিও বার্তা দিলেন তিনি। তাতেও সেই পক্ষের মন গলাতে পারলেন না। উল্টো তারা জোভানের বাকী নাটকগুলোকেও বয়কটের সুর তুলছে!

ঝামেলা এখানেই শেষ নয়। জোভান নতজানু হয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় আরেকপক্ষ তাকে দারুণভাবে করছেন সমালোচনা। এই পক্ষে আবার রয়েছেন তারই সহকর্মীরা। তারা জোভানের সাহস ও শিনদাঁড়ার শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গেল ঈদুল ফিতরে প্রচারিত জোভানের নাটক ‘রূপান্তর’ নিয়ে। রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এই নাটক প্রচারের পরই এটি নিয়ে অন্তর্জালে ফুঁসে ওঠে একাংশ দর্শক। নিরুপায় হয়ে নাটকটি ইউটিউব থেকেও নামিয়ে ফেলা হয়।

 ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্যে সামিরা খান মাহি ও জোভান

কিন্তু রেহাই মেলেনি তাতেও। অগত্যা অভিনেতা জোভান নিজেই গা ঢাকা দেন, বন্ধ করে রাখেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল। অবশেষে আজ ১৯ এপ্রিল ভোর রাতে দেখা দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হলেন। যেখানে আকুতিভরা কণ্ঠে ক্ষমা চেয়েছেন দর্শকের কাছে।

আতঙ্ক আর অসহায়ত্বে ভরা চাহনিতে জোভান বলেন, ‘এই ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক এসেছে। প্রথম দিন থেকেই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এই ঈদটা আমার খুব সুন্দর ঈদ হতে পারতো আপনাদের ভালোবাসায়, সাপোর্টে। কিন্তু সেটা হয়নি। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমি কিন্তু একদমই ভালো নেই।’

‘রূপান্তর’ নাটকের প্রসঙ্গে জোভানের জবাবদিহি এরকম, “রূপান্তর’ নাটককে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা একদমই অপ্রত্যাশিত। এই নাটকের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমি নিজেও একটা মুসলিম পরিবারের ছেলে। আমি জানি, ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করি, আল্লাহকে শ্রদ্ধা করি। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা কোনও কিছুকে নরমালাইজ করা বা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করিনি। কেবল একটি চরিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটার মাধ্যমে এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”

ফারহান আহমেদ জোভান

সবশেষে অনুরোধের সুরে জোভান বলেছেন, ‘দীর্ঘ এগারো বছর যাবত নাটক করছি। আজকে আমার যে অবস্থান, এর পেছনে আমার একার নয়, অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা ও সাপোর্ট ছিল। আমার কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো দর্শককে একটু বিনোদন দেওয়া, সেজন্যই এত কষ্ট। এরপর থেকে আরেকটু বেশি সচেতন থাকবো চরিত্র বাছাই করতে। যাতে তাদের মনঃক্ষুণ্ণ না হয়, কষ্ট না পায়। আমার যে কাজগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে, তার চেয়েও ভালো কাজ উপহার দেবো। শুধু একটাই অনুরোধ, আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

যদিও জোভানের ভিডিও বার্তার কমেন্ট বক্স দেখলে আঁচ করা যায়, তার এই আর্তনাদ গলাতে পারছে না নেটিজেনদের মন। গণহারে তার নাটক বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে তারা। বিপরীতে অনেকেই জোভানের এই পরাজিত কণ্ঠ ও মুখ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলছেন, প্রকৃত শিল্পী কখনোই এতোটা নতজানু হয় না।

উল্লেখ্য, নীহার আহমেদের চিত্রনাট্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। যার ফলে তিনি জানতেই পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে। বড় হয়ে হয়েছেন চিত্রকর। পেয়েছেন খ্যাতিও। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালী তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় চিত্রকরকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোন জনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।

ফারহান আহমেদ জোভান

গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে। রাতে বেশ কিছু দর্শকের পক্ষ থেকে আপত্তি পেয়ে সেটি ১৬ এপ্রিল সকালে তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। একই নাটক ডাউনলোড করে অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করছে সমালোচনাকারীদের একটা বড় অংশ। তারাই আবার এমন নাটক নির্মাণ ও প্রচারণার প্রতিবাদ করছেন! এমনকি নির্মাতা-শিল্পীদের হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। যা নিয়ে আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।

;

আগামী মাসেই সোহেল-নীলা জুটির ‘শ্যামাকাব্য’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।

;